শাইখ সালিহ আল-ফাওযান | |
---|---|
জন্ম | ১৯৩৩ সৌদি আরব |
অন্য নাম | সালিহ বিন ফাওযান বিন ‘আব্দুল্লাহ আল-ফাওযান |
জাতীয়তা | সৌদি |
জাতিভুক্ত | আরব |
যুগ | আধুনিক যুগ |
পেশা | ইসলামী ধর্মতত্ত্ববিদ, ধর্মপ্রচারক ও সদস্য, ঊর্ধ্বতন ‘উলামা পরিষদ |
সম্প্রদায় | সুন্নী ইসলাম |
মাজহাব | হাম্বলি |
শাখা | সালাফী, আছারী |
আন্দোলন | ওয়াহাবী আন্দোলন |
মূল আগ্রহ | আকীদা, ফাতাওয়া |
শিক্ষায়তন | ইমাম মুহাম্মদ ইবন সউদ ইসলামিক ইউনিভার্সিটি |
যাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন | |
ওয়েবসাইট | www |
সালিহ আল-ফাওযান (জন্মঃ ১৯৩৩ খ্রিঃ) একজন ইসলামী ধর্মতত্ত্ববিদ এবং সৌদি আরবের সর্বোচ্চ উলামা পরিষদের সদস্য। তার পদবি আল-ফাওযান নামেও বর্ণান্তরিত হয়ে থাকে। এছাড়া তিনি সালেহ ইবন ফাওজান ইবন আব্দুল্লাহ, সালেহ ইবন ফাওজান আল-ফাওজান, সালিহ ইবন আব্দুল্লাহ ইবন ফাওজান, সালেহ বিন ফাউজান আল-ফাওজান ও সালেহ আল-ফাওজান নামেও পরিচিত।[১]
সালেহ আল-ফাওজান আশ-শামসিয়্যাহ-এর ফাওজান পরিবার থেকে আগত। জনশ্রুতি রয়েছে তার পিতা যখন মারা যান তিনি তখন ছোট ছিলেন। এরপর পরিবারের অবশিষ্ট অভিভাবকের দ্বারা প্রতিপালিত হন।[২]
শাইখ ফাওজানের শিক্ষাজীবন শুরু হয় নিকটস্থ মসজিদের ইমামের কাছ থেকে কুরআন শিক্ষা ও মৌলিক জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে। এরপর তিনি আশ-শামসিয়্যাহর একটি সরকারি বিদ্যালয়ে ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর সেখানে অধ্যয়ন করেন। ১৯৫০ সালে তিনি বুরায়দাহ-তে অবস্থিত ফায়সালিয়্যাহ বিদ্যালয় থেকে সেখানকার পড়াশোনা সমাপ্ত করেন এবং শিক্ষক হিসেবে সেই বিদ্যালয়ে নিয়োগ লাভ করেন। ১৯৫২ সালে বুরায়দাহর এডুকেশনাল ইন্সটিটিউট চালু হবার পর শাইখ ফাওজান সেখানে ভর্তি হন এবং ১৯৫৬ সালে গ্রাজুয়েট হন। তিনি ১৯৬০ সালে ইমাম রিয়াদের মুহাম্মদ ইবন সউদ ইসলামিক ইউনিভার্সিটি থেকে শারিয়াহ ফ্যাকাল্টি থেকে গ্রাজুয়েট সম্পন্ন করেন। এরপর ফিকাহ-এর উপর মাস্টার্স ও ডক্টরেট করেন।[২]
ডক্টরেট সম্পন্ন করার পর তিনি রিয়াদের ইমাম মুহাম্মদ এডুকেশনাল ইন্সটিটিউট-এর শারিয়াহ ফ্যাকাল্টিতে শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হন। পরে তিনি উচ্চতর শিক্ষা বিভাগ ও উসুল আদ-দ্বীন ফ্যাকাল্টিতে স্থানাতরিত হন। তিনি পরবর্তীতে সৌদি আরবের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই পদ থেকে অব্যাহতির পরে পুনরায় তিনি অধ্যাপনায় ফিরে যান।[২]
তিনি সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ধর্মীয় সংস্থা “ঊর্ধ্বতন উলামা পরিষদ”-এর একজন সদস্য ছিলেন যা ধর্মীয় ব্যাপারে বাদশাহকে উপদেশ প্রদান করে থাকে। তিনি বর্তমানে ইসলামী গবেষণা ও ফাতাওয়া প্রদান স্থায়ী কমিটির সদস্য, যা “ঊর্ধ্বতন উলামা পরিষদ”-এর একটি কমিটি। এই পরিষদটি ঊর্ধ্বতন ধর্মতত্ত্ববিদের দ্বারা ইসলামী আইন বা ফিকাহ-এর বিষয় ও বিধিবিধান এবং গবেষণা পত্র প্রণয়ন করে থাকে।
শাইখ ফাওজান তার একটি রেকর্ড করা বক্তব্যে দাসত্বের ব্যাপারে বলেন যা ২০০৩ সালে আলোর মুখ দেখে এবং বিতর্কের মধ্যে পড়ে। তার বিতর্কিত উদ্ধৃতিটি হলঃ “দাসত্ব ইসলামের একটি অংশ............... দাসত্ব জিহাদের অংশ এবং জিহাদ ততদিন থাকবে যতদিন ইসলাম থাকবে।” যে আধুনিকতাবাদী ব্যাখ্যাতে বলা হয়ে থাকে “ইসলামে দাসত্ব সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয়েছে” তিনি সেই মতামতকে অগ্রাহ্য করেন এবং বলেন, “তারা অজ্ঞ, পণ্ডিত নয়... যে যাই বলুক তারা অবিশ্বাসীদের মতো কথা বলছে।”[১][৩]
২০১৪ সালের মার্চ মাসে বুফেতে খাদ্য গ্রহণ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হলে তিনি বলেন, “আমাকে দায়ী করা হয় আমি বুফেতে খাদ্য গ্রহণকে নিষিদ্ধ বলেছি, অথচ এটি আপাত মিথ্যা কল্পনা ও জালিয়াতি দ্বারা অনুপ্রাণিত”।[৪]
২০১৬ সালের মে মাসে আবার পশ্চিমা মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন যখন তিনি বিড়ালের সঙ্গে ছবি তোলার নতুন প্রবণতার ব্যাপারে বলেন। তাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, “কি? আপনি বিড়ালের সাথে ছবি তোলা বলতে কি বোঝাচ্ছেন?” এরপর তিনি বলেন, “অকারণে ছবি তোলাই নিষিদ্ধ, বিড়াল এখানে বিষয় না”।[৫][৬][৭][৮][৯]
Questioner: ... one of the contemporary writers is of the view that this religion, at its inception, was compelled to accept the institution of slavery ... [but] ... that the intent of the Legislator [i.e. God] is to gradually end this institution of slavery. So what is your view on this?
Shaikh Salih alFawzaan: These are words of falsehood (baatil) ... despite that many of the writers and thinkers -- and we do not say scholars -- repeat these words. Rather we say that they are thinkers (mufakkireen), just as they call them. And it is unfortunate, that they also call them `Du'at' (callers). ... These words are falsehood ... This is deviation and a false accusation against Islaam. And if it had not been for the excuse of ignorance [because] we excuse them on account of (their) ignorance so we do not say that they are Unbelievers because they are ignorant and are blind followers .... Otherwise, these statements are very dangerous and if a person said them deliberately he would become apostate and leave Islaam. ..."