ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | সিডনি এডওয়ার্ড গ্রিগরি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | র্যান্ডউইক, নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া | ১৪ এপ্রিল ১৮৭০|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ১ আগস্ট ১৯২৯ র্যান্ডউইক, নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া | (বয়স ৫৯)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | লিটল টিচ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ১.৬৪ মিটার (৫ ফুট ৫ ইঞ্চি) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | - | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান, অধিনায়ক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | পিতা: নেড গ্রিগরি; কাকা: ডেভ গ্রিগরি; ভাইপো: জ্যাক গ্রিগরি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৫৮) | ২১ জুলাই ১৮৯০ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৯ আগস্ট ১৯১২ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৮৮৯–১৯১২ | নিউ সাউথ ওয়েলস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১০ জানুয়ারি ২০১৫ |
সিডনি এডওয়ার্ড গ্রিগরি (ইংরেজি: Syd Gregory; জন্ম: ১৪ এপ্রিল, ১৮৭০ - মৃত্যু: ১ আগস্ট, ১৯২৯) নিউ সাউথ ওয়েলসের মুর পার্কে জন্মগ্রহণকারী অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত টেস্ট ক্রিকেটার ও অধিনায়ক ছিলেন। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি।
১৮৯০ থেকে ১৯১২ সাল প্রথম-শ্রেণীর ঘরোয়া ক্রিকেটে নিউ সাউথ ওয়েলস দলে খেলেছেন এডওয়ার্ড সিডনি গ্রিগরি নামে পরিচিত সিড গ্রিগরি।[১] দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।
সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডের কাছাকাছি এলাকায় অবস্থিত সিডনি বয়েজ হাই স্কুলে অধ্যয়ন করেন তিনি।[২] তার পিতা নেড গ্রিগরি ১৮৭৭ সালে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছিলেন যা পরবর্তীকালে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসের প্রথম টেস্ট খেলারূপে পরিচিতি পায়।
সিডের জন্মকালীন সময়ে নেড কিউরেটর হিসেবে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে নিয়োজিত ছিলেন। তার কাকা ডেভ অস্ট্রেলিয়ার প্রথম টেস্ট ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ছিলেন। এছাড়াও, তার ভাইপো জ্যাক ১৯২০-এর দশকে অস্ট্রেলিয়ার সর্বাপেক্ষা ভয়ঙ্কর ফাস্ট বোলার হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
১৮৮৯-৯০ মৌসুমে নিউ সাউথ ওয়েলস দলের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে সিডের। ছয় মাস পর অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড সফরের জন্য মনোনীত হন। ২১ জুলাই, ১৮৯০ তারিখে লন্ডনের লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে। পরবর্তীতে ১৮৯৩, ১৮৯৬, ১৮৯৯, ১৯০২, ১৯০৫, ১৯০৯ ও ১৯১২ সালে সাতবার ইংল্যান্ড এবং ১৯০২ সালে একবার দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করেন।
১৮৯৪-৯৫ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে টেস্টে প্রথম দ্বি-শতক রান করেন। ১৪ ডিসেম্বর, ১৮৯৪ তারিখে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত ঐ টেস্টে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২০১ রান তোলেন। অস্ট্রেলিয়ার মাঠে তার এই দ্বি-শতক প্রথমবারের মতো হয়েছিল। কিন্তু সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে তার এই অবিস্মরণীয় ইনিংস স্বত্ত্বেও অস্ট্রেলিয়া দল মাত্র ১০ রানের ব্যবধানে পরাজিত হয়। ১৯৮১ সালে হেডিংলি টেস্টের পূর্ব-পর্যন্ত ফলো-অনে থাকা দলের জয়ের একমাত্র ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত ছিল।
অস্ট্রেলিয়া দল মে থেকে সেপ্টেম্বর, ১৯১২ তারিখে ইংল্যান্ড গমন করে। এ সময়ে দলটি ১৯১২ সালের ত্রি-দেশীয় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দলটি তিনটি করে খেলায় অংশ নেয়। ঐ প্রতিযোগিতায় স্বাগতিক ইংল্যান্ড দল শিরোপা জয় করেছিল। এ প্রতিযোগিতায় অস্ট্রেলিয়া দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি।[৩]
১৯১২ সালে অধিনায়ক ক্লেম হিলসহ অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষস্থানীয় ছয় ক্রিকেটার ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ত্রি-দেশীয় টেস্ট সিরিজে অংশগ্রহণ করতে আপত্তি জানায়। এরফলে ‘লিটল টিচ’ ডাকনামে পরিচিত সিড গ্রিগরি’র নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া দল প্রতিযোগিতায় ছয় টেস্টের একটিতে পরাজিত হলেও দলীয় খেলোয়াড়দের খারাপ আচরণে তাঁদের এ সাফল্য অনেকাংশেই ম্লান হয়ে যায়। খেলোয়াড়দের উপর নিয়ন্ত্রণ না রাখতে পারার কারণে তিনি প্রবলভাবে সমালোচিত হন। ১৯ আগস্ট, ১৯১২ তারিখে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন।
সর্বমোট ছয়বার অস্ট্রেলিয়া দলকে নেতৃত্ব দেন তিনি। তন্মধ্যে দুই টেস্টে জয়লাভ করে ও একটিতে পরাজিত হয় তাঁর দল। বাদ-বাকী তিন টেস্ট ড্রয়ে পরিণত হয়।
টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে তিনজন ক্রিকেটারের একজন হিসেবে এক থেকে একাদশ অবস্থানে নেমে ব্যাটিং করেছেন।
অবসর গ্রহণের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে ৫৮ টেস্টে অংশ নিয়ে সর্বাপেক্ষা টেস্ট খেলার বিশ্বরেকর্ড গড়েছিলেন। এছাড়াও কভার পয়েন্টে দূর্দান্ত ফিল্ডার হিসেবেও দলে ভূমিকা রাখেন। ১৯১৯ সালে ‘দ্য টাইমস’ কভার অঞ্চলে ফিল্ডিংয়ে জ্যাক হবসের ক্ষিপ্রতায় দুইজন দীর্ঘদিনের দণ্ডায়মান ও জনপ্রিয় ক্রিকেটার গিলবার্ট জেসপ ও তার সাথে তুলনামূলকভাবে স্বল্প পরিচিত ভার্নন রয়েলকে সমমান হিসেবে চিত্রিত করে।[৪]
ক্রিকেটের বাইরে অবস্থান করে ১৮৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সময় সিডনির কিং স্ট্রিটে অপর দুই ব্যবসায়িক অংশীদারের সাথে ব্যবসায় ঝুঁকে পড়েন। এরপূর্বে ডাকবিভাগে কাজ করেন তিনি। ১৮৯৬ সালে মারিয়া সালিভান নাম্নী এক রমণীর পাণিগ্রহণ করেন। ১৮৯৭ সালে উইজডেন কর্তৃক বর্ষসেরা ক্রিকেটার হিসেবে মনোনীত হন।[৫] ১৯০২ সালে ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ওয়াটার বোর্ডে কেরাণী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১ আগস্ট, ১৯২৯ তারিখে সিডনির কাছাকাছি র্যান্ডউইকে ৫৯ বছর বয়সে সিড গ্রিগরি’র দেহাবসান ঘটে।
পূর্বসূরী ক্লেম হিল |
অস্ট্রেলীয় টেস্ট ক্রিকেট অধিনায়ক ১৯১২ |
উত্তরসূরী ওয়ারউইক আর্মস্ট্রং |