সারিকা | |
---|---|
জন্ম | সারিকা ঠাকুর ৫ ডিসেম্বর ১৯৬০ |
পেশা | অভিনেত্রী, পোশাক নকশাবিদ, শব্দ পরিকল্পনাকারী |
কর্মজীবন | ১৯৬৭-বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী | কামাল হাসান (বি. ১৯৮৮; বিচ্ছেদ. ২০০৪) |
সন্তান | শ্রুতি হাসান অক্ষরা হাসান |
সারিকা ঠাকুর (জন্ম: ৫ ডিসেম্বর ১৯৬০), যিনি পেশাগতভাবে সারিকা নামে পরিচিত, হলেন একজন ভারতীয় অভিনেত্রী। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি একজন পোশাক নকশাবিদ, শব্দ পরিকল্পনাকারী এবং রাজ কমল ফিল্ম ইন্টারন্যাশনালের অধীনে সহযোগী পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৯৯ সালে তামিল ভাষার হে রাম চলচ্চিত্রের পোশাক পরিকল্পনার জন্য শ্রেষ্ঠ পোশাক পরিকল্পনা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং ২০০৫ সালে ইংরেজি ভাষার পারজানিয়া চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।
তিনি অভিনেতা কামাল হাসানের স্ত্রী এবং অভিনেত্রী ভগ্নিদ্বয় শ্রুতি ও অক্ষরা হাসানের মাতা।
সারিকা ১৯৬০ সালের ৫ই ডিসেম্বর নতুন দিল্লিতে এক মারাঠি ও হিমাচলি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি যখন খুবই ছোট তখন তার পিতা তাদের ত্যাগ করে চলে যান। তখন থেকে তিনি তার পরিবারে ভরণপোষণের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বিদ্যালয়ে গমন করেননি।[১]
সারিকা মাত্র চার বছর বয়সে শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় শুরু করেন। শিশুশিল্পী হিসেবে তার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কাজ ছিল ১৯৬৭ সালে সুপারহিট সঙ্গীতধর্মী চলচ্চিত্র হামরাজ, এতে তিনি বিমি অভিনীত চরিত্রের কন্যার ভূমিকায় অভিনয় করেন। প্রাপ্ত বয়স্ক অভিনেত্রী হিসেবে তার প্রথম চলচ্চিত্র ছিল রাজশ্রী প্রডাকশন্সের গীত গাথা চল, এতে তার বিপরীতে ছিলেন শচীন।
তিনি ১৯৯৯ সালের তামিল ভাষার হে রাম চলচ্চিত্রের পোশাক পরিকল্পনার জন্য শ্রেষ্ঠ পোশাক পরিকল্পনা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০০৫ সালে ইংরেজি ভাষার পারজানিয়া চলচ্চিত্রে একজন জরথ্রুষ্ঠ ধর্মাবলম্বী নারী চরিত্রে অভিনয় করেন, যার সন্তান ২০০২ সালে ভারতের দাঙ্গায় মারা যায়। এই কাজের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।
অভিনেতা কামাল হাসানের সাথে তার প্রেমের সম্পর্কের ফলে ১৯৮৬ সালে তাদের প্রথম সন্তান শ্রুতি হাসান জন্মগ্রহণ করে; ১৯৮৮ সালে তারা দু'জন বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৯১ সালে তাদের দ্বিতীয় সন্তান অক্ষরা হাসানের জন্ম হয়। ২০০১ সালে তারা আলাদা হয়ে যান, তবে তারা এখনো একে অপরের প্রতি বন্ধুপ্রতিম।[২]