সিউল কেন্দ্রীয় মসজিদ | |
---|---|
서울중앙성원 서울中央聖院 | |
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | সুন্নি ইসলাম |
মালিকানা | কোরিয়া মুসলিম ফেডারেশন |
অবস্থান | |
অবস্থান | ইতেওয়ান, সিউল, দক্ষিণ কোরিয়া |
স্থানাঙ্ক | ৩৭°৩২′০″ উত্তর ১২৬°৫৯′৫১″ পূর্ব / ৩৭.৫৩৩৩৩° উত্তর ১২৬.৯৯৭৫০° পূর্ব |
স্থাপত্য | |
ধরন | মসজিদ |
সিওল কেন্দ্রীয় মসজিদ (কোরীয়: 서울중앙성원) দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিওলের ইতেওয়ানে অবস্থিত একটি মসজিদ। মসজিদটি ১৯৭৬ সালে স্থাপিত হয়। মসজিদটি ইওংসান জেলার হান্নাম-ডং-এ অবস্থিত। মসজিদে ইংরেজি, আরবি এবং কোরীয় ভাষায় খুতবা দেওয়া হয়।[১] প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজ চার থেকে পাঁচ শতাধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করে,[২] যদিও নিয়মিত উপস্থিতি মাঝে মাঝে আটশো লোকের উপরে উঠে যায় বলে জানা যায়।[১]
মসজিদটি নির্মাণের দশক বা তারও আগে কোরীয় মুসলিম ফেডারেশন (মূলত কোরীয় মুসলিম সোসাইটি নামে পরিচিত) সিউল শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত একটি অস্থায়ী প্রার্থনা হল-এ সেবা প্রদান করেছিল। ঐ সময় তিন হাজারেরও কম মুসলমান কোরিয়ায় বসবাস করতো বলে জানা গিয়েছিল।[৩]
রাষ্ট্রপতি পার্ক চুং-হে কোরীয় মুসলিম ফেডারেশনকে জমির প্রস্তাব দিয়েছিলেন মসজিদটি নির্মাণ করার জন্য, যার ফলে মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলোর সাথে নব্য কোরিয়ার সুসম্পর্ক স্থাপিত হয়।[৩] সৌদি আরব এবং বেশ কয়েকটি মধ্য প্রাচ্যের দেশের সরকার মসজিদটি নির্মাণে সহায়তার জন্য অর্থ সরবরাহের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল।[২] বেশিরভাগ তহবিল সৌদি আরব থেকে এসেছিল।[৪]
সিউল কেন্দ্রীয় মসজিদ খোলার এক বছরের মধ্যেই কোরিয়ায় মুসলমানের সংখ্যা তিন হাজারের কম থেকে পনের হাজারের বেশি বেড়েছে। ১৯৯০-এর দশকে পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং ইন্দোনেশিয়ার মতো মুসলিম দেশগুলো থেকে প্রচুর সংখ্যায় আসা বিদেশী কর্মীদের সাথে এই সংখ্যাটি আবারও তীব্রভাবে বেড়ে এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজারে পৌঁছায়। ধারণা করা হয়, আজ দক্ষিণ কোরিয়ায় কমপক্ষে এক লক্ষ[৩] (যদিও কিছু ধারণা অনুযায়ী প্রায় দুই লক্ষ)[৫] মুসলমান রয়েছে।
সিউল কেন্দ্রীয় মসজিদ খোলার পর পুরো কোরিয়ায় আরও সাতটি মসজিদ নির্মিত হয়েছে।[৩] তবে সিউল কেন্দ্রীয় মসজিদটি রাজধানী এলাকার একমাত্র মসজিদ এবং এটি সিউলে ইসলামি সাংস্কৃতিক সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসাবে কাজ করে। মসজিদকে ঘিরে একটি ব্যস্ত বাণিজ্যিক এলাকা গড়ে উঠেছে, যেখানে প্রাথমিকভাবে মধ্য প্রাচ্যের রন্ধনপ্রণালী ও অন্যান্য হালাল খাবার বিক্রয় ও প্রস্তুত করা হয়।[২]
২০০৭ সালে আফগানিস্তানে দক্ষিণ কোরিয়া জিম্মি সংকট চলাকালীন, সিউল কেন্দ্রীয় মসজিদে খ্রিস্টান দল কর্তৃক ইসলাম বিরোধী আন্দোলন হয়। সেখানে মুসল্লি ও মসজিদের উপর আক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য উল্লেখযোগ্য পরিমাণ পুলিশ মোতায়ন করা হয়।[১][৫]
মসজিদটি বৈশিষ্ট্যগতভাবে ইসলামি নকশার জন্যও বিখ্যাত। ভবনের বিশাল মিনারগুলি এবং এর প্রবেশপথের নিকটে খোদাই করা আরবি ক্যালিগ্রাফি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
এশিয়ার মসজিদ বা অন্য ইসলামি উপাসনালয় বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |