সালতোরো কাংরি | |
---|---|
![]() সালতোরো কাংরি | |
সর্বোচ্চ বিন্দু | |
উচ্চতা | ৭,৭৪২ মিটার (২৫,৪০০ ফুট) উচ্চতায় ৩১তম |
সুপ্রত্যক্ষতা | ২,১৬০ মিটার (৭,০৯০ ফুট) |
তালিকাভুক্তি | চরম |
ভূগোল | |
অবস্থান | ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিতর্কিত অঞ্চল |
মূল পরিসীমা | সালতোরো পর্বতশ্রেণী, কারাকোরাম |
আরোহণ | |
প্রথম আরোহণ | ১৯৬২, তাকামুরা, সাইতো, বশীর |
সালতোরো কাংরি সালতোরো পর্বতশ্রেণীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এবং পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গগুলির মধ্যে একত্রিশতম ।
সালতোরো পর্বতশ্রেণীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ সালতোরো কাংরি পাকিস্তান অধিকৃত কোন্ডুস ও সালতোরো নদী উপত্যকার পূর্ব দিকে অবস্থিত। এই শৃঙ্গের অবস্থান স্থানাঙ্ক ৩৫°২৩′৫৭″ উত্তর ৭৬°৫০′৫১″ পূর্ব / ৩৫.৩৯৯১৭° উত্তর ৭৬.৮৪৭৫০° পূর্ব
১৯১১ খ্রিষ্টাব্দে ওয়ার্কম্যান দম্পতি প্রথম এই পর্বতের বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণ করেন। ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দে জে ওয়ালারের নেতৃত্বে এই পর্বতে আরোহণের এক প্রচেষ্টা হয়। তারা এর দক্ষিণপূর্ব শৈলশিরা ধরে ২৪,০০০ ফুট পর্যন্ত উঠতে সক্ষম হন। [২] ১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দে এরিক শিপটনের নেতৃত্বে এক ব্রিটিশ অভিযাত্রী দল পাকিস্তানের অনুমতিপত্র নিয়ে বাইলাফন্ড গিরিবর্ত্ম পার হয়ে এই শৃঙ্গের নিকটে আসেন কিন্তু তারা আরোহণের প্রচেষ্টা করেননি। [৩] ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দের ২৪শে জুলাই টি শিদেইয়ের নেতৃত্বে এক জাপানী-পাকিস্তানি মিশ্র অভিযাত্রী দলের হয়ে জাপানের সাইতো ও তাকামুরা এবং পাকিস্তানের বশীর দক্ষিণপূর্ব শৈলশিরা ধরে এই পর্বতশৃঙ্গে আরোহণ করেন। [৪] এর পরে এই পর্বতে আর কোন পর্বতারোহণ অভিযান হয়নি।
১৯৬৭ খ্রিষ্টাব্দ থেকে দ্য ইউনাইটেড স্টেটস ডিফেন্স ম্যাপিং এজেন্সী কোন রকম তথ্যসূত্র ছাড়াই তাদের কৌশলগত অগ্রণী মানচিত্রে সমগ্র সিয়াচেন হিমবাহ ও সালতোরো পর্বতশ্রেণী পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত বলে দেখাতে থাকে।[৫]সিয়াচেন হিমবাহ অঞ্চলের সীমান্ত সম্বন্ধে সিমলা চুক্তিতে অস্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করা হয় যে সীমান্ত এনজে ৯৮৪২ থেকে উত্তরদিকে হিমবাহের দিকে এটি বিস্তৃত থাকবে। এনজে ৯৮৪২ এর স্থানাঙ্কের পার্শ্ববর্তী এলাকায় অসম্পূর্ণ ভাবে সংজ্ঞায়িত মানচিত্রের ওপর মালিকানার দাবীর কারণে ভারত ও পাকিস্তান এই দুই দেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। [৬] এ বিতর্কের ফলস্বরূপ ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দে সিয়াচেন দ্বন্দ্ব শুরু হয় এবং ভারতীয় সেনাবাহিনী অপারেশন মেঘদূত সামরিক অভিযানের মাধ্যমে এই পর্বতটি ভারতের অধিকারে আনে। [৭]