সালাম বম্বে! | |
---|---|
মূল শিরোনাম | Salaam Bombay! |
পরিচালক | মীরা নায়ার |
প্রযোজক |
|
রচয়িতা |
|
চিত্রনাট্যকার | সোনি তারাপোরেভেলা |
কাহিনিকার | মীরা নায়ার |
শ্রেষ্ঠাংশে | |
সুরকার | এল. সুব্রাহ্মণ্যম |
চিত্রগ্রাহক | সান্দি সিসেল |
সম্পাদক | ব্যারি আলেকজান্ডার ব্রাউন |
প্রযোজনা কোম্পানি | |
পরিবেশক |
|
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১১৩ মিনিট |
দেশ | ভারত |
ভাষা | হিন্দি |
নির্মাণব্যয় | মার্কিন$৪৫,০০,০০০[২] |
আয় | প্রা. মার্কিন$৭৪,৩৪,১৭৬ (নিচে দেখুন) |
সালাম বম্বে! ১৯৮৮ সালের ভারতীয় হিন্দি অপরাধ-নাট্য চলচ্চিত্র। এটি রচনা, সহ-প্রযোজনা এবং পরিচালনা করেছেন মীরা নায়ার। নায়ারের গল্প অবলম্বনে চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য রচনা করেছেন তার দীর্ঘকালীন সৃজনশীল সহযোগী সোনি তারাপোরেভেলা। এটি নায়ার পরিচালিত প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটি ভারতের বৃহত্তম শহর বম্বের (বতর্মানে মুম্বই) বস্তিগুলিতে বাস করা শিশুদের দৈনন্দিন জীবনের ইতিহাস চিত্রায়নের পাশাপাশি ভারতে সংগঠিত অপরাধচিত্র তুলে ধরেছে। চলচ্চিত্রের মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন শফিক সাইয়েদ, রঘুবীর যাদব, অনিতা কানওয়ার, নানা পাটেকর, হাসনা ভিতাল এবং চন্দ শর্মা।
নায়ারের এই চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রাথমিক অনুপ্রেরণা ছিল বম্বের পথশিশুদের উদ্দীপনা। ১৯৮৮ সালের শুরুতে নির্মাণ শুরু হয়েছিল, এবং জাতীয় চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন চলচ্চিত্রটির সহ-অর্থায়ন করেছিল। ১৯৮৮ সালের ৬ অক্টোবরে বিশ্বব্যাপী মুক্তির পর মার্কিন$৪৫,০০,০০০ মার্কিন ডলারে নির্মিত চলচ্চিত্রটি বক্স অফিসে প্রায় মার্কিন$৭৪,৩৪,১৭৬ মার্কিন ডলার আয় করে।
এটি ১৯৮৮ সালে ৬১তম একাডেমি পুরস্কার অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ আন্তর্জাতিক পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে ভারতের নিবেদিত দ্বিতীয় মনোনীত চলচ্চিত্র। আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৮৮ কান চলচ্চিত্র উৎসবে আনুষ্ঠানিক প্রদর্শনীর পর সালাম বম্বে! গুরুত্বপূর্ণ সমালোচনামূলক প্রশংসা অর্জন করে। কান চলচ্চিত্র উৎসবে চলচ্চিত্রটি ক্যামেরা দ'র (গোল্ডেন ক্যামেরা) ও দর্শক পুরস্কার লাভ করে। এছাড়াও শ্রেষ্ঠ হিন্দি ভাষার পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, শ্রেষ্ঠ বিদেশী ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগে ন্যাশনাল বোর্ড অব রিভিউ পুরস্কার, এবং মন্ট্রিয়ল বিশ্ব চলচ্চিত্র উৎসবে তিনটি বিভাগে পুরস্কার জিতেছে। চলচ্চিত্রটি দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের "সর্বকালের নির্মিত সেরা ১,০০০ চলচ্চিত্রের" তালিকায় অন্তর্ভুক্ত।[৩]
চলচ্চিত্র শুরুর পূর্বের ঘটনায় জানা যায় যে, কৃষ্ণা তার বড় ভাইয়ের মোটরবাইকে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল এবং এই ঘটনা তার মায়ের সাথে তার দ্বন্ধের সৃষ্টি করে। কৃষ্ণার মা তাকে নিকটবর্তী অ্যাপোলো সার্কাসে নিয়ে আসেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত বাইকের জন্য ৫০০ রুপি উপার্জন না করা পর্যন্ত বাড়িতে না ফেরার নির্দেশ দেন। কৃষ্ণা রাজি হয় এবং সার্কাসের জন্য কাজ করতে শুরু করে।
চলচ্চিত্র শুরুর দৃশ্যে দেখা যায় সার্কাসটি চলে যাবার জন্য গোছগাছ করছে। এসময় কৃষ্ণার সার্কাসের বস তাকে একটি কাজের নির্দেশ দেয়। কিন্তু ফিরে এসে কৃষ্ণা দেখে যে সার্কাসটি তাকে ফেলে চলে গেছে। এরপর মাকে শোধ করার জন্য রুপির উদ্দেশ্যে সে নিকটতম বড় শহর বম্বেগামী (বর্তমানে মুম্বই) একটি ট্রেনে চড়ে। বম্বে আসার পরপরই সে লুট হয় এবং সে চোরদের অনুসরণ করতে করতে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করে এবং গ্রান্ট রোড রেলওয়ে স্টেশনের নিকটবর্তী ফকল্যাণ্ড রোডের কুখ্যাত গণিকালয় অঞ্চলে এসে পৌঁছায়।
চিল্লুম নামে একজন, মাদকদ্রব্য সরবরাহকারী এবং আসক্ত ব্যক্তি, কৃষ্ণাকে গ্রান্ট রোডে চায়ের দোকানে চাকরি পেতে সহায়তা করে এবং তার জন্য এক প্রকার পরামর্শদাতা হয়ে ওঠে। স্থানীয় মাদকব্যবসায়ী বাবা গুলাব, চিল্লুমের মতো লোকদের নিয়োগ করেন যারা তার মাদকদ্রব্য, বিশেষত হেরোইন সরবরাহের কাজ করে। তার স্ত্রী রেখা একজন দেহব্যবসায়ী এবং তাদের একটি ছোট মেয়ে মাঞ্জু। রেখা বিরক্ত হতেন যে তাকে এমন পরিবেশে মেয়েকে বড় করতে হয়েছে। এর আগে বাবা তাকে অন্য জায়গায় নতুন জীবন শুরু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তবে এটি এমন একটি প্রতিশ্রুতি যা বাবা কখনোই পালন করতে পারবেন না বা করবেন না।
কৃষ্ণা একটি নতুন নাম পায়, "চাইপাউ" এবং এ নামেই বাঁচতে শেখে। তার মূল লক্ষ্যে তার মায়ের কাছে বাড়ি ফেরার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ জমানো। তবে সে শীঘ্রই আবিষ্কার করে যে তার এই নতুন পরিবেশে অর্থ সঞ্চয় করা প্রায় অসম্ভব। বিষয়টিকে আরো দৃঢ় করার জন্য, ষোলাসাল নামে এক তরুণীর ওপর তার চঞ্চলতা সৃষ্টি হয়, যাকে সম্প্রতি গণিকালয়ে বিক্রি করা হয়েছে। কৃষ্ণা ষোলাসালের ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং তাকে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে, তবে দু'জনই ধরা পড়ে এবং গণিকালয়ের ম্যাডাম ঘরে আগুন দেয়ার জন্য কৃষ্ণাকে মারধর করে। অন্যদিকে প্রথাগত কুমারী থাকাকালীন মূল্যবান সম্পত্তি হিসাবে বিবেচিত ষোলাসাল আগুন লাগানোর ঘটনা অস্বীকার করে এবং অশ্রুভরে তার দাসত্ব প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে। ম্যাডাম ষোলাসালকে শান্ত করতে বাবাকে নির্দেশ দেন, যা করতে রাজি হন বাবা।
এদিকে, কৃষ্ণা নিজের জীবনধারণ এবং চিল্লুমকে দেখাশোনা করার জন্য অদ্ভুত কাজ করে, যখন সে বুঝতে পারে চিল্লুম মাদক ছাড়া বাঁচতে পারবে না। বিশেষত বিদেশি সাংবাদিকের সাথে এক বিপর্যয়কর সাক্ষাৎকারের পর বাবা চিল্লুমকে বরখাস্ত করার পরে। অবশেষে, অনিয়মের জন্য কৃষ্ণা তার চা দোকানের কাজ হারায়। আরো অর্থ পাওয়ার জন্য কৃষ্ণা ও তার বন্ধুরা এক প্রবীন পার্সি লোকের বাড়িতে ছিনতাই করে। অবেশেষে মাদকের অভাব এবং অসুস্থতার কারণে চিল্লুম মারা যায়। কৃষ্ণা জানতে পারে যে তার সঞ্চয়কৃত অর্থ চিল্লুম চুরি করেছিল যা সে মাদক ব্যবহারের জন্য ব্যবহার করেছিল।
একরাতে বন্ধুদের সাথে কাজ থেকে বাড়ি ফেরার সময়, কৃষ্ণা ও মাঞ্জু পুলিশের কাছে ধরা পড়ে, তবে তার বাকি বন্ধুরা পালিয়ে যেতে সমর্থ হয়। তাদেরকে একটি সরকারি কিশোরালয়ে পাঠানো হয়। অবশেষে, কৃষ্ণা সেখান থেকে পালিয়ে নিজের জগতে ফিরে আসে। সে জানতে পারে বাবার মাদক ব্যবসায় চিল্লুম নামে নতুন একজনের আগমন ঘটেছে। কৃষ্ণা ষোলাসালের সাথে সাক্ষাত করে এবং তাকে নিজের সাথে পালিয়ে যেতে রাজি করানোর চেষ্টা করে। ষোলাসাল জানায় যে সে বাবার প্রতি আগ্রহী এবং কৃষ্ণার প্রতি আর আগ্রহী নয়। ষোলাসাল তার প্রথম 'ক্লায়েন্ট' সেবার জন্য তাড়িত হয়। এদিকে, রেখাকে বলা হয়েছে যে কর্তৃপক্ষ তাদের মেয়েকে মুক্তি দেবে না, কারণ তার মা বেশ্যা। রাগান্বিত রেখা বাবাকে ছেড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, কিন্তু বাবা তার প্রতিশোধ নিতে তাকে মারধর করে। এসময় কৃষ্ণার সময়োপযোগী হস্তক্ষেপে রেখা বাবার কাছ থেকে রক্ষা পেয়েছিল। কৃষ্ণা রাগান্বিত হয়ে বাবাকে হত্যা করে এবং রেখাকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তারা গণেশ চতুর্থী উৎসবের কুচকাওয়াজের ভিড়ে নিজেদের হারিয়ে ফেলে।
""ট্র্যাফিক জংশনে আমার ট্যাক্সি ঘিরে বাচ্চাদের- বুদবুদ ফুঁকড়ানো, গান করা, প্রভৃতি দৃশ্য আকামে ভাবিয়ে তোলে। স্পষ্টতই এরা এমন একটি পৃথিবীতে বসবাসকারী যেখানে ভাগ্য তাদের জীবন ব্যতীত কিছুই দেয় নি। তবুও তারা তাদের নির্দিষ্ট জীবনযাত্রার সঙ্গে এখানে টিকে থাকছে। এসবই আমাকে আকর্ষণ করেছিল। তাদের দৈহিকতা, চেহারা এবং দেহগুলি বম্বের মানচিত্রের মতো ছিল।" |
— মিরা নায়ার[৫] |
বম্বের পথশিশুদের উদ্দীপনা থেকে মীরা নায়ারের এই চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রাথমিক অনুপ্রেরণা এসেছিল। নায়ারের ভাবনা আরো গভীর হয়ে ওঠে যখন তিনি তার সৃজনশীল সঙ্গী সোনি তারাপোরেভেলার সাথে বম্বের শিশুদের জীবন নিয়ে গবেষণা করেছিলেন। শুরু থেকেই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে পথশিশুদের চরিত্রে সত্যিকার পথশিশুদের নেয়া হবে। যেহেতু তাদের মুখের শৈশব এবং জ্ঞানের সংমিশ্রণটি পেশাদার শিশু অভিনেতাদের মধ্যে খুঁজে পাওয়া বিরল হবে, যারা সাধারণত রাস্তায় এই পরিবেশে বেড়ে ওঠে নি।[৫]
এছাড়াও হেক্টর বাবেঙ্কোর পিশট (১৯৮০) চলচ্চিত্র দেখার পর নায়ার এই চলচ্চিত্র নির্মাণের অনুপ্রেরণা পান। নায়ার বলেন, "শুটিংয়ের প্রথম দিন আমি খবর পেয়েছি যে, পিশট-এর চরিত্রে অভিনয় করা মূল অভিনেতা রাস্তায় গুলি খেয়ে মারা গিয়েছিলেন। এই ঘটনার পরে সালাম বম্বে! নির্মাণে আমি আরো দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলাম, এবং যদি আমরা লাভ করি তবে পথ শিশুদের সাথে চলচ্চিত্রের লভ্যাংশও ভাগ করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই।"[৬] চারটি প্রমাণ্যচিত্র নির্মাণের পর,[৭] সালাম বম্বে! ছিল মিরা নায়ারের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র।[৮]
সালাম বম্বে! চলচ্চিত্রের বেশিরভাগ চিত্রায়ণ করা হয়েছিল বম্বের বৃহত্তম এবং এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম নিষিদ্ধ পল্লি কামাঠিপুরার ফকল্যাণ্ড রোডে।[৯] মূল চরিত্রের বাইরে অন্যান্য দেহব্যাবসায়ীরা কামাঠিপুরার প্রকৃত দেহব্যাবসায়ী ছিল। চলচ্চিত্রের শিশু অভিনেতারাও প্রকৃত পথশিশু ছিল। মহড়ার জন্য গ্রান্ট রোড রেলওয়ে স্টেশনের নিকট একটি কক্ষ ভাড়া নেওয়া হয়েছিল, যেখানে প্রথম দিন প্রায় ১৩০ জন শিশুর মহড়া নেয়া হয়েছিল।[৫] পরবর্তীতে চলচ্চিত্রে উপস্থিতির পূর্বে ২৪ জন পথশিশুর একটি দল বিশেষ কর্মশালায় নাটকীয় প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছিল। যেখানে তাদের ধারাবাহিক অনুশীলন, সঙ্গীত, নৃত্য ও অভিনয়ের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। ধীরে ধীরে তাদের কাছ থেকে বম্বে শহর, তাদের বাবা-মা, যৌনতা, পাচার, মাদকব্যবসা, গ্যাং এবং তাদের অর্থোপার্জনের গল্প জানা হয়।[৫] এমনকি চলচ্চিত্রের দৃশ্যধারণের পূর্বে তাদেরকে পরিবারের সাথেও পুনরায় একত্রিত করা হয়েছিল।[৬] তাদের চিকিৎসার ব্যয়ভার গ্রহণ এবং চলচ্চিত্রে কাজ করার জন্য তাদের অর্থ প্রদান করা হয়েছিল এবং সে অর্থের কিছু অংশ স্থির আমানত হিসেবে রেখে দেওয়া হয়েছিল।[৫] চলচ্চিত্রে দুই মিনিটের একটি দৃশ্যে পত্রলেখকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইরফান খান, যেটি ছিল তার প্রথম চলচ্চিত্রে উপস্থিতি।[১০]
মুক্তির পর, চলচ্চিত্রে উপস্থিত শিশুদের পুনর্বাসনের জন্য, ১৯৮৯ সালে পরিচালক মীরা নায়ার সালাম বালক ট্রাস্ট নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন।[১১] চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছে এমন বেশিরভাগকেই শেষ পর্যন্ত এই ট্রাস্টের অধীনে সাহায্য করা হয়েছিল। শিশু মনোবিজ্ঞানী দিনাজ স্টাফোর্ড, চলচ্চিত্রের পরে শিশুদের সাথে কাজ করছেন।[৫] ট্রাস্টটি বর্তমানে কার্যকর রয়েছে, এবং বম্বে, দিল্লি এবং ভুবনেশ্বরে পথশিশুদের সহায়তা প্রদান করে থাকে। চলচ্চিত্রে কৃষ্ণার চরিত্রে অভিনয় করা শফিক সাইয়েদ বর্তমানে বেঙ্গালুরুতে অটোরিকশা চালক হিসাবে জীবনধারণ করেন।[১২]
চলচ্চিত্রটির নির্মাণে সংস্থা হিসেবে যুক্ত ছিল কেদহাজ, চ্যানেল ফোর ফিল্মস[২] দূরদর্শন, লা সেপ্ট সিনেমা, মীরাবাই ফিল্মস, জাতীয় চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন।[১][২] মীরা নায়ারের সঙ্গে একাধিক প্রযোজক চলচ্চিত্রটির প্রযোজনায় অংশ নিয়েছিল, যেখানে নির্বাহী প্রযোজনায় ছিলেন ফ্রান্সের গ্যাব্রিয়েল আউর, যুক্তরাজ্যের মাইকেল নোজিক এবং ভারতের অনিল তেজানী এবং সহ-নির্বাহী প্রযোজনায় চেরি রজার্স। এছাড়াও সহকারী প্রযোজনায় ছিলেন জেন বালফোর এবং সহ-প্রযোজক মিচ এপস্টাইন।[১৩]
সালাম বম্বে!: মিউজিক ফ্রম দ্য অরিজিনাল মোশন পিকচার্স সাউন্ডট্র্যাক শিরোনামে চলচ্চিত্রের সুরারোপ, সঞ্চালন এবং পরিচালনা করেছেন এল. সুব্রাহ্মণ্যম। যেটি ডিআরজি সঙ্গীত প্রকাশনি থেকে ১৯৮৮ সালে ক্যাসেট এবং সিডি সংস্করণে প্রকাশিত হয়। হাওড়া ব্রিজ (১৯৫৮) চলচ্চিত্রের জন্য কামার জালালাবাদী রচিত, ও. পি. নায়ার সুরারোপিত এবং গীতা দত্তের গাওয়া "মেরা নাম চিন চিন চু" গান এই চলচ্চিত্রে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এছাড়াও চলচ্চিত্রে প্রেক্ষাগৃহের একটি দৃশ্যে মি. ইন্ডিয়া চলচ্চিত্র থেকে কবিতা কৃষ্ণমূর্তির গাওয়া "হাওয়া হাওয়াই" গানে শ্রীদেবীর নৃত্য প্রদর্শিত হয়।[১৪][১৫]
সালাম বম্বে!: মিউজিক ফ্রম দ্য অরিজিনাল মোশন পিকচার্স সাউন্ডট্র্যাক | |
---|---|
কর্তৃক সাউন্ডট্র্যাক অ্যালবাম | |
মুক্তির তারিখ | ১৯৮৮ |
ঘরানা | মঞ্চ ও স্ক্রিন |
দৈর্ঘ্য | ৪৫:৩৭ |
সঙ্গীত প্রকাশনী | ডিআরজি |
পেশাদারী মূল্যায়ন | |
---|---|
পর্যালোচনা স্কোর | |
উৎস | মূল্যায়ন |
অলমিউজিক |
সকল গানের সুরকার এল. সুব্রাহ্মণ্যম, মেরা নাম চিন চিন চু কামার জালালাবাদী / ও.পি. নায়ার সুরারোপিত।
সালাম বম্বে!: মিউজিক ফ্রম দ্য অরিজিনাল মোশন পিকচার্স সাউন্ডট্র্যাক | |||
---|---|---|---|
নং. | শিরোনাম | পরিবেশনকারী | দৈর্ঘ্য |
১. | "মেইন টাইটেল" | এল. সুব্রাহ্মণ্যম | ৩:২১ |
২. | "চাইপো'স থিম" | এল. সুব্রাহ্মণ্যম | ১:২৩ |
৩. | "দ্য এন্ট্রি অব ষোলাসাল" | এল. সুব্রাহ্মণ্যম | ১:৩৩ |
৪. | "চিক মেলোডি" | এল. সুব্রাহ্মণ্যম | ০:৫৪ |
৫. | "মেরা নাম চিন চিন চু" | গীতা দত্ত | ৩:২৪ |
৬. | "চিলিম'স থিম" | এল. সুব্রাহ্মণ্যম | ৪:৫৬ |
৭. | "মাঞ্জু'স থিম" | এল. সুব্রাহ্মণ্যম | ১:১১ |
৮. | "চাইপো'স থিম" | এল. সুব্রাহ্মণ্যম | ০:৫৬ |
৯. | "স্ট্রিট চিলড্রেন সিং অ্যা ব্যালাড অব লস্ট প্রমিস" | এল. সুব্রাহ্মণ্যম | ১:৫৪ |
১০. | "সোল্স অব ডেড চিলড্রেন ফ্লোটিং" | এল. সুব্রাহ্মণ্যম | ১:১১ |
১১. | "এস্কেপ ফ্রম দ্য চিলার রুম" | এল. সুব্রাহ্মণ্যম | ২:১২ |
১২. | "বাবা কিসেস ষোলাসাল" | এল. সুব্রাহ্মণ্যম | ১:২১ |
১৩. | "ফেয়ারওয়েল অব মাঞ্জু" | এল. সুব্রাহ্মণ্যম | ২:২৫ |
১৪. | "চাইপো হেল্পস চিলুম এক্রোস দ্য ট্রাক্স" | এল. সুব্রাহ্মণ্যম | ১:১৫ |
১৫. | "দ্য ফাইনাল প্রোসেশন" | এল. সুব্রাহ্মণ্যম | ৪:৩১ |
১৬. | "চাইপো সেট্স ফায়ার টু ষোলাসাল'স বেড" | এল. সুব্রাহ্মণ্যম | ১:১৩ |
১৭. | "ষোলাসাল'স থিম" | এল. সুব্রাহ্মণ্যম | ১:০১ |
১৮. | "এস্কেপ ফ্রম দ্য চিলার রুম" | এল. সুব্রাহ্মণ্যম | ২:৫৪ |
১৯. | "ম্যাডলি: আর্টিস ফর দ্য গণপতি ফেস্টিভাল" | এল. সুব্রাহ্মণ্যম | ২:১৮ |
২০. | "চাইপো অ্যালোন" | এল. সুব্রাহ্মণ্যম | ২:২১ |
২১. | "এন্ড ক্রেডিট মিউজিক" | এল. সুব্রাহ্মণ্যম | ৩:২৩ |
মোট দৈর্ঘ্য: | ৪৫:৩৭ |
বাণিজ্যিক মুক্তির পূর্বে, চলচ্চিত্রটি একাধিক উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছিল। ১৯৮৮ সালের মে মাসে অনুষ্ঠিত কান চলচ্চিত্র উৎসবের ডিরেক্টরস ফোর্টনাইটে এটির প্রাথমিক প্রদর্শনী হয়। পরবর্তীতে ১৩ সেপ্টেম্বর টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এটি প্রদর্শিত হয়েছিল।[১৬]
১৯৮৮ সালের ২৪ আগস্ট ফ্রান্সে, সেপ্টেম্বর ভারতে, ৭ অক্টোবর ২৬তম নিউ ইয়র্ক চলচ্চিত্র উৎসবে,[১৭] ২০ ডিসেম্বর ইতালিতে, ২২ ডিসেম্বর বেলজিয়ামে চলচ্চিত্রটি মুক্তি দেয়া হয়।[১৬]
পরবর্তী বছর ১৯৮৯ সালের ১৩ জানুয়ারি ডেনমার্ক, ২ ফেব্রুয়ারি নেদারল্যান্ডস, ১০ ফেব্রুয়ারি ফিনল্যান্ড, ২৭ এপ্রিল পশ্চিম জার্মানি, ২৯ জুন অস্ট্রেলিয়া, ২৭ জুলাই আর্জেন্টিনা, ২৪ সেপ্টেম্বর কানাডার সিনেস্টেস্ট সড্বেরি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এবং ৩ নভেম্বর সুইডেন চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় এবং প্রদর্শিত হয়।[১৬]
১৯৯০ সালের ২৬ জানুয়ারি পূর্ব জার্মানি, ১০ মার্চ জাপান এবং ৫ এপ্রিল হাঙ্গেরি চলচ্চিত্রটির প্রদর্শনী হয়। পরবর্তী বছর ১৮ জানুয়ারি পর্তুগালে এটি মুক্তি দেয়া হয়।[১৬]
মার্কিন$৪৫,০০,০০০ মার্কিন ডলারে নির্মিত[২] সালাম বম্বে! মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় মার্কিন$২০,৮০,০৪৬ উপার্জন করে।[১৮]
ফ্রান্সে, চলচ্চিত্রটির ৬৩৩,৮৯৯টি টিকিট বিক্রি হয়েছিল।[১৯] ১৯৯১ সালের গড় টিকিটের দাম ৩৪ ফ্রাঙ্ক[২০] অনুযায়ী যা ২১,৫৫২,৫৬৬ ফ্রাঙ্ক (মার্কিন$৩৮,০৩,৩৯৪) এর সমমূল্য। জার্মানিতে, চলচ্চিত্রটির ২৫৮,৭২৮টি টিকিট বিক্রি হয়েছিল।[২১] ১৯৮৯ সালের গড় টিকিটের দাম ৯.৫ ডিএম[২২] অনুযায়ী যা ২,৪৫৭,৯১৬ ডিএম এর সমমূল্য। ১৯৮৮ সালের গড় বিনিময় হার ছিল ১ মার্কিন ডলার সমান ১.৫৮৫ ডয়চে মার্ক,[২৩] যা মার্কিন$১৫,৫০,৭৩৬ এর সমমূল্য।
ভারতের বাইরে বিদেশে বাজারগুলিতে সর্বমোট মার্কিন$৭৪,৩৪,১৭৬ উপার্জনের মাধ্যমে চলচ্চিত্রটি সেই সময়কার বিদেশের বাজারে সর্বাধিক উপার্জনকারী ভারতীয় চলচ্চিত্র হয়ে উঠে।[২৪] ১৯৮৮ সালের গড় বিনিময় হার ছিল ১ মার্কিন ডলার সমান ₹১৩.৯১৭১,[২৫] যা ₹ ১০,৩৪,৬২,১৭১ (ইউএস$ ১২,৬৪,৬৪৯.১৫) এর সমমূল্য।
২০০১ সালের ১২ ডিসেম্বর এবং ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি ফ্রান্সে চলচ্চিত্রটি পুনরায় মুক্তি দেয়া হয়। এছাড়াও ২০০৫ সালের ২৩ জুলাই পোলান্ডের নিউ হরাইজন্স চলচ্চিত্র উৎসবে চলচ্চিত্রটি প্রদর্শিত হয়। ২০১৩ সালের মার্চে ভারতের প্রেক্ষাগৃহে চলচ্চিত্রটি পুন:মুক্তি দেয়া হয়।[২৬] ২০১৫ সালের ৯ অক্টোবর বিএফআই লন্ডন চলচ্চিত্র উৎসবে, ১৮ অক্টোবর মার্কিন যুক্তরাষ্টের টালগ্রাস চলচ্চিত্র উৎসবে এটির প্রদর্শনী হয়েছিল। ২০১৬ সালের ১৬ নভেম্বর পোল্যান্ডের ফাইভ ফ্লেভার্স চলচ্চিত্র উৎসবে চলচ্চিত্রটি প্রদর্শিত হয়েছিল।[১৬]
সমষ্টিগত স্কোর | |
---|---|
উৎস | মূল্যায়ন |
মেটাক্রিটিক | ৭৮/১০০[২৭] |
রটেন টম্যাটোস | ৯৩%[২৮] |
পর্যালোচনা স্কোর | |
উৎস | মূল্যায়ন |
অলমুভি | [২৯] |
আইএমডিবি | [৩০] |
আলোসিনে | [৩১] |
রজারইবার্ট.কম | [৩২] |
সালাম বম্বে! মূলত চলচ্চিত্র সমালোচকদের, দর্শক এবং চলচ্চিত্র বোদ্ধাদের কাছ থেকে ইতিবাচক পর্যালোচনা অর্জন করেছিল, যারা চলচ্চিত্রটির সাংস্কৃতিক, ঐতিহাসিক এবং সামাজিক প্রভাব সম্পর্কে মন্তব্য করেছিলেন। চলচ্চিত্র পর্যালোচনা সমষ্টিগত ওয়েবসাইট রটেন টম্যাটোসে, চলচ্চিত্রটির ৭.৮১/১০ গড় রেটিংয়ের পাশাপাশি ২৯টি পর্যালোচনা ভিত্তিতে ৯৩% স্বীকৃতি রেটিং রয়েছে। সাইটটির সমালোচনামূলক বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়েছে, "সালাম বোম্বে! বিশ্বের এমন একটি অংশে জীবন যাচাই করে যা অনেক দর্শক কখনোই দেখেন নি- তবে তাদের যথেষ্ট অনুকম্পা ও অনুগ্রহের সাথে এমন মনে হবে যাতে ঘটে থাকে।"[২৮] মেটাক্রিটিক, যা এর পর্যালোচনাগুলিকে একটি ওজনদ্বার গড় রেটিং প্রদান করে, যেখানে চলচ্চিত্রটি ৪ জন সমালোচকদের উপর ভিত্তি করে ৭৮ স্কোর লাভ করেছে, যেখানে "সাধারণত অনুকূলভাবে পর্যালোচনা" অন্তর্ভুক্ত।[৩৩] এছাড়াও চলচ্চিত্র পর্যালোচনা সাইট অলমুভিতে চলচ্চিত্রটি ৪/৫,[২৯] আলোসিনেতে ৪/৫[৩১] এবং আইএমডিবিতে ৮/১০ গড় রেটিং রয়েছে।[৩০]
"সালাম বোম্বে! ব্রাজিলিয় পথ শিশুদের নিয়ে নির্মিত ১৯৮১ সালের পিশট চলচ্চিত্রের থেকে বেশ আলাদা। যদিও দুটি চলচ্চিত্রে স্পষ্টতই মিল রয়েছে, পিশটের শিশুরা অরাজকতা ও বর্বর জগতের, অন্যদিকে সালাম বোম্বের! শিশুরা বিনীত হলেও তারা একটি সম্প্রদায়ের।"
রজার ইবার্ট, সালাম বম্বে!, রজারইবার্ট.কম[৩২]
সামগ্রিক চলচ্চিত্র সম্পর্কে, মার্কিন চলচ্চিত্র সমালোচক রজার ইবার্ট বলেছেন, "সালাম বম্বে! নির্মাণের ইতিহাস চলচ্চিত্রের মতোই আকর্ষণীয়"[৩২] ইংরেজ লেখক হিলারি ম্যান্টেল মন্তব্য করেছেন, "একটি উষ্ণ এবং প্রাণবন্ত চলচ্চিত্র, যা মীরা নায়ার তৈরি করেছেন মাত্র কয়েকজন পেশাদার অভিনেতাকে নিয়ে।"[৩৪] শিকাগো রিডারের টেড শেন লিখেছেন, "হেক্টর বাবেঙ্কোর পিশট (১৯৮০) চলচ্চিত্রের মতো চলচ্চিত্রটিও অভাবনীয় কৌতূহলযুক্ত, তবে একজন মহিলার কোমলতায় এটি চরিত্রগুলিকে মাঝে মাঝে মুহূর্তের অনুগ্রহ দেয়।"[৩৫] টাইম পত্রিকার রিচার্ড কার্লিস লিখেছেন, "সালাম বোম্বে! কেবল বিদেশের ক্ষুধা ও গৃহহীনতার দুর্দশার দিকে আমেরিকান দৃষ্টি রাখা নয়, বরং আমেরিকান মনকে কোনো প্রকার রিম শট এবং সুখি সমাপ্তি ছাড়াই সিনেমার প্রাণশক্তির দিকে উন্মুক্ত করে তোলা, যা বিস্তৃত দর্শকমন্ডলীর দাবী রাখে।"[৩৬] মার্কিন চলচ্চিত্র সমালোচক ডেভ খেরের মতে, "নায়ারের কৃতিত্বের অধিকাংশে রয়েছে যে তিনি তার স্থানীয় বহিরাগতবাদেরও ব্যবহার করেন না।"[৩৭] মার্কিন চলচ্চিত্র সমালোচক ডেভিড স্টেরিট মনে করেন, গল্পটি মাঝে মাঝে যে কঠোর বাস্তবতার চিত্র তুলে ধরেছে তার মধ্যে সবচেয়ে ন্যূনতম প্রভাবগুলির মুখোমুখি হতে দ্বিধাগ্রস্থ বলে মনে হয়।[৩৮] তিনি বলেন, "চলচ্চিত্রটি মারাত্মকভাবে অভিনীত এবং সুন্দরভাবে চিত্রিত হয়েছে, যা ভারতীয়-মার্কিন পরিচালক মীরা নায়েরের এক দুর্দান্ত পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের আত্মপ্রকাশ হিসেবে চিহ্নিত।"[৩৯] পিটার ট্রেভার্স চলচ্চিত্রটিকে "কাব্যিক, শক্তিশালী এবং ধকলপূর্ণ, সালাম বোম্বে! ভাষা এবং সাংস্কৃতিক বাধা অতিক্রম করেছে" বলে মন্তব্য করেছিলেন।[৪০] মার্কিন চলচ্চিত্র সমালোচক, লেখক, এবং অধ্যাপক ইমানুয়েল লেভি বিবৃতি দেন যে "সালাম বম্বে বম্বের চোর, পতিতা এবং মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে এক ছেলের মর্মস্পর্শী অভিজ্ঞতা চিত্রিত করেছে। ভিত্তোরিও দে সিকার শুশশা (১৯৪৬), হেক্টর বাবেঙ্কোর পিশট এবং তার স্বদেশী সত্যজিৎ রায়ের প্রাথমিক কাজ সহ একাধিক ধ্রপদী শিশুতোষ চলচ্চিত্র দ্বারা অনুপ্রাণিত চলচ্চিত্রটি বম্বেের বস্তিকে আতিশয্য এবং রঙিন করেছিল।"[৪১] ভিনসেন্ট ক্যান্বি বলেছিলেন, "এই জাতীয় আশাহীনতা নিয়ে নির্মিত একটি চলচ্চিত্রের হিসেবে সালাম বম্বে আশ্চর্যজনকভাবে উৎসাহদায়ক।"[১৭] ক্রিস্টোফার নাল, চলচ্চিত্র সমালোচক, কলামিস্ট এবং প্রাক্তন ইয়াহু! ব্লগার! বলেছিলেন, "চলচ্চিত্রটির মাধ্যমে নায়ার স্পষ্টতই অনভিজ্ঞ অভিনেতাদের অভিনয় করার ক্ষেত্রে প্রাথমিক দক্ষতা প্রমাণ করেছেন, তবে তার লেখার প্রতিভা প্রায়ই অসম্পূর্ণ।"[৪২] ওয়াশিংটন পোস্টের রিটা কেম্পলে, "চলচ্চিত্রটি হেক্টর বাবেঙ্কোর পিশট চলচ্চিত্রের সাথে তুলনা করে বলেছেন, নায়ারের চলচ্চিত্রটি সমানভাবে যন্ত্রণাপ্রদ হওয়া সত্ত্বেও তার চেয়ে বেশি মমতাময়ী।[৪৩] টাইম আউট সাময়িকীর রুপার্ট স্মিথ বলেন, "রাস্তা থেকে নিয়ে আসা অভিনয়শিল্পীদের নিয়ে সালাম বোম্বে! বিরল কর্তৃত্ব এবং পরম করুণার সাথে চলচ্চিত্রের বিষয়গুলির মধ্যে প্রবেশ করতে সক্ষম।"[৪৪] চলচ্চিত্র পর্যালোচনা সাইট রেডিফ.কম-এর সমালোচক সুকন্যা বর্মা, সালাম বম্বে! "২৫ বছরে এখনও উজ্জ্বল" মন্তব্য করেন।[৪৫]
সংগঠন | অনুষ্ঠানের তারিখ | বিভাগ | প্রাপক এবং মনোনীত | ফলাফল | তথ্যসূত্র |
---|---|---|---|---|---|
কান চলচ্চিত্র উৎসব | মে, ১৯৮৮ | ক্যামেরা দো'র | মীরা নায়ার | বিজয়ী | [৪৬] |
দর্শক পুরস্কার | মীরা নায়ার | বিজয়ী | [৪৭] | ||
লস অ্যাঞ্জেলেস চলচ্চিত্র সমালোচক সমিতি | ১০ ডিসেম্বর ১৯৮৮ | নতুন জেনারেশন পুরস্কার | মীরা নায়ার | বিজয়ী | [৪৮] |
শ্রেষ্ঠ বিদেশি চলচ্চিত্র | মীরা নায়ার | মনোনীত | |||
ন্যাশনাল বোর্ড অব রিভিউ | ১৩ ডিসেম্বর ১৯৮৮ | শীর্ষ বিদেশী চলচ্চিত্র | মীরা নায়ার | বিজয়ী | [৪৯] |
বোস্টন সোসাইটি চলচ্চিত্র সমালোচক | ১৯৮৮ | শ্রেষ্ঠ বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র | মীরা নায়ার | বিজয়ী | [৫০] |
মন্ট্রিয়ল বিশ্ব চলচ্চিত্র উৎসব | ১৯৮৮ | জুরি পুরস্কার | মীরা নায়ার | বিজয়ী | [৫১] |
উৎসবের সর্বাধিক জনপ্রিয় চলচ্চিত্রের জন্য এয়ার কানাডা পুরস্কার | মীরা নায়ার | বিজয়ী | [৫১] | ||
একুম্যানিকাল জুরি পুরস্কার | মীরা নায়ার | বিজয়ী | [৫১] | ||
লস অ্যাঞ্জেলেস উইমেন ইন ফিল্ম ফেস্টিভাল | ১৯৮৮ | লিলিয়ান গিশ পুরস্কার (পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে শ্রেষ্ঠত্ব) | মীরা নায়ার | বিজয়ী | [৫২] |
গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার | ২৮ জানুয়ারি ১৯৮৯ | শ্রেষ্ঠ বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র | মীরা নায়ার | মনোনীত | [৫৩] |
সেজার পুরস্কার | ৪ মার্চ ১৯৮৯ | শ্রেষ্ঠ বিদেশী চলচ্চিত্র | মীরা নায়ার | মনোনীত | [৫৪] |
একাডেমি পুরস্কার | ২৯ মার্চ ১৯৮৯ | শ্রেষ্ঠ আন্তর্জাতিক পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র | মীরা নায়ার | মনোনীত | [৫৫] |
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার | মে ১৯৮৯ | শ্রেষ্ঠ হিন্দি ভাষার পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র | মীরা নায়ার | বিজয়ী | [৫৬] |
শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পী | শফিক সাইয়েদ | বিজয়ী | |||
আনোনয় আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব | ১৯৮৯ | দর্শক পুরস্কার | মীরা নায়ার | বিজয়ী | [৫৭] |
ব্রিটিশ একাডেমি চলচ্চিত্র পুরস্কার | ১১ মার্চ ১৯৯০ | ইংরেজি ভাষায় নয় শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র | মীরা নায়ার | মনোনীত | [৫৮] |
ফিল্মফেয়ার পুরস্কার | ১৯৯০ | শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র | মীরা নায়ার | মনোনীত | [৫৯] |
শ্রেষ্ঠ পরিচালক | মীরা নায়ার | মনোনীত | |||
শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী | অনিতা কানওয়ার | মনোনীত |