সালাম বম্বে!

সালাম বম্বে!
মূল শিরোনামSalaam Bombay!
পরিচালকমীরা নায়ার
প্রযোজক
রচয়িতা
চিত্রনাট্যকারসোনি তারাপোরেভেলা
কাহিনিকারমীরা নায়ার
শ্রেষ্ঠাংশে
সুরকারএল. সুব্রাহ্মণ্যম
চিত্রগ্রাহকসান্দি সিসেল
সম্পাদকব্যারি আলেকজান্ডার ব্রাউন
প্রযোজনা
কোম্পানি
পরিবেশক
মুক্তি
স্থিতিকাল১১৩ মিনিট
দেশভারত
ভাষাহিন্দি
নির্মাণব্যয়মার্কিন$৪৫,০০,০০০[]
আয়প্রা. মার্কিন$৭৪,৩৪,১৭৬ (নিচে দেখুন)

সালাম বম্বে! ১৯৮৮ সালের ভারতীয় হিন্দি অপরাধ-নাট্য চলচ্চিত্র। এটি রচনা, সহ-প্রযোজনা এবং পরিচালনা করেছেন মীরা নায়ার। নায়ারের গল্প অবলম্বনে চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য রচনা করেছেন তার দীর্ঘকালীন সৃজনশীল সহযোগী সোনি তারাপোরেভেলা। এটি নায়ার পরিচালিত প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটি ভারতের বৃহত্তম শহর বম্বের (বতর্মানে মুম্বই) বস্তিগুলিতে বাস করা শিশুদের দৈনন্দিন জীবনের ইতিহাস চিত্রায়নের পাশাপাশি ভারতে সংগঠিত অপরাধচিত্র তুলে ধরেছে। চলচ্চিত্রের মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন শফিক সাইয়েদ, রঘুবীর যাদব, অনিতা কানওয়ার, নানা পাটেকর, হাসনা ভিতাল এবং চন্দ শর্মা

নায়ারের এই চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রাথমিক অনুপ্রেরণা ছিল বম্বের পথশিশুদের উদ্দীপনা। ১৯৮৮ সালের শুরুতে নির্মাণ শুরু হয়েছিল, এবং জাতীয় চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন চলচ্চিত্রটির সহ-অর্থায়ন করেছিল। ১৯৮৮ সালের ৬ অক্টোবরে বিশ্বব্যাপী মুক্তির পর মার্কিন$৪৫,০০,০০০ মার্কিন ডলারে নির্মিত চলচ্চিত্রটি বক্স অফিসে প্রায় মার্কিন$৭৪,৩৪,১৭৬ মার্কিন ডলার আয় করে।

এটি ১৯৮৮ সালে ৬১তম একাডেমি পুরস্কার অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ আন্তর্জাতিক পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে ভারতের নিবেদিত দ্বিতীয় মনোনীত চলচ্চিত্র। আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৮৮ কান চলচ্চিত্র উৎসবে আনুষ্ঠানিক প্রদর্শনীর পর সালাম বম্বে! গুরুত্বপূর্ণ সমালোচনামূলক প্রশংসা অর্জন করে। কান চলচ্চিত্র উৎসবে চলচ্চিত্রটি ক্যামেরা দ'র (গোল্ডেন ক্যামেরা) ও দর্শক পুরস্কার লাভ করে। এছাড়াও শ্রেষ্ঠ হিন্দি ভাষার পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, শ্রেষ্ঠ বিদেশী ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগে ন্যাশনাল বোর্ড অব রিভিউ পুরস্কার, এবং মন্ট্রিয়ল বিশ্ব চলচ্চিত্র উৎসবে তিনটি বিভাগে পুরস্কার জিতেছে। চলচ্চিত্রটি দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের "সর্বকালের নির্মিত সেরা ১,০০০ চলচ্চিত্রের" তালিকায় অন্তর্ভুক্ত।[]

কাহিনিসংক্ষেপ

[সম্পাদনা]

চলচ্চিত্র শুরুর পূর্বের ঘটনায় জানা যায় যে, কৃষ্ণা তার বড় ভাইয়ের মোটরবাইকে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল এবং এই ঘটনা তার মায়ের সাথে তার দ্বন্ধের সৃষ্টি করে। কৃষ্ণার মা তাকে নিকটবর্তী অ্যাপোলো সার্কাসে নিয়ে আসেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত বাইকের জন্য ৫০০ রুপি উপার্জন না করা পর্যন্ত বাড়িতে না ফেরার নির্দেশ দেন। কৃষ্ণা রাজি হয় এবং সার্কাসের জন্য কাজ করতে শুরু করে।

চলচ্চিত্র শুরুর দৃশ্যে দেখা যায় সার্কাসটি চলে যাবার জন্য গোছগাছ করছে। এসময় কৃষ্ণার সার্কাসের বস তাকে একটি কাজের নির্দেশ দেয়। কিন্তু ফিরে এসে কৃষ্ণা দেখে যে সার্কাসটি তাকে ফেলে চলে গেছে। এরপর মাকে শোধ করার জন্য রুপির উদ্দেশ্যে সে নিকটতম বড় শহর বম্বেগামী (বর্তমানে মুম্বই) একটি ট্রেনে চড়ে। বম্বে আসার পরপরই সে লুট হয় এবং সে চোরদের অনুসরণ করতে করতে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করে এবং গ্রান্ট রোড রেলওয়ে স্টেশনের নিকটবর্তী ফকল্যাণ্ড রোডের কুখ্যাত গণিকালয় অঞ্চলে এসে পৌঁছায়।

চিল্লুম নামে একজন, মাদকদ্রব্য সরবরাহকারী এবং আসক্ত ব্যক্তি, কৃষ্ণাকে গ্রান্ট রোডে চায়ের দোকানে চাকরি পেতে সহায়তা করে এবং তার জন্য এক প্রকার পরামর্শদাতা হয়ে ওঠে। স্থানীয় মাদকব্যবসায়ী বাবা গুলাব, চিল্লুমের মতো লোকদের নিয়োগ করেন যারা তার মাদকদ্রব্য, বিশেষত হেরোইন সরবরাহের কাজ করে। তার স্ত্রী রেখা একজন দেহব্যবসায়ী এবং তাদের একটি ছোট মেয়ে মাঞ্জু। রেখা বিরক্ত হতেন যে তাকে এমন পরিবেশে মেয়েকে বড় করতে হয়েছে। এর আগে বাবা তাকে অন্য জায়গায় নতুন জীবন শুরু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তবে এটি এমন একটি প্রতিশ্রুতি যা বাবা কখনোই পালন করতে পারবেন না বা করবেন না।

কৃষ্ণা একটি নতুন নাম পায়, "চাইপাউ" এবং এ নামেই বাঁচতে শেখে। তার মূল লক্ষ্যে তার মায়ের কাছে বাড়ি ফেরার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ জমানো। তবে সে শীঘ্রই আবিষ্কার করে যে তার এই নতুন পরিবেশে অর্থ সঞ্চয় করা প্রায় অসম্ভব। বিষয়টিকে আরো দৃঢ় করার জন্য, ষোলাসাল নামে এক তরুণীর ওপর তার চঞ্চলতা সৃষ্টি হয়, যাকে সম্প্রতি গণিকালয়ে বিক্রি করা হয়েছে। কৃষ্ণা ষোলাসালের ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং তাকে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে, তবে দু'জনই ধরা পড়ে এবং গণিকালয়ের ম্যাডাম ঘরে আগুন দেয়ার জন্য কৃষ্ণাকে মারধর করে। অন্যদিকে প্রথাগত কুমারী থাকাকালীন মূল্যবান সম্পত্তি হিসাবে বিবেচিত ষোলাসাল আগুন লাগানোর ঘটনা অস্বীকার করে এবং অশ্রুভরে তার দাসত্ব প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে। ম্যাডাম ষোলাসালকে শান্ত করতে বাবাকে নির্দেশ দেন, যা করতে রাজি হন বাবা।

এদিকে, কৃষ্ণা নিজের জীবনধারণ এবং চিল্লুমকে দেখাশোনা করার জন্য অদ্ভুত কাজ করে, যখন সে বুঝতে পারে চিল্লুম মাদক ছাড়া বাঁচতে পারবে না। বিশেষত বিদেশি সাংবাদিকের সাথে এক বিপর্যয়কর সাক্ষাৎকারের পর বাবা চিল্লুমকে বরখাস্ত করার পরে। অবশেষে, অনিয়মের জন্য কৃষ্ণা তার চা দোকানের কাজ হারায়। আরো অর্থ পাওয়ার জন্য কৃষ্ণা ও তার বন্ধুরা এক প্রবীন পার্সি লোকের বাড়িতে ছিনতাই করে। অবেশেষে মাদকের অভাব এবং অসুস্থতার কারণে চিল্লুম মারা যায়। কৃষ্ণা জানতে পারে যে তার সঞ্চয়কৃত অর্থ চিল্লুম চুরি করেছিল যা সে মাদক ব্যবহারের জন্য ব্যবহার করেছিল।

একরাতে বন্ধুদের সাথে কাজ থেকে বাড়ি ফেরার সময়, কৃষ্ণা ও মাঞ্জু পুলিশের কাছে ধরা পড়ে, তবে তার বাকি বন্ধুরা পালিয়ে যেতে সমর্থ হয়। তাদেরকে একটি সরকারি কিশোরালয়ে পাঠানো হয়। অবশেষে, কৃষ্ণা সেখান থেকে পালিয়ে নিজের জগতে ফিরে আসে। সে জানতে পারে বাবার মাদক ব্যবসায় চিল্লুম নামে নতুন একজনের আগমন ঘটেছে। কৃষ্ণা ষোলাসালের সাথে সাক্ষাত করে এবং তাকে নিজের সাথে পালিয়ে যেতে রাজি করানোর চেষ্টা করে। ষোলাসাল জানায় যে সে বাবার প্রতি আগ্রহী এবং কৃষ্ণার প্রতি আর আগ্রহী নয়। ষোলাসাল তার প্রথম 'ক্লায়েন্ট' সেবার জন্য তাড়িত হয়। এদিকে, রেখাকে বলা হয়েছে যে কর্তৃপক্ষ তাদের মেয়েকে মুক্তি দেবে না, কারণ তার মা বেশ্যা। রাগান্বিত রেখা বাবাকে ছেড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, কিন্তু বাবা তার প্রতিশোধ নিতে তাকে মারধর করে। এসময় কৃষ্ণার সময়োপযোগী হস্তক্ষেপে রেখা বাবার কাছ থেকে রক্ষা পেয়েছিল। কৃষ্ণা রাগান্বিত হয়ে বাবাকে হত্যা করে এবং রেখাকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তারা গণেশ চতুর্থী উৎসবের কুচকাওয়াজের ভিড়ে নিজেদের হারিয়ে ফেলে।

অভিনয়ে

[সম্পাদনা]
  • শফিক সাইয়েদ – কৃষ্ণা/চাইপাও
  • অঞ্জন – সার্কাসের শিশু
  • অমিত পাটেল – সার্কাসের বস
  • মুরারি শার্মা – টিকিট বিক্রেতা
  • রামমূর্তি – পাগল ব্যক্তি
  • সরফুদ্দিন কুরেশি – কয়লা
  • রাজু বার্নাড – কীরা
  • রঘুবীর যাদব – চিল্লুম/চিলিম
  • অনিতা কানওয়ার – রেখা, বাবা গুলাবের স্ত্রী
  • নানা পাটেকর – বাবা (গুলাব), রেকার স্বামী
  • ইরশাদ হাশমি – চাচা
  • হাসনা ভিতাল – মাঞ্জু, বাবা ও রেখার মেয়ে
  • মোহনরাজ বাবু – সেলিম
  • চন্দ্রশেখর নাইডু – চুঙ্গাল
  • কিষান থাপা – নেপালি বৃদ্ধ
  • চন্দ শর্মা – ষোলাসাল
  • শওকত আজমি – ম্যাডাম
  • হানিফ জহুর – বাউন্সার
  • জামিলা – গণিকালয়ের মহিলা
  • রমেশ রায় – নাপিত
  • শওকত এইচ ইনামদার – ক্রফোর্ড মার্কেটের দোকানদার
  • ইরফান খান – পত্রলেখক (অভিষেক)[]
  • নিল গেটিঞ্জার – আমেরিকান বিগ ডগ
  • ইউনূস পারভেজ – হাশিম ভাই
  • রমেশ গোহিল – রেখার বাড়িতে গ্রাহক
  • সঞ্জনা কাপুর – বাবার ঘরে (পশ্চিমা) সাংবাদিক
  • বিশ্বদীপ চ্যাটার্জী – হিপি গাইড
  • আমীর ভাই – রবি, রেখার বিত্তশালী গ্রাহক
  • অজু কাসাম – সিনেমা হলে ক্রুদ্ধ লোক
  • ডাবল ব্যাটারি স্টাফোর্ড – সিনেমা হলে মহিলা
  • রানা সিং – সিনেমা হলে বৃদ্ধ লোক
  • আলি ভাই – ক্রফোর্ড মার্কেটের কসাই
  • দিনশো দাজি – পারসি বাওয়াজি
  • জয়ন্ত জোশী – দরজি
  • প্রশান্ত জয়সওয়াল – বিয়ের অনুষ্ঠানে গায়ক
  • জয়েস বার্নেটো – বিয়ের অনুষ্ঠানে নববধূ
  • হাসান কুট্টি – বিয়ের অনুষ্ঠানে বর
  • প্রেহিত শ্রিংরপুরে – বিয়ের অনুষ্ঠানে মোটা শিশু
  • বি.ডি. শর্মা – পুলিশ
  • মোহাম্মদ আলি – পুলিশ ভ্যানে হাতকড়া পরিহিত লোক
  • দিলীপ দাস – চিলার রুমের গায়ক নেতা
  • আলফ্রেড অ্যান্থনি – লালুয়া চোর
  • রমেশ দেশভানী – মর্তুজা
  • অঞ্জন শ্রীবাস্তব – তত্ত্বাবধায়ক
  • এরিক পেমাস্টার – তত্ত্বাবধায়কের সহায়ক
  • সুলভ দেশপাণ্ডে – হেমলতা জোশী, জুভেনাইল সেন্টারে সমাজকর্মী
  • মোহন তান্তারু – চিলিম ২
  • শেখ হারুন – ষোলাসালের প্রথম গ্রাহক

প্রাক-নির্মাণ

[সম্পাদনা]

রচনা ও অনুপ্রেরণা

[সম্পাদনা]
""ট্র্যাফিক জংশনে আমার ট্যাক্সি ঘিরে বাচ্চাদের- বুদবুদ ফুঁকড়ানো, গান করা, প্রভৃতি দৃশ্য আকামে ভাবিয়ে তোলে। স্পষ্টতই এরা এমন একটি পৃথিবীতে বসবাসকারী যেখানে ভাগ্য তাদের জীবন ব্যতীত কিছুই দেয় নি। তবুও তারা তাদের নির্দিষ্ট জীবনযাত্রার সঙ্গে এখানে টিকে থাকছে। এসবই আমাকে আকর্ষণ করেছিল। তাদের দৈহিকতা, চেহারা এবং দেহগুলি বম্বের মানচিত্রের মতো ছিল।"
— মিরা নায়ার[]
বম্বের কামাঠিপুরা এলাকার ১ম লেইন

বম্বের পথশিশুদের উদ্দীপনা থেকে মীরা নায়ারের এই চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রাথমিক অনুপ্রেরণা এসেছিল। নায়ারের ভাবনা আরো গভীর হয়ে ওঠে যখন তিনি তার সৃজনশীল সঙ্গী সোনি তারাপোরেভেলার সাথে বম্বের শিশুদের জীবন নিয়ে গবেষণা করেছিলেন। শুরু থেকেই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে পথশিশুদের চরিত্রে সত্যিকার পথশিশুদের নেয়া হবে। যেহেতু তাদের মুখের শৈশব এবং জ্ঞানের সংমিশ্রণটি পেশাদার শিশু অভিনেতাদের মধ্যে খুঁজে পাওয়া বিরল হবে, যারা সাধারণত রাস্তায় এই পরিবেশে বেড়ে ওঠে নি।[]

এছাড়াও হেক্টর বাবেঙ্কোর পিশট (১৯৮০) চলচ্চিত্র দেখার পর নায়ার এই চলচ্চিত্র নির্মাণের অনুপ্রেরণা পান। নায়ার বলেন, "শুটিংয়ের প্রথম দিন আমি খবর পেয়েছি যে, পিশট-এর চরিত্রে অভিনয় করা মূল অভিনেতা রাস্তায় গুলি খেয়ে মারা গিয়েছিলেন। এই ঘটনার পরে সালাম বম্বে! নির্মাণে আমি আরো দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলাম, এবং যদি আমরা লাভ করি তবে পথ শিশুদের সাথে চলচ্চিত্রের লভ্যাংশও ভাগ করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই।"[] চারটি প্রমাণ্যচিত্র নির্মাণের পর,[] সালাম বম্বে! ছিল মিরা নায়ারের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র।[]

নির্মাণ

[সম্পাদনা]
চলচ্চিত্রের দৃশ্যে কৃষ্ণা (শফিক সাইয়েদ) এবং ষোলা সাল (চন্দ্রা শর্মা)

সালাম বম্বে! চলচ্চিত্রের বেশিরভাগ চিত্রায়ণ করা হয়েছিল বম্বের বৃহত্তম এবং এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম নিষিদ্ধ পল্লি কামাঠিপুরার ফকল্যাণ্ড রোডে।[] মূল চরিত্রের বাইরে অন্যান্য দেহব্যাবসায়ীরা কামাঠিপুরার প্রকৃত দেহব্যাবসায়ী ছিল। চলচ্চিত্রের শিশু অভিনেতারাও প্রকৃত পথশিশু ছিল। মহড়ার জন্য গ্রান্ট রোড রেলওয়ে স্টেশনের নিকট একটি কক্ষ ভাড়া নেওয়া হয়েছিল, যেখানে প্রথম দিন প্রায় ১৩০ জন শিশুর মহড়া নেয়া হয়েছিল।[] পরবর্তীতে চলচ্চিত্রে উপস্থিতির পূর্বে ২৪ জন পথশিশুর একটি দল বিশেষ কর্মশালায় নাটকীয় প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছিল। যেখানে তাদের ধারাবাহিক অনুশীলন, সঙ্গীত, নৃত্য ও অভিনয়ের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। ধীরে ধীরে তাদের কাছ থেকে বম্বে শহর, তাদের বাবা-মা, যৌনতা, পাচার, মাদকব্যবসা, গ্যাং এবং তাদের অর্থোপার্জনের গল্প জানা হয়।[] এমনকি চলচ্চিত্রের দৃশ্যধারণের পূর্বে তাদেরকে পরিবারের সাথেও পুনরায় একত্রিত করা হয়েছিল।[] তাদের চিকিৎসার ব্যয়ভার গ্রহণ এবং চলচ্চিত্রে কাজ করার জন্য তাদের অর্থ প্রদান করা হয়েছিল এবং সে অর্থের কিছু অংশ স্থির আমানত হিসেবে রেখে দেওয়া হয়েছিল।[] চলচ্চিত্রে দুই মিনিটের একটি দৃশ্যে পত্রলেখকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইরফান খান, যেটি ছিল তার প্রথম চলচ্চিত্রে উপস্থিতি।[১০]

মুক্তির পর, চলচ্চিত্রে উপস্থিত শিশুদের পুনর্বাসনের জন্য, ১৯৮৯ সালে পরিচালক মীরা নায়ার সালাম বালক ট্রাস্ট নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন।[১১] চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছে এমন বেশিরভাগকেই শেষ পর্যন্ত এই ট্রাস্টের অধীনে সাহায্য করা হয়েছিল। শিশু মনোবিজ্ঞানী দিনাজ স্টাফোর্ড, চলচ্চিত্রের পরে শিশুদের সাথে কাজ করছেন।[] ট্রাস্টটি বর্তমানে কার্যকর রয়েছে, এবং বম্বে, দিল্লি এবং ভুবনেশ্বরে পথশিশুদের সহায়তা প্রদান করে থাকে। চলচ্চিত্রে কৃষ্ণার চরিত্রে অভিনয় করা শফিক সাইয়েদ বর্তমানে বেঙ্গালুরুতে অটোরিকশা চালক হিসাবে জীবনধারণ করেন।[১২]

চলচ্চিত্রটির নির্মাণে সংস্থা হিসেবে যুক্ত ছিল কেদহাজ, চ্যানেল ফোর ফিল্মস[] দূরদর্শন, লা সেপ্ট সিনেমা, মীরাবাই ফিল্মস, জাতীয় চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন[][] মীরা নায়ারের সঙ্গে একাধিক প্রযোজক চলচ্চিত্রটির প্রযোজনায় অংশ নিয়েছিল, যেখানে নির্বাহী প্রযোজনায় ছিলেন ফ্রান্সের গ্যাব্রিয়েল আউর, যুক্তরাজ্যের মাইকেল নোজিক এবং ভারতের অনিল তেজানী এবং সহ-নির্বাহী প্রযোজনায় চেরি রজার্স। এছাড়াও সহকারী প্রযোজনায় ছিলেন জেন বালফোর এবং সহ-প্রযোজক মিচ এপস্টাইন।[১৩]

নির্মাণ পরবর্তী

[সম্পাদনা]

সঙ্গীত ও সাউন্ডট্র্যাক

[সম্পাদনা]

সালাম বম্বে!: মিউজিক ফ্রম দ্য অরিজিনাল মোশন পিকচার্স সাউন্ডট্র্যাক শিরোনামে চলচ্চিত্রের সুরারোপ, সঞ্চালন এবং পরিচালনা করেছেন এল. সুব্রাহ্মণ্যম। যেটি ডিআরজি সঙ্গীত প্রকাশনি থেকে ১৯৮৮ সালে ক্যাসেট এবং সিডি সংস্করণে প্রকাশিত হয়। হাওড়া ব্রিজ (১৯৫৮) চলচ্চিত্রের জন্য কামার জালালাবাদী রচিত, ও. পি. নায়ার সুরারোপিত এবং গীতা দত্তের গাওয়া "মেরা নাম চিন চিন চু" গান এই চলচ্চিত্রে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এছাড়াও চলচ্চিত্রে প্রেক্ষাগৃহের একটি দৃশ্যে মি. ইন্ডিয়া চলচ্চিত্র থেকে কবিতা কৃষ্ণমূর্তির গাওয়া "হাওয়া হাওয়াই" গানে শ্রীদেবীর নৃত্য প্রদর্শিত হয়।[১৪][১৫]

সালাম বম্বে!: মিউজিক ফ্রম দ্য অরিজিনাল মোশন পিকচার্স সাউন্ডট্র্যাক
কর্তৃক সাউন্ডট্র্যাক অ্যালবাম
মুক্তির তারিখ১৯৮৮
ঘরানামঞ্চ ও স্ক্রিন
দৈর্ঘ্য৪৫:৩৭
সঙ্গীত প্রকাশনীডিআরজি
পেশাদারী মূল্যায়ন
পর্যালোচনা স্কোর
উৎসমূল্যায়ন
অলমিউজিক২.৫/৫ তারকা

ট্র্যাক তালিকা

[সম্পাদনা]

সকল গানের সুরকার এল. সুব্রাহ্মণ্যম, মেরা নাম চিন চিন চু কামার জালালাবাদী / ও.পি. নায়ার সুরারোপিত।

সালাম বম্বে!: মিউজিক ফ্রম দ্য অরিজিনাল মোশন পিকচার্স সাউন্ডট্র্যাক
নং.শিরোনামপরিবেশনকারীদৈর্ঘ্য
১."মেইন টাইটেল"এল. সুব্রাহ্মণ্যম৩:২১
২."চাইপো'স থিম"এল. সুব্রাহ্মণ্যম১:২৩
৩."দ্য এন্ট্রি অব ষোলাসাল"এল. সুব্রাহ্মণ্যম১:৩৩
৪."চিক মেলোডি"এল. সুব্রাহ্মণ্যম০:৫৪
৫."মেরা নাম চিন চিন চু"গীতা দত্ত৩:২৪
৬."চিলিম'স থিম"এল. সুব্রাহ্মণ্যম৪:৫৬
৭."মাঞ্জু'স থিম"এল. সুব্রাহ্মণ্যম১:১১
৮."চাইপো'স থিম"এল. সুব্রাহ্মণ্যম০:৫৬
৯."স্ট্রিট চিলড্রেন সিং অ্যা ব্যালাড অব লস্ট প্রমিস"এল. সুব্রাহ্মণ্যম১:৫৪
১০."সোল্‌স অব ডেড চিলড্রেন ফ্লোটিং"এল. সুব্রাহ্মণ্যম১:১১
১১."এস্কেপ ফ্রম দ্য চিলার রুম"এল. সুব্রাহ্মণ্যম২:১২
১২."বাবা কিসেস ষোলাসাল"এল. সুব্রাহ্মণ্যম১:২১
১৩."ফেয়ারওয়েল অব মাঞ্জু"এল. সুব্রাহ্মণ্যম২:২৫
১৪."চাইপো হেল্পস চিলুম এক্রোস দ্য ট্রাক্স"এল. সুব্রাহ্মণ্যম১:১৫
১৫."দ্য ফাইনাল প্রোসেশন"এল. সুব্রাহ্মণ্যম৪:৩১
১৬."চাইপো সেট্‌স ফায়ার টু ষোলাসাল'স বেড"এল. সুব্রাহ্মণ্যম১:১৩
১৭."ষোলাসাল'স থিম"এল. সুব্রাহ্মণ্যম১:০১
১৮."এস্কেপ ফ্রম দ্য চিলার রুম"এল. সুব্রাহ্মণ্যম২:৫৪
১৯."ম্যাডলি: আর্টিস ফর দ্য গণপতি ফেস্টিভাল"এল. সুব্রাহ্মণ্যম২:১৮
২০."চাইপো অ্যালোন"এল. সুব্রাহ্মণ্যম২:২১
২১."এন্ড ক্রেডিট মিউজিক"এল. সুব্রাহ্মণ্যম৩:২৩
মোট দৈর্ঘ্য:৪৫:৩৭

মুক্তি

[সম্পাদনা]

প্রাথমিক প্রদর্শনী

[সম্পাদনা]

বাণিজ্যিক মুক্তির পূর্বে, চলচ্চিত্রটি একাধিক উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছিল। ১৯৮৮ সালের মে মাসে অনুষ্ঠিত কান চলচ্চিত্র উৎসবের ডিরেক্টরস ফোর্টনাইটে এটির প্রাথমিক প্রদর্শনী হয়। পরবর্তীতে ১৩ সেপ্টেম্বর টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এটি প্রদর্শিত হয়েছিল।[১৬]

প্রাথমিক প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি

[সম্পাদনা]

১৯৮৮ সালের ২৪ আগস্ট ফ্রান্সে, সেপ্টেম্বর ভারতে, ৭ অক্টোবর ২৬তম নিউ ইয়র্ক চলচ্চিত্র উৎসবে,[১৭] ২০ ডিসেম্বর ইতালিতে, ২২ ডিসেম্বর বেলজিয়ামে চলচ্চিত্রটি মুক্তি দেয়া হয়।[১৬]

পরবর্তী বছর ১৯৮৯ সালের ১৩ জানুয়ারি ডেনমার্ক, ২ ফেব্রুয়ারি নেদারল্যান্ডস, ১০ ফেব্রুয়ারি ফিনল্যান্ড, ২৭ এপ্রিল পশ্চিম জার্মানি, ২৯ জুন অস্ট্রেলিয়া, ২৭ জুলাই আর্জেন্টিনা, ২৪ সেপ্টেম্বর কানাডার সিনেস্টেস্ট সড্বেরি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এবং ৩ নভেম্বর সুইডেন চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় এবং প্রদর্শিত হয়।[১৬]

১৯৯০ সালের ২৬ জানুয়ারি পূর্ব জার্মানি, ১০ মার্চ জাপান এবং ৫ এপ্রিল হাঙ্গেরি চলচ্চিত্রটির প্রদর্শনী হয়। পরবর্তী বছর ১৮ জানুয়ারি পর্তুগালে এটি মুক্তি দেয়া হয়।[১৬]

বক্স অফিস

[সম্পাদনা]

মার্কিন$৪৫,০০,০০০ মার্কিন ডলারে নির্মিত[] সালাম বম্বে! মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় মার্কিন$২০,৮০,০৪৬ উপার্জন করে।[১৮]

ফ্রান্সে, চলচ্চিত্রটির ৬৩৩,৮৯৯টি টিকিট বিক্রি হয়েছিল।[১৯] ১৯৯১ সালের গড় টিকিটের দাম ৩৪ ফ্রাঙ্ক[২০] অনুযায়ী যা ২১,৫৫২,৫৬৬ ফ্রাঙ্ক (মার্কিন$৩৮,০৩,৩৯৪) এর সমমূল্য। জার্মানিতে, চলচ্চিত্রটির ২৫৮,৭২৮টি টিকিট বিক্রি হয়েছিল।[২১] ১৯৮৯ সালের গড় টিকিটের দাম ৯.৫ ডিএম[২২] অনুযায়ী যা ২,৪৫৭,৯১৬ ডিএম এর সমমূল্য। ১৯৮৮ সালের গড় বিনিময় হার ছিল ১ মার্কিন ডলার সমান ১.৫৮৫ ডয়চে মার্ক,[২৩] যা মার্কিন$১৫,৫০,৭৩৬ এর সমমূল্য।

ভারতের বাইরে বিদেশে বাজারগুলিতে সর্বমোট মার্কিন$৭৪,৩৪,১৭৬ উপার্জনের মাধ্যমে চলচ্চিত্রটি সেই সময়কার বিদেশের বাজারে সর্বাধিক উপার্জনকারী ভারতীয় চলচ্চিত্র হয়ে উঠে।[২৪] ১৯৮৮ সালের গড় বিনিময় হার ছিল ১ মার্কিন ডলার সমান ₹১৩.৯১৭১,[২৫] যা  ১০,৩৪,৬২,১৭১ (ইউএস$ ১২,৬৪,৬৪৯.১৫) এর সমমূল্য।

পুন:মুক্তি

[সম্পাদনা]

২০০১ সালের ১২ ডিসেম্বর এবং ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি ফ্রান্সে চলচ্চিত্রটি পুনরায় মুক্তি দেয়া হয়। এছাড়াও ২০০৫ সালের ২৩ জুলাই পোলান্ডের নিউ হরাইজন্স চলচ্চিত্র উৎসবে চলচ্চিত্রটি প্রদর্শিত হয়। ২০১৩ সালের মার্চে ভারতের প্রেক্ষাগৃহে চলচ্চিত্রটি পুন:মুক্তি দেয়া হয়।[২৬] ২০১৫ সালের ৯ অক্টোবর বিএফআই লন্ডন চলচ্চিত্র উৎসবে, ১৮ অক্টোবর মার্কিন যুক্তরাষ্টের টালগ্রাস চলচ্চিত্র উৎসবে এটির প্রদর্শনী হয়েছিল। ২০১৬ সালের ১৬ নভেম্বর পোল্যান্ডের ফাইভ ফ্লেভার্স চলচ্চিত্র উৎসবে চলচ্চিত্রটি প্রদর্শিত হয়েছিল।[১৬]

সমালোচকদের অভ্যর্থনা

[সম্পাদনা]
পেশাদারী মূল্যায়ন
সমষ্টিগত স্কোর
উৎসমূল্যায়ন
মেটাক্রিটিক৭৮/১০০[২৭]
রটেন টম্যাটোস৯৩%[২৮]
পর্যালোচনা স্কোর
উৎসমূল্যায়ন
অলমুভি৪/৫ তারকা[২৯]
আইএমডিবি৮/১০ তারকা[৩০]
আলোসিনে৪/৫ তারকা[৩১]
রজারইবার্ট.কম৪/৫ তারকা[৩২]

সালাম বম্বে! মূলত চলচ্চিত্র সমালোচকদের, দর্শক এবং চলচ্চিত্র বোদ্ধাদের কাছ থেকে ইতিবাচক পর্যালোচনা অর্জন করেছিল, যারা চলচ্চিত্রটির সাংস্কৃতিক, ঐতিহাসিক এবং সামাজিক প্রভাব সম্পর্কে মন্তব্য করেছিলেন। চলচ্চিত্র পর্যালোচনা সমষ্টিগত ওয়েবসাইট রটেন টম্যাটোসে, চলচ্চিত্রটির ৭.৮১/১০ গড় রেটিংয়ের পাশাপাশি ২৯টি পর্যালোচনা ভিত্তিতে ৯৩% স্বীকৃতি রেটিং রয়েছে। সাইটটির সমালোচনামূলক বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়েছে, "সালাম বোম্বে! বিশ্বের এমন একটি অংশে জীবন যাচাই করে যা অনেক দর্শক কখনোই দেখেন নি- তবে তাদের যথেষ্ট অনুকম্পা ও অনুগ্রহের সাথে এমন মনে হবে যাতে ঘটে থাকে।"[২৮] মেটাক্রিটিক, যা এর পর্যালোচনাগুলিকে একটি ওজনদ্বার গড় রেটিং প্রদান করে, যেখানে চলচ্চিত্রটি ৪ জন সমালোচকদের উপর ভিত্তি করে ৭৮ স্কোর লাভ করেছে, যেখানে "সাধারণত অনুকূলভাবে পর্যালোচনা" অন্তর্ভুক্ত।[৩৩] এছাড়াও চলচ্চিত্র পর্যালোচনা সাইট অলমুভিতে চলচ্চিত্রটি ৪/৫,[২৯] আলোসিনেতে ৪/৫[৩১] এবং আইএমডিবিতে ৮/১০ গড় রেটিং রয়েছে।[৩০]

"সালাম বোম্বে! ব্রাজিলিয় পথ শিশুদের নিয়ে নির্মিত ১৯৮১ সালের পিশট চলচ্চিত্রের থেকে বেশ আলাদা। যদিও দুটি চলচ্চিত্রে স্পষ্টতই মিল রয়েছে, পিশটের শিশুরা অরাজকতা ও বর্বর জগতের, অন্যদিকে সালাম বোম্বের! শিশুরা বিনীত হলেও তারা একটি সম্প্রদায়ের।"

রজার ইবার্ট, সালাম বম্বে!, রজারইবার্ট.কম[৩২]

সামগ্রিক চলচ্চিত্র সম্পর্কে, মার্কিন চলচ্চিত্র সমালোচক রজার ইবার্ট বলেছেন, "সালাম বম্বে! নির্মাণের ইতিহাস চলচ্চিত্রের মতোই আকর্ষণীয়"[৩২] ইংরেজ লেখক হিলারি ম্যান্টেল মন্তব্য করেছেন, "একটি উষ্ণ এবং প্রাণবন্ত চলচ্চিত্র, যা মীরা নায়ার তৈরি করেছেন মাত্র কয়েকজন পেশাদার অভিনেতাকে নিয়ে।"[৩৪] শিকাগো রিডারের টেড শেন লিখেছেন, "হেক্টর বাবেঙ্কোর পিশট (১৯৮০) চলচ্চিত্রের মতো চলচ্চিত্রটিও অভাবনীয় কৌতূহলযুক্ত, তবে একজন মহিলার কোমলতায় এটি চরিত্রগুলিকে মাঝে মাঝে মুহূর্তের অনুগ্রহ দেয়।"[৩৫] টাইম পত্রিকার রিচার্ড কার্লিস লিখেছেন, "সালাম বোম্বে! কেবল বিদেশের ক্ষুধা ও গৃহহীনতার দুর্দশার দিকে আমেরিকান দৃষ্টি রাখা নয়, বরং আমেরিকান মনকে কোনো প্রকার রিম শট এবং সুখি সমাপ্তি ছাড়াই সিনেমার প্রাণশক্তির দিকে উন্মুক্ত করে তোলা, যা বিস্তৃত দর্শকমন্ডলীর দাবী রাখে।"[৩৬] মার্কিন চলচ্চিত্র সমালোচক ডেভ খেরের মতে, "নায়ারের কৃতিত্বের অধিকাংশে রয়েছে যে তিনি তার স্থানীয় বহিরাগতবাদেরও ব্যবহার করেন না।"[৩৭] মার্কিন চলচ্চিত্র সমালোচক ডেভিড স্টেরিট মনে করেন, গল্পটি মাঝে মাঝে যে কঠোর বাস্তবতার চিত্র তুলে ধরেছে তার মধ্যে সবচেয়ে ন্যূনতম প্রভাবগুলির মুখোমুখি হতে দ্বিধাগ্রস্থ বলে মনে হয়।[৩৮] তিনি বলেন, "চলচ্চিত্রটি মারাত্মকভাবে অভিনীত এবং সুন্দরভাবে চিত্রিত হয়েছে, যা ভারতীয়-মার্কিন পরিচালক মীরা নায়েরের এক দুর্দান্ত পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের আত্মপ্রকাশ হিসেবে চিহ্নিত।"[৩৯] পিটার ট্রেভার্স চলচ্চিত্রটিকে "কাব্যিক, শক্তিশালী এবং ধকলপূর্ণ, সালাম বোম্বে! ভাষা এবং সাংস্কৃতিক বাধা অতিক্রম করেছে" বলে মন্তব্য করেছিলেন।[৪০] মার্কিন চলচ্চিত্র সমালোচক, লেখক, এবং অধ্যাপক ইমানুয়েল লেভি বিবৃতি দেন যে "সালাম বম্বে বম্বের চোর, পতিতা এবং মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে এক ছেলের মর্মস্পর্শী অভিজ্ঞতা চিত্রিত করেছে। ভিত্তোরিও দে সিকার শুশশা (১৯৪৬), হেক্টর বাবেঙ্কোর পিশট এবং তার স্বদেশী সত্যজিৎ রায়ের প্রাথমিক কাজ সহ একাধিক ধ্রপদী শিশুতোষ চলচ্চিত্র দ্বারা অনুপ্রাণিত চলচ্চিত্রটি বম্বেের বস্তিকে আতিশয্য এবং রঙিন করেছিল।"[৪১] ভিনসেন্ট ক্যান্বি বলেছিলেন, "এই জাতীয় আশাহীনতা নিয়ে নির্মিত একটি চলচ্চিত্রের হিসেবে সালাম বম্বে আশ্চর্যজনকভাবে উৎসাহদায়ক।"[১৭] ক্রিস্টোফার নাল, চলচ্চিত্র সমালোচক, কলামিস্ট এবং প্রাক্তন ইয়াহু! ব্লগার! বলেছিলেন, "চলচ্চিত্রটির মাধ্যমে নায়ার স্পষ্টতই অনভিজ্ঞ অভিনেতাদের অভিনয় করার ক্ষেত্রে প্রাথমিক দক্ষতা প্রমাণ করেছেন, তবে তার লেখার প্রতিভা প্রায়ই অসম্পূর্ণ।"[৪২] ওয়াশিংটন পোস্টের রিটা কেম্পলে, "চলচ্চিত্রটি হেক্টর বাবেঙ্কোর পিশট চলচ্চিত্রের সাথে তুলনা করে বলেছেন, নায়ারের চলচ্চিত্রটি সমানভাবে যন্ত্রণাপ্রদ হওয়া সত্ত্বেও তার চেয়ে বেশি মমতাময়ী।[৪৩] টাইম আউট সাময়িকীর রুপার্ট স্মিথ বলেন, "রাস্তা থেকে নিয়ে আসা অভিনয়শিল্পীদের নিয়ে সালাম বোম্বে! বিরল কর্তৃত্ব এবং পরম করুণার সাথে চলচ্চিত্রের বিষয়গুলির মধ্যে প্রবেশ করতে সক্ষম।"[৪৪] চলচ্চিত্র পর্যালোচনা সাইট রেডিফ.কম-এর সমালোচক সুকন্যা বর্মা, সালাম বম্বে! "২৫ বছরে এখনও উজ্জ্বল" মন্তব্য করেন।[৪৫]

পুরস্কার এবং মনোনয়ন

[সম্পাদনা]
পুরস্কার এবং মনোনয়নের তালিকা
সংগঠন অনুষ্ঠানের তারিখ বিভাগ প্রাপক এবং মনোনীত ফলাফল তথ্যসূত্র
কান চলচ্চিত্র উৎসব মে, ১৯৮৮ ক্যামেরা দো'র মীরা নায়ার বিজয়ী [৪৬]
দর্শক পুরস্কার মীরা নায়ার বিজয়ী [৪৭]
লস অ্যাঞ্জেলেস চলচ্চিত্র সমালোচক সমিতি ১০ ডিসেম্বর ১৯৮৮ নতুন জেনারেশন পুরস্কার মীরা নায়ার বিজয়ী [৪৮]
শ্রেষ্ঠ বিদেশি চলচ্চিত্র মীরা নায়ার মনোনীত
ন্যাশনাল বোর্ড অব রিভিউ ১৩ ডিসেম্বর ১৯৮৮ শীর্ষ বিদেশী চলচ্চিত্র মীরা নায়ার বিজয়ী [৪৯]
বোস্টন সোসাইটি চলচ্চিত্র সমালোচক ১৯৮৮ শ্রেষ্ঠ বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র মীরা নায়ার বিজয়ী [৫০]
মন্ট্রিয়ল বিশ্ব চলচ্চিত্র উৎসব ১৯৮৮ জুরি পুরস্কার মীরা নায়ার বিজয়ী [৫১]
উৎসবের সর্বাধিক জনপ্রিয় চলচ্চিত্রের জন্য এয়ার কানাডা পুরস্কার মীরা নায়ার বিজয়ী [৫১]
একুম্যানিকাল জুরি পুরস্কার মীরা নায়ার বিজয়ী [৫১]
লস অ্যাঞ্জেলেস উইমেন ইন ফিল্ম ফেস্টিভাল ১৯৮৮ লিলিয়ান গিশ পুরস্কার (পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে শ্রেষ্ঠত্ব) মীরা নায়ার বিজয়ী [৫২]
গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার ২৮ জানুয়ারি ১৯৮৯ শ্রেষ্ঠ বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র মীরা নায়ার মনোনীত [৫৩]
সেজার পুরস্কার ৪ মার্চ ১৯৮৯ শ্রেষ্ঠ বিদেশী চলচ্চিত্র মীরা নায়ার মনোনীত [৫৪]
একাডেমি পুরস্কার ২৯ মার্চ ১৯৮৯ শ্রেষ্ঠ আন্তর্জাতিক পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র মীরা নায়ার মনোনীত [৫৫]
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার মে ১৯৮৯ শ্রেষ্ঠ হিন্দি ভাষার পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র মীরা নায়ার বিজয়ী [৫৬]
শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পী শফিক সাইয়েদ বিজয়ী
আনোনয় আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ১৯৮৯ দর্শক পুরস্কার মীরা নায়ার বিজয়ী [৫৭]
ব্রিটিশ একাডেমি চলচ্চিত্র পুরস্কার ১১ মার্চ ১৯৯০ ইংরেজি ভাষায় নয় শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র মীরা নায়ার মনোনীত [৫৮]
ফিল্মফেয়ার পুরস্কার ১৯৯০ শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র মীরা নায়ার মনোনীত [৫৯]
শ্রেষ্ঠ পরিচালক মীরা নায়ার মনোনীত
শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী অনিতা কানওয়ার মনোনীত

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. অরুণাচলম ২০২০, পৃ. ১০৬৩।
  2. ফস্টার ১৯৯৭, পৃ. ১১৯।
  3. "The Best 1,000 Movies Ever Made"দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। নিউ ইয়র্ক টাইমস। ২২ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০১১ 
  4. ঘটক, সায়নী (৩০ এপ্রিল ২০২০)। ""অনিবার্যের কাছে নিজেকে সঁপে দিতেই হয়""। কলকাতা: আনন্দবাজার পত্রিকা। ২৩ মে ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০২০ 
  5. "The real test of Salaam Bombay! is in India: Mira Nair" (সাক্ষাৎকার) (ইংরেজি ভাষায়)। সাক্ষাত্কার গ্রহণ করেন এম রহমান। ইন্ডিয়া টুডে। ২২ নভেম্বর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০১৯ 
  6. শাহ, কুনাল এম (১০ মার্চ ২০০৯)। "Salaam Bombay, Again" (ইংরেজি ভাষায়)। দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া। ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০১৯ 
  7. আতকিসন, অ্যালান। "Salaam Bombay! Proceeds from prize-winning film will benefit street children in India" (ইংরেজি ভাষায়)। কনটেক্সট। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০২০ 
  8. মানিক, শর্মা (৭ এপ্রিল ২০১৮)। "Why Salaam Bombay, Mira Nair's directorial debut, remains unmatched 30 years after its release" (ইংরেজি ভাষায়)। ফার্স্টপোস্ট। ১২ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০১৯ 
  9. কুলকার্নী, বিশ্বাস (১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮)। "The uncomfortable truth about Indian cinema" (ইংরেজি ভাষায়)। দ্য ন্যশনাল। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০১৯ 
  10. "Salaam Bombay to Blackmail: Irrfan Khan defines what exactly has changed in Indian cinema" (ইংরেজি ভাষায়)। হিন্দুস্তান টাইমস। ৫ এপ্রিল ২০১৮। ৮ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০১৯ 
  11. "More information on the Salaam Baalak Trust"GiveWorld (ইংরেজি ভাষায়)। ২ মার্চ ২০০৬। ২ মার্চ ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  12. সীতলক্ষী, এস (৫ মার্চ ২০০৯)। "'Salaam' star now a rickshaw driver" (ইংরেজি ভাষায়)। দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া। ১৩ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  13. "Salaam Bombay! (1988) Full Cast & Crew"IMDb। ২৫ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০২০ 
  14. মুখোপাধ্যায়, অনির্বাণ (২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮)। "পুরুষ-সর্বস্ব বলিউডে কোন জাদুতে নিজেকে তুলে ধরেছিলেন শ্রীদেবী"। এবেলা.ইন। ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০১৯ 
  15. ঘোষ, পিনাকপাণি (১৩ আগস্ট ২০১৯)। "আপনি এখনও মন জুড়ে, শ্রীহীন ১৭ মাস পরেও অক্ষত সেই সিংহাসন"। দ্য ওয়াল। ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০১৯ 
  16. "মুক্তির তথ্য" (ইংরেজি ভাষায়)। ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজ। ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০১৯ 
  17. ক্যান্বি, ভিনসেন্ট (৭ অক্টোবর ১৯৮৮)। "Film Festival; In a City Where Life Is Just Barely Possible" (ইংরেজি ভাষায়)। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস। ২ মে ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০১৯ 
  18. "সালাম বম্বে! (১৯৮৮)"বক্স অফিস মোজো (ইংরেজি ভাষায়)। ৩ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০১৯ 
  19. "Charts - LES ENTREES EN FRANCE (Inde)"জেপি'স বক্স অফিস (ইংরেজি ভাষায়)। ৩১ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জানুয়ারি ২০১৮ 
  20. হফম্যান ১৯৯২, পৃ. ২৯৬।
  21. "সালাম বম্বে (ইউরোপ)"জেপি'স বক্স অফিস (ইংরেজি ভাষায়)। ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০১৮ 
  22. নঘটন ২০০২, পৃ. ৬৮।
  23. "Historical US Dollars to German Marks currency conversion"ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, সান্তা বারবারা (ইংরেজি ভাষায়)। ২৯ মার্চ ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০১৮ 
  24. "Pix from afar: National bests in the U.S."। ভ্যারাইটি: ৮৬। জানুয়ারি ৭, ১৯৯১। 
  25. "Pacific Exchange Rate Service" (পিডিএফ)ইউবিসি সউডার স্কুল অব বিজনেস (ইংরেজি ভাষায়)। ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। পৃষ্ঠা ৩। ১২ মে ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ নভেম্বর ২০১৭ 
  26. জামখণ্ডিকার, শিল্পা (২২ মার্চ ২০১৩)। "A Minute With: Mira Nair on Salaam Bombay" (ইংরেজি ভাষায়)। রয়টার্স। ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০১৯ 
  27. "সালাম বম্বে!"মেটাক্রিটিক (ইংরেজি ভাষায়)। ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০১৯ 
  28. "সালাম বম্বে!"রটেন টম্যাটোস (ইংরেজি ভাষায়)। ১৪ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০১৯ 
  29. "সালাম বম্বে!"অলমুভি (ইংরেজি ভাষায়)। ১৭ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০১৯ 
  30. "সালাম বম্বে!"ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজ (ইংরেজি ভাষায়)। ২৩ জুন ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০১৯ 
  31. "সালাম বম্বে!"আলোসিনে (ইংরেজি ভাষায়)। ১৫ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০১৯ 
  32. ইবার্ট, রজার (২৮ অক্টোবর ১৯৮৮)। "সালাম বম্বে!"রজারইবার্ট.কম (ইংরেজি ভাষায়)। ২১ মে ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০১৯ 
  33. "সালাম বম্বে! (পুনঃমুক্তি)" (ইংরেজি ভাষায়)। মেটাক্রিটিক। ২৩ মে ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০১৯ 
  34. ম্যান্টেল, হিলারি (৯ এপ্রিল ২০১৯)। "সিনেমা"দ্য স্পেক্টেটর। ১৪ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০২০ 
  35. শেন, টেড। "সালাম বম্বে!" (ইংরেজি ভাষায়)। শিকাগো রিডার। ১৪ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০১৯ 
  36. কার্লিস, রিচার্ড"Cinema: Subcontinental Divide" (ইংরেজি ভাষায়)। টাইম (পত্রিকা)। ১৪ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০১৯ 
  37. খের, ডেভ (২৮ অক্টোবর ১৯৮৮)। "`SALAAM BOMBAY!` FOLLOWS LOST-CHILD-IN-CITY GENRE" (ইংরেজি ভাষায়)। শিকাগো ট্রিবিউন। ২০১৯-০৮-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০১৯ 
  38. "মুভি গাইড" (ইংরেজি ভাষায়)। মুভি গাইড। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০০২। ৫ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০১৯ 
  39. স্টেরিট, ডেভিড (৭ অক্টোবর ১৯৮৮)। "FREEZE FRAMES"দ্য ক্রিশ্চিয়ান সায়েন্স মনিটর। ১৪ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০২০ 
  40. ট্রেভার্স, পিটার (৭ নভেম্বর ১৯৮৮)। "Picks and Pans Review: Salaam Bombay"পিপল। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০২০ 
  41. লেভি, ইমানুয়েল (২ মে ২০০৬)। "সালাম বম্বে!"। emanuellevy.com। ৫ মে ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০২০ 
  42. নাল, ক্রিস্টোফার (২৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৩)। "Salaam Bombay!"। এএমসি। ২৯ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০২০ 
  43. কেম্পলে, রিটা (৪ নভেম্বর ১৯৮৮)। "'সালাম বম্বে!' : (এনআর)" (ইংরেজি ভাষায়)। ওয়াশিংটন পোস্ট। ৩০ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০২০ 
  44. "সালাম বম্বে!" (ইংরেজি ভাষায়)। টাইম আউট। ৫ মে ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০১৯ 
  45. বর্মা, সুকন্যা"Salaam Bombay review: 25 Years on, still brilliant!" (ইংরেজি ভাষায়)। রেডিফ.কম। ৯ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০১৯ 
  46. "Awards 1988: All Awards"festival-cannes.fr। ২৮ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  47. শুল্ড, ক্লে (১০ মার্চ ২০১৮)। "Film Society to show 'Salaam Bombay'" (ইংরেজি ভাষায়)। দ্য জার্নাল। ১০ মার্চ ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০১৯ 
  48. ইস্টন, নিনা জে (১২ ডিসেম্বর ১৯৮৮)। "L.A. Film Critics Vote Lahti, Hanks, 'Dorrit' Winners"লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৬-০৬-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭ 
  49. "ন্যাশনাল বোর্ড অব রিভিউ" (ইংরেজি ভাষায়)। ন্যাশনাল বোর্ড অব রিভিউ। ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০১৯ 
  50. "BSFC Winners: 1980s" (ইংরেজি ভাষায়)। বোস্টন চলচ্চিত্র সমালোচক সমাজ। ২৩ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০১৯ 
  51. "Awards of the Montreal World Film Festival - 1988" (ইংরেজি ভাষায়)। মন্ট্রিয়ল বিশ্ব চলচ্চিত্র উৎসব। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০১৯ 
  52. মুর ২০০৬, পৃ. ৫৯।
  53. "Winners & Nominees 1989" (ইংরেজি ভাষায়)। গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার। ২৮ জানুয়ারি ১৯৮৯। ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০২০ 
  54. "সেজার পুরস্কার ১৯৮৯, ফ্রান্স"। প্যারিস: ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজ। ১৯৮৯। ১৮ আগস্ট ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০২০ 
  55. "The 61st Academy Awards (1989) Nominees and Winners" (ইংরেজি ভাষায়)। একাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস। অক্টোবর ৬, ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ২৭, ২০১১ 
  56. "৩৬তম জাতীয় চলচ্চিত্র উৎসব" (পিডিএফ) (ইংরেজি ভাষায়)। ভারত: চলচ্চিত্র উৎসব অধিদপ্তর। ১৯৮৯। পৃষ্ঠা ৩৪, ৬০। ৯ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ আগস্ট ২০১৯ 
  57. "Palmarès depuis 1989" (ইংরেজি ভাষায়)। আনোনয় আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। ২৯ মার্চ ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০১৯ 
  58. "Film in 1990" (ইংরেজি ভাষায়)। বাফটা পুরস্কার। ১৯৯০। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০২০ 
  59. "ফিল্মফেয়ার পুরস্কার ১৯৯০" (ইংরেজি ভাষায়)। ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজ। ২৭ আগস্ট ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০২০ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]