মাওলানা, মুফতি মুহাম্মদ সাহুল ভাগলপুরী | |
---|---|
দারুল উলুম দেওবন্দ-এর ৫ম প্রধান মুফতি | |
কাজের মেয়াদ ১৩৫৫ হিজরি – ১৩৫৭ হিজরি | |
পূর্বসূরী | মুহাম্মদ শফি উসমানী |
উত্তরসূরী | কেফায়াতুল্লাহ গাঙ্গুহী |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
মৃত্যু | ১৯৪৮ (২৩ রজব ১৩৬৭ হিজরি) |
সমাধিস্থল | পুরেনি, ভাগলপুর |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | দারুল উলুম দেওবন্দ |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
ধর্ম | ইসলাম |
আখ্যা | সুন্নি হানাফি |
আন্দোলন | দেওবন্দি |
উল্লেখযোগ্য কাজ | ফাতাওয়ায়ে সুহুলিয়া |
দেওবন্দি আন্দোলন |
---|
সিরিজের অংশ |
মুহাম্মদ সাহুল ভাগলপুরী (মৃত্যু ১৯৪৮) ছিলেন একজন ভারতীয় মুসলিম পণ্ডিত ও বিচারক। যিনি দারুল উলুম দেওবন্দের পঞ্চম গ্র্যান্ড মুফতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তার নাম মুহাম্মদ সাহুল। তার নাসাব (বংশধারা) হচ্ছে: মুহাম্মদ সাহুল ইবনে আফজাল হুসাইন ইবনে আমির হাসান ইবনে রাজি উদ্দিন ইবনে শাহ কামাল ইবনে মুজাম্মিল ইবনে আফকাহুদ্দিন ইবনে আব্দুস সালাম ইবনে ফয়জুল্লাহ ইবনে উসমান ইবনে মুহাম্মদ রাজি ইবনে নাজিবুদ্দিন ইবনে জিয়াউদ্দিন ইবনে আহমদ ইকরাম ইবনে মুহাম্মদ ইবনে তাইয়েব ইবনে তাহির ইবনে মাসুদ ইবনে আবু সাঈদ আবান ইবনে উসমান।[১]
তিনি ভাগলপুরের পুরেনির বাসিন্দা।[২] তিনি বাড়িতে প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন করেন এবং তারপর আশরাফ আলমের নিকট পড়াশোনা করেন। তিনি মাদ্রাসা জামিউল উলুম কানপুরে চলে যান। সেখানে তিনি আশরাফ আলী থানভি এবং মুহাম্মদ ইসহাক বুর্দভানির নিকট পড়াশোনা করেন।[২] এরপর তিনি মুহাম্মদ ফারুক চিরাকোটির নিকট মাদ্রাসা ফয়জ-ই-আম-এ অধ্যয়ন করেন।[২]
তিনি হায়দ্রাবাদ যান যেখানে তিনি লুৎফুল্লাহ আলিগড়ী এবং আব্দুল ওয়াহাব বিহারি নিকট যুক্তি, দর্শন, জ্যোতির্বিজ্ঞান, সাহিত্য এবং ফিকহ অধ্যয়ন করেন। হায়দ্রাবাদ থেকে তিনি দিল্লি চলে আসেন এবং নাজির হোসেনের বক্তৃতায় অংশগ্রহণ করেন, এবং তারপর দারুল উলুম দেওবন্দে যোগ দেন। সেখানে তিনি মাহমুদ হাসান দেওবন্দীর নিকট হাদিস অধ্যয়ন করেন এবং সেখান থেকে স্নাতক হন।[২][৩]
তিনি স্নাতক হওয়ার পর দারুল উলুম দেওবন্দে শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হন। তিনি প্রায় সাত-আট বছর শিক্ষকতা করেন। এরপর তিনি মাদ্রাসায়ে আজিজিয়া, কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসা ও মাদ্রাসা-ই-আলিয়া, সিলেট হাদিস ও প্রধান শিক্ষকের হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[২] ১৯২০ সালে তিনি পাটনার মাদ্রাসা আলিয়া শামসুল হুদার প্রিন্সিপাল হিসেবে নিযুক্ত হন।[৩]
মুহাম্মদ শফি উসমানীর স্থলাভিষিক্ত হয়ে তিনি ১৩৫৫ হিজরী থেকে ১৩৫৭ হিজরী পর্যন্ত দারুল উলুম দেওবন্দের পঞ্চম প্রধান মুফতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৫,১৮৫ টি ফতোয়া জারি করেন।[২] তিনি ১৯৪৮ সালে (২৭ রজব ১৩৬৭ হিজরীতে) মারা যান এবং পুরেনিতে সমাহিত করা হয়।[২]
উত্তর নাজিমাবাদের দারুল সুহুলে তার মাহমূদুল ফাতাওয়া প্রকাশিত হয়, যা ফাতাওয়ায়ে সুহুলিয়া নামে অধিক পরিচিত। তিনি ফাতাওয়ার পুরনো প্রতিলিপিটি তার নাতি মুহাম্মদ সাদুল্লাহ উসমানী কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত জামিয়া উলুমুল ইসলামিয়ার শিক্ষক মুহিবুল্লাহকে প্রদান করেন। মুহিবুল্লাহ এই বিষয়ে কাজ করেন এবং ফাতাওয়া রচনা ও প্রকাশ করেন।[৪]