সালিহা সুলতান | |
---|---|
জন্ম | ১৬ জুন ১৮১১ তোপকাপি প্রাসাদ, কনস্টান্টিনোপল, উসমানীয় সাম্রাজ্য (বর্তমান ইস্তাম্বুল, তুরস্ক) |
মৃত্যু | ৫ ফেব্রুয়ারি ১৮৪৩ ফিন্ডিকলি প্রাসাদ, ইস্তাম্বুল, উসমানীয় সাম্রাজ্য | (বয়স ৩১)
সমাধি | সুলতান দ্বিতীয় মাহমুদের সমাধিসৌধ, দিভানিওলু, ইস্তাম্বুল |
দাম্পত্য সঙ্গী | দামাত গুরকু হালিল রিফাত পাশা (বি. ১৮৩৪) |
বংশধর | সুলতানজাদে আবদুল হামিদ বে এফেন্দি সুলতানজাদে ক্যাভিড বে এফেন্দি আয়সে শাদিকা হানিমসুলতান |
রাজবংশ | উসমানীয় |
পিতা | দ্বিতীয় মাহমুদ |
মাতা | আশুবকান কাদিন |
ধর্ম | সুন্নি ইসলাম |
সালিহা সুলতান (উসমানীয় তুর্কি: صالحه سلطان; ১৬ জুন ১৮১১ – ৫ ফেব্রুয়ারি ১৮৪৩) ছিলেন একজন উসমানীয় শাহজাদী। তিনি সুলতান দ্বিতীয় মাহমুদ এবং আশুবকান কাদিনের কন্যা। তিনি সুলতান প্রথম আব্দুলমেসিদ এবং আবদুল আজিজের সৎ বোন ছিলেন।
সালিহা সুলতান ১৮১১ সালের ১৬ জুন তোপকাপি প্রাসাদে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন সুলতান দ্বিতীয় মাহমুদ এবং মাতার নাম আশুবকান কাদিন। আয়েশে সুলতান ও শাহ সুলতান নামে তার দুইজন বোন ছিল, যারা ছোটবেলায় মারা যায়।[১][২] তিনি প্রথম আব্দুল হামিদ এবং নকশিদিল সুলতানের নাতনি ছিলেন।[৩]
১৮৩৪ সালে তার বয়স যখন তেইশ বছর হয়, তখন তার বাবা দামাত গুরকু হালিল রিফাত পাশার সাথে তার বিয়ে ঠিক করেন। ১৮৩৪ সালের ২২ মে শনিবার তুরস্কের ওয়াটারফ্রন্ট প্রাসাদে তাদের বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়। বিয়ের পর তাকে তুরস্কের ফিন্ডিকলি প্রাসাদে নিয়ে যাওয়া হয়।[১][৪]
জুলিয়া পার্ডো, যিনি বসফরাসের একটি জায়গা থেকে তার বিবাহ পর্যবেক্ষণ করেছিলেন। তিনি তুরস্কের ওয়াটারফ্রন্ট প্রাসাদের আলোকসজ্জা লক্ষ্য করেছিলেন। তিনি লিখেছেন যে, "প্রাসাদে পঞ্চাশ জন এর মতো সংগীতশিল্পী ছিল।"[৫] বিয়ের অনুষ্ঠানটি উসমানীয় সরকারি সংবাদপত্র তাকভিম-ই ভেকায়িতে লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল।[৬]
সালিহা সুলতানের দুই ছেলে ও এক মেয়ে ছিল।[৭][৮][৯][১০] জুলিয়া পার্ডো এর মতে, সালিহার আচরণে নম্রতার অভাব ছিল এবং তার বাবা দ্বিতীয় মাহমুদের সাথে তার সম্পর্ক বেশি ভালো ছিল না।[১১]
সালিহা সুলতান ১৮৪৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি একত্রিশ বছর বয়সে ফিন্ডিকলি প্রাসাদে মারা যান এবং সুলতান দ্বিতীয় মাহমুদের কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।[১২][১৩]
তার মৃত্যুর পর তার স্বামী ইসমেত হানিমকে বিয়ে করেন।[১৪] হালিল পাশা ও ইসমেত হানিমের দাম্পত্য জীবনে তাদের একজন পুত্র সন্তান ছিল, যার নাম আসাফ মাহমুদ। তিনি প্রথম আব্দুলমেসিদ এর মেয়ে সেনিহা সুলতানকে বিয়ে করেছিলেন।[১৫]
সালিহা সুলতানের দুইজন পুত্র ও একজন মেয়ে ছিল:
২০১৮ সালে তুরস্কের ঐতিহাসিক কল্পকাহিনী টিভি সিরিজ কালবিমিন সুলতানি-এ সালিহা সুলতানের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তুর্কি অভিনেত্রী আসলিহান মালবোরা।[১৬]
সালিহা সুলতান (দ্বিতীয় মাহমুদের কন্যা)-এর পূর্বপুরুষ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
|