![]() | |||||||
| |||||||
প্রতিষ্ঠাকাল | ১ মে ১৯৪৭মালায়ান এয়ারওয়েজ নামে) | (||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
কার্যক্রম শুরু | ১ অক্টোবর ১৯৭২ | ||||||
হাব | সিঙ্গাপুর চাঙ্গি বিমানবন্দর | ||||||
নিয়মিত যাত্রী প্রোগ্রাম |
| ||||||
জোট | স্টার অ্যালায়ান্স | ||||||
অধীনস্ত কোম্পানি | Budget Aviation Holdings [১] সিল্ক এয়ার সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন কার্গো | ||||||
বিমানবহরের আকার | ১০৬ | ||||||
গন্তব্য | ৬৪ | ||||||
প্রধান কোম্পানি | তিমাসেক হোল্ডিংস (৫৬%) | ||||||
প্রধান কার্যালয় | এয়ারলাইন হাউস ২৫ এয়ারলাইন রোড সিঙ্গাপুর ৮১৯৮২৯ সিঙ্গাপুর | ||||||
গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি | গোঃ চুং ফং (CEO) | ||||||
আয় | ![]() | ||||||
পরিচালন আয় | ![]() | ||||||
নিট আয় | ![]() | ||||||
কর্মচারী | ২৩,৯৬৩ (FY 2014/15) | ||||||
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক তথ্যক্ষেত্র |
সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স লিমিটেড (এসআইএ; এসজিএক্স: সিসিক্সএল) হল সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী বিমান যা প্রধান কেন্দ্র চাঙ্গি বিমানবন্দর হতে চলাচল করে থাকে ।
সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স গ্রুপের এয়ারলাইন সম্পর্কিত অধীনস্থ অনেকগুলো সাবসিডিয়ারি রয়েছে: সিআইএ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত এবং নির্মাণ কাজ সংক্রান্ত ব্যবসার সাথে সংযুক্ত যা নয়টি দেশে পরিচালিত হয়ে থাকে, কোম্পানিটি বোয়িং এবং রোলস রয়েস এর মত বিখ্যাত কোম্পানি সহ ২৭ টি যৌথ উদ্যোগের সাথে যুক্ত রয়েছে । সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স কার্গো সিআইএ এর ফ্রেইটার ফ্লিট এবং যাত্রী বহনকারী বিমানের কার্গোর ধারণ ক্ষমতা ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করে থাকে [২][৩]
যাত্রী পরিবহনকারী বিমান হিসাবে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স এর স্থান পৃথিবীর প্রথম ১৫ টি এয়ারলাইন্সের মধ্যে অন্যতম ।[৪] এটি এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম একটি এয়ারলাইন্স ।
সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স ১৯৪৭ সালের ১ মে মালয়েশিয়ান এয়ারওয়েজ লিমিটেড এর সাথে ইনকর্পোরেশনের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে, লিভারপুলের ওশান স্টিমশীপ কোম্পানি, সিঙ্গাপুরের স্ট্রেটস স্টিমশীপ কোম্পানি এবং ইম্পেরিয়াল এয়ারওয়েজের দ্বারা । এয়ারলাইনটির প্রথম ফ্লাইট সিঙ্গাপুরের ব্রিটিশ স্ট্রেটস সেটেলমেন্ট হতে কুয়ালালামপুরে একটি চার্টার্ড ফ্লাইট ছিল, যা ১৯৪৭ সালের ২ এপ্রিল দুই এনজিনওয়ালা বিমান এয়ারস্পীড কনসাল ব্যবহারের মাধ্যমে পরিচালিত হয় ।[৫]
সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স মূলত সিঙ্গাপুর সরকারের মালিকানাধীন, তবে হোল্ডিং কোম্পানী তেমাসেক হোল্ডিংস এয়ারলাইন্সটির ৫৬% শেয়ারের অংশীদার ।[৬] সিঙ্গাপুর সরকার, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এয়ারলাইন্সটির একটি গোল্ডেন শেয়ারের অংশীদার ।
সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের সদর দপ্তর সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি এলাকার চাঙ্গি বিমানবন্দরে এয়ার লাইন হাউসে অবস্থিত ।[৭]
সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের বিমান সিঙ্গাপুরে এর প্রধানকেন্দ্র হতে ছয়টি মহাদেশের ৩২ টি দেশের ৬২ টি গন্তব্যস্থলে যাতায়াত করে থাকে।
সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স এয়ার কানাডা, এয়ার চায়না, এয়ার ইন্ডিয়া, মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্স, ভার্জিন আমেরিকা, ভার্জিন অস্ট্রেলিয়া, এয়ার নিউজিল্যান্ড, ইজিপ্ট এয়ার, জেটব্লু এয়ারওয়েজ, লুফথানসা এর মত বড় বড় এয়ারলাইন্সের সাথে কোড শেয়ার করে থাকে ।[৮]
সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স বর্তমানে চার ধরনের বিমান থেকে পছন্দকৃত বিমান পরিচালনা করে থাকে; এয়ারবাস এ৩৩০(Airbus A330), এয়ারবাস এ৩৫০(Airbus A350), এয়ারবাস এ৩৮০(Airbus A380) এবং বোয়িং ৭৭৭(Boeing 777), ২০১৬ সালের ৩১ মে অনুসারে এয়ারলাইন্সটি দ্বারা পরিচালিত সর্বমোট বিমান সংখ্যা ১০৬টি ।[১১]
কেবিনের ক্ষেত্রে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স পাঁচ ধরনের সার্ভিস প্রদান করে থাকে-স্যুইট, ফার্স্ট ক্লাস, বিজনেস ক্লাস, ইকোনমি ক্লাসের এবং প্রিমিয়াম ইকোনমি ক্লাস । ২০০৬ সালের ১৭ অক্টোবর এয়ারলাইনটির কেবিন সেবার ক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয় ।[১২] এটি ছিল আট বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ধরনের পরিবর্তন এবং এতে প্রায় ৫৭০ মিলিয়ন ডলার খরচ হয় ।[১৩]
প্রতিটি ফ্লাইটে নানারকমের সুস্বাদু খাদ্য পরিবেশনের ক্ষেত্রে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের সুনাম রয়েছে । যাত্রীদের নিজ নিজ দেশ বা অঞ্চলের খাবার ফ্লাইটগুলোতে পরিবেশিত হয়ে থাকে । ২০১০ সালে এয়ারলাইনটি সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের ক্যাটারিং সার্ভিস এর পক্ষ হতে যাত্রীদের ফুড সার্ভিস এর গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর লক্ষ্যে আবাভ এন্ড বিয়ন্ড নামে একটি কুকবুক পাবলিশ করা হয় ।[৯]
বিজনেস ক্লাস এবং প্রথম শ্রেণীর যাত্রীরা কিছু কিছু ফ্লাইটে "বুক দ্যা কুক" এর মাধ্যমে তাদের পছন্দনীয় খাবার মেনু আগাম নির্বাচন করতে পারে, যেখানে তাদের পছন্দনীয় খাবার রান্না করে পরিবেশন করা হয় ।[১৭]
কৃশওয়ার্ল্ড হচ্ছে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের যাত্রীদের ভ্রমণাবস্থায় বিনোদন ব্যবস্থা, যা ১৯৯৭ সাল হতে বোয়িং ৭৪৭-৪০০(Boeing 747-400), এয়ারবাস এ৩১০-৩০০(Airbus A310-300), এয়ারবাস এ৩৪০-৩০০(Airbus A340-300) এবং বোয়িং ৭৭৭-২০০(Boeing 777-200) তে চালু করা হয় ।[১৮] কৃশওয়ার্ল্ড এর ফিচারগুলো হচ্ছে: