মুদ্রা | সিঙ্গাপুর ডলার (SGD/S$) |
---|---|
১ এপ্রিল – ৩১ মার্চ | |
বাণিজ্যিক সংস্থা | ডব্লিউটিও, এপেক, আইওআর-এআরসি, আসিয়ান |
পরিসংখ্যান | |
জিডিপি | $২৯৬.১ বিলিয়ন (২০১৫ প্রাক্কলন)[১]Int$৪৭০.৫৫১ বিলিয়ন (পিপিপি; ২০১৫ প্রাক্কলন)[১] |
জিডিপি ক্রম | ৩৬তম (২০১৪) / ৪০তম (পিপিপি, ২০১৪) |
জিডিপি প্রবৃদ্ধি | -৪.৬% (Q2 ২০১৫)[২] |
মাথাপিছু জিডিপি | $৫৩,৬০৪ (২০১৫ প্রাক্কলন)[১]Int$৮৫,১২৭ (পিপিপি, ২০১৫ প্রাক্কলন)[১] |
খাত অনুযায়ী জিডিপি | (২০১৪)সেবাখান: ৭৫%শিল্প: ২৫%কৃষিকার্য: ০% |
১% (২০১৪ প্রাক্কলন) | |
দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থিত জনসংখ্যা | প্রযোজন্য নয় |
৪৬.৪ (২০১৪) | |
শ্রমশক্তি | ৩.৬২৭৫ মিলিয়ন (জুন, ২০১৫) [৩] |
পেশা অনুযায়ী শ্রমশক্তি | (২০১৪)সেবা: ৮৩.৯%শিল: ১৪.৮%কৃষিকার্য: ১.৩% |
বেকারত্ব | ২% (২০১৫ প্রাক্কলন) |
প্রধান শিল্পসমূহ | তালিকা
|
১ম[৪] | |
বৈদেশিক | |
রপ্তানি | S$৫১৮.৯২২ বিলিয়ন (২০১৪) [৫] |
রপ্তানি পণ্য | তালিকা
|
প্রধান রপ্তানি অংশীদার | (২০১৩) Malaysia ১২.২% China ১১.৮% Hong Kong ১১.২% Indonesia ৯.৯% United States ৫.৮% Japan ৪.৩% South Korea ৪.১% |
আমদানি | S$৪৬৩.৭৭৯ বিলিয়ন (২০১) [৬] |
আমদানি পণ্য | |
প্রধান আমদানি অংশীদার | (২০১৩) China ১১.৭% Malaysia ১০.৯% United States ১০.৪% South Korea ৬.৪% Japan ৫.৫% Indonesia ৫.২% United Arab Emirates ৪.৪% |
এফডিআই স্টক | US$৯০০.২ বিলিয়ন (২০১৪ প্রাক্কলন - দেশ)US$৫১৭.৮ বিলিয়ন (২০১৪ প্রাক্কলন - বিদেশ) |
US$৬১.১৭২ বিলিয়ন (২০১৫ প্রাক্কলন) [৭] | |
মোট বৈদেশিক ঋণ | S$১.৮১৩ ট্রিলিয়ন (Q1 2015) [৮] |
S$৭৩৮.১১ বিলিয়ন (Q1 2015) [৯] | |
সরকারি অর্থসংস্থান | |
জিডিপ ১০৩.২ (২০১৪ প্রাক্কলন) | |
রাজস্ব | S$৫৯.৯৯৫৪ বিলিয়ন (২০১৪) [১০] |
ব্যয় | S$৫৬.৬৪৮২ বিলিয়ন (২০১৪) [১১] |
অর্থনৈতিক সহযোগিতা | নেই |
বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার | US$২৫১.৬ বিলিয়ন (৩১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫) [১৪] |
মূল উপাত্ত সূত্র: সিআইএ ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুক মুদ্রা অনুল্লেখিত থাকলে তা মার্কিন ডলার এককে রয়েছে বলে ধরে নিতে হবে। |
সিঙ্গাপুরের অর্থনীতি ঐতিহাসিকভাবে সর্বাপেক্ষা উন্নত মুক্ত বাজার অর্থনীতির ফসলরূপে গড়ে উঠেছে।[১৫][১৬] হংকং, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান ও সিঙ্গাপুর - এ চারটি এশিয়ার অর্থনীতিতে বাঘ হিসেবে পরিচিতি পেলেও মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) দিক থেকে সিঙ্গাপুর বেশ এগিয়ে রয়েছে। বিশ্বে মাথাপিছু আয়ের দিক দিয়ে এটি তৃতীয় সর্বোচ্চস্থানীয়। মোট দেশজ উৎপাদনের হার ১৪.২%।[১৭] এ দেশের অর্থনীতি অন্যতম মুক্ত,[১৮] অন্যতম সংস্কারবাদী, সর্বাপেক্ষা প্রতিযোগিতামূলক, সর্বাপেক্ষা গতিশীল ও সর্বাপেক্ষা ব্যবসায়-বান্ধব।[১৯] ২০১৫ সালে ইকোনোমিক ফ্রিডমের ইনডেক্সে বিশ্বের দ্বিতীয় মুক্ত অর্থনীতির দেশ হিসেবে সিঙ্গাপুরকে চিত্রিত করা হয়েছে। এছাড়াও, করাপশন পারসেপশনস ইনডেক্সে সিঙ্গাপুরকে নিউজিল্যান্ড ও অন্যান্য স্ক্যান্ডিনেভীয় দেশগুলোর সাথে বিশ্বের সর্বাপেক্ষা কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশরূপে ৭ম স্থানের রাখা হয়েছে।[২০] এখানে করের হার খুবই কম।
সরকারের সাথে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলো দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখার ক্ষেত্রে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখছে। বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীগণ ও প্রতিষ্ঠানগুলো আকর্ষণীয় ব্যবসায় উপযোগী পরিবেশ ও স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশের সুযোগ নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে।[২১]
সঠিক ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার ফলে ইলেকট্রনিকস, রাসায়নিক ও সেবাখাত রফতানী করছে যা দেশের রাজস্ব বৃদ্ধির প্রধান উৎস।[২২][২৩][২৪] দক্ষ মানবসম্পদও সিঙ্গাপুরের অর্থনীতির প্রধান উৎসস্থল। সিঙ্গাপুরীদের স্বাস্থ্যসেবা ও অবসরকে ঘিরে সরকার উচ্চ পর্যায়ের সঞ্চয়ী ও বিনিয়োগ নীতি গ্রহণ করে। ১৯৭০-এর দশক থেকে সিঙ্গাপুরের সঞ্চয়ের হার বিশ্বের সর্বোচ্চ।[২৫]
মধ্যস্থতাকারী ব্যবসা হিসেবে তরল ও তৈলের ন্যায় কাঁচামাল ক্রয় করে পুনরায় রফতানী করছে। ২০০৮-১১ সময়কালে জিডিপি’র অনুপাত ছিল আকাশচুম্বী যা ৪০০%।[২৬] কার্গো আদান-প্রদানে সিঙ্গাপুর বন্দর বিশ্বের তৃতীয় ব্যস্ততম বন্দর।
১৯৬৫ থেকে মালয়েশিয়া থেকে স্বাধীনতা লাভের পর সিঙ্গাপুরের অর্থনীতি বেশ ছোট ধরনের ছিল।[২৫] পাশাপাশি বেকারত্ব ও দারিদ্রতাও ছিল উচ্চ পর্যায়ের। ৭০ শতাংশ নাগরিক জনবহুল পরিবেশে মানবেতর জীবনযাপন করতো। শহরের বস্তিগুলোয় এক-তৃতীয়াংশ লোকের বাসস্থা ছিল। বেকারত্বের হার ১৪% ও মাথাপিছু আয় $৫১৬ মার্কিন ডলার।[২৭][২৮] এছাড়াও মোট জনসংখ্যার অর্ধেক লোক অশিক্ষিত ছিল।
ফলশ্রুতিতে সিঙ্গাপুর সরকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন সংস্থা গঠন করে ও বিদেশ বিনিয়োগের দিকে মনোনিবেশ ঘটায়।[২৮] ২০০১ সালে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের ৭৫% বিদেশী প্রতিষ্ঠান ও উৎপাদিত দ্রব্যের ৮৫% বিদেশে রফতানী করা হয়েছিল।[২৫] ১৯৯২ সালের মধ্যে দেশের মূলধন ৩৩গুণ বৃদ্ধি পায়।[২৯] জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পেতে থাকে ও নিম্নশ্রেণীর পরিবারগুলো মধ্যবিত্তশ্রেণীতে পরিণত হয়। ১৯৮৭ সালে জাতীয় দিবসের শোভাযাত্রার বক্তৃতায় লি কুয়ান ইউ বলেন যে, নাগরিকদের ৮০% এখন মধ্যবিত্তশ্রেণী হিসেবে দাবী করতে পারেন।
১৯৬০ থেকে ১৯৯৯ সালের মধ্যে দেশের গড় উৎপাদন ৮.০% ছিল। ১৯৯৯ সালে আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সঙ্কটে এ হার ৫.৪% থাকলেও ২০০০ সালে ৯.৯% হয়। ২০০৩ সালে সার্স ছড়িয়ে পড়লে সিঙ্গাপুরেও এর প্রভাব পড়ে।
টেলিযোগাযোগ, গণমাধ্যম, প্রতিরক্ষা, বন্দর, বিমানবন্দর পরিচালনসহ ব্যাংকিং, শিপিং, বিমান, অবকাঠামো ও আবাসন ব্যবস্থায় সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো অংশ নিচ্ছে।[৩০] নভেম্বর, ২০১১ সালে জিএলসিভূক্ত শীর্ষ ছয়টি প্রতিষ্ঠান সিঙ্গাপুর এক্সচেঞ্জের মোট অর্থের ১৭ শতাংশ দখল করে আছে।
জৈবপ্রযুক্তি শিল্পে সিঙ্গাপুরে শতশত মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে। অবকাঠামো নির্মাণ, গবেষণা অর্থ সরবরাহ ও উন্নয়নে শীর্ষস্থানীয় আন্তর্জাতিমানের বিজ্ঞানীদেরকে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে। শীর্ষস্থানীয় ঔষধ প্রস্তুতকারী সংস্থা গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লিন (জিএসকে), পফিজার এন্ড মার্ক এন্ড কোং সিঙ্গাপুরে কারখানা স্থাপন করেছে। ৮ জুন, ২০০৬ তারিখে জিএসকে ঘোষণা করে যে, পেডিয়াট্রিক টিকা উৎপাদনের লক্ষ্যে তারা আরও ৩০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে যা এশিয়ায় প্রথম।[৩১] দেশের মোট আয়ের ৮% ফার্মাসিউটিক্যালস থেকে আসে।[৩২] জাহাজ মেরামতে বিশ্ববাজারের ২০ শতাংশ দখল করেছে। নৌপরিবহন ও তীর এলাকায় ৭০,০০০ শ্রমিক কর্মরত।[৩৩]