আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল | |
---|---|
আইসিসি মর্যাদা | সহযোগী সদস্য (১৯৭৪) |
আইসিসি অঞ্চল | এশিয়া |
বিশ্ব ক্রিকেট লিগ | তৃতীয় |
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট | |
প্রথম আন্তর্জাতিক | ২৭ মে, ১৯২৭ বনাম ডব্লিউএএস ওল্ডফিল্ড’স একাদশ, পাদাং, সিঙ্গাপুর |
১৮ জুলাই, ২০০৮ অনুযায়ী |
সিঙ্গাপুর জাতীয় ক্রিকেট দল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে সিঙ্গাপুরের প্রতিনিধিত্ব করছে। ১৯৭৪ সালে দলটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের সহযোগী সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়।[১] ১৯৮৬ ও ২০০৫ সালের প্রতিযোগিতা বাদে আইসিসি ট্রফির প্রতিটি আসরে (বর্তমান আইসিসি বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব) অংশ নিয়েছে।[২] ২০০৮ সালে বিশ্ব ক্রিকেট লীগ ৫ম বিভাগে তারা পঞ্চম স্থান দখল করায় ২০০৯ সালে আইসিসি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে খেলার সুযোগ হারায়।[৩][৪]
এছাড়াও দলটি এসিসি ট্রফি ও এর পূর্বসূরী দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ান টুর্নামেন্টের প্রতিটি আসরে খেলে। প্রতি বছর মালয়েশিয়ার বিপক্ষে তিনদিনের খেলায় সদারা কাপে ও একদিনের সিরিজে স্তান নাগাইয়া ট্রফিতে খেলে। ১৯৯১ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত টুঙ্কু জাফর কাপে মালয়েশিয়া, হংকং ও থাইল্যান্ডের সাথে খেলে।[৫]
১৮৩৭ সালে সিঙ্গাপুরে সর্বপ্রথম ক্রিকেট খেলার কথা জানা যায়। সিঙ্গাপুর ফ্রি প্রেসে মি. জেড অভিযোগ করেন যে, গীর্জার কাছাকাছি ক্রিকেট খেলার ফলে রবিবাসরীয় বিশ্রামে ব্যাঘাতের সৃষ্টি ঘটে। এরফলে ১৯৩০-এর দশক পর্যন্ত স্থানটিতে রবিবারে খেলা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।[৫]
ভ্রমণতরীতে কর্মকর্তাগণ বিনোদনের উদ্দেশ্যে ক্রিকেট খেলেছেন। ১৮৫২ সালে সিঙ্গাপুর ক্রিকেট ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয়। একই বছর নিজেদের মধ্যে তারা প্রথম খেলায় অংশ নিয়েছিল। কিন্তু শুরুর দিকে খেলার মান ভীষণ দূর্বল ছিল। ১৮৬৫ সালের পূর্ব পর্যন্ত কোন দলই শতাধিক রান করতে পারেনি।[৫] দুই বছর পর প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে লুইস গ্লাস সেঞ্চুরি করার বিরল কৃতিত্ব অর্জন করেন।[৬]
ব্রিটিশ মালয়ের অন্তর্ভুক্ত পেনাং, পেরাক ও কুয়ালালামপুরের বিপক্ষে সিঙ্গাপুর ক্রিকেট ক্লাব খেলতে শুরু করে।[৬] এরফলে হংকংয়ে দল প্রেরণের জন্য আমন্ত্রণ আসে। এভাবেই আন্তঃবন্দর খেলার ন্যায় দীর্ঘকালীন সিরিজের সূত্রপাত ঘটে যা ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত চলমান ছিল।[৫]
হংকংয়ের কাছ থেকে আমন্ত্রণ পাবার পর ১৮৯০ সালে স্ট্রেইটস সেটেলম্যান্ট ক্রিকেট দল গঠিত হয়। দলটি দুইটি দুই-দিনের খেলায় অংশ নিলেও উভয়টিতেই পরাজিত হয়। পরের বছর হংকং ও সিলন সিঙ্গাপুরে খেলতে যায়। স্বাগতিক দল উভয়টিতেই জয় পায় ও সিলন/হংকংয়ের সম্মিলিত দলের বিরুদ্ধে ড্র করে।
১৯৭৪ সালে সিঙ্গাপুর আইসিসি’র সহযোগী সদস্যের মর্যাদা পায়।[১] তিন বছর পর প্রথমবারের মতো সদরা কাপের শিরোপা পায়। ১৯৭৮ সালে সফরকারী ভারতের বিপক্ষে খেলে।[৬] ঐ খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হয়। ১৯৭৯ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত প্রথম আইসিসি ট্রফিতে গ্রুপ পর্যায়ে ৪র্থ স্থান দখল করে। দলটি কেবলমাত্র আর্জেন্টিনার বিপক্ষে বিজয়ী হয়।[৭] ১৯৮২ সালের প্রতিযোগিতায় গ্রুপ পর্বে ৮ দলের মধ্যে ৪র্থ স্থান পায়। কিন্তু, ১৯৮৬ সালের প্রতিযোগিতায় চাকরি থেকে ছুটি না পাওয়ায় অনেক খেলোয়াড় অংশ না নেয়ায় নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে।[৫]