ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | সিডনি জেমস পেগলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ডারবান, নাটাল প্রদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা | ২৮ জুলাই ১৮৮৮|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ১০ সেপ্টেম্বর ১৯৭২ কেপ টাউন, কেপ প্রদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা | (বয়স ৮৪)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৭০) | ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯১০ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৬ আগস্ট ১৯২৪ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৬ আগস্ট ২০১৭ |
সিডনি জেমস পেগলার (ইংরেজি: Sid Pegler; জন্ম: ২৮ জুলাই, ১৮৮৮ - মৃত্যু: ১০ সেপ্টেম্বর, ১৯৭২) নাটাল প্রদেশের ডারবানে জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন সিড পেগলার। ১৯১০-এর দশকের শুরুতে ভগলার ও সোয়ার্জের ন্যায় গুগলি বোলারদের ছন্দপতনের পর তিনি উদীয়মান বোলাররূপে আবির্ভূত হন।
১৯০৮ থেকে ১৯১০ সময়কালের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকায় বেশ কম প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেয়ার সুযোগ ঘটলেও ১৯১০-১১ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম টেস্ট সফরে যাবার জন্য মনোনীত হন। এরপর থেকেই টেস্ট দলের নিয়মিত খেলোয়াড় হিসেবে অংশগ্রহণ করতে থাকেন। তিন গুগলি বোলার ভগলার, সোয়ার্জ ও অব্রে ফকনারের পাশে অস্ট্রেলিয়ার শক্ত পিচে তিনি অসহায় ছিলেন।
ঐ টেস্ট সিরিজে কেবলমাত্র সাত উইকেট পেয়েছিলেন। তাস্বত্ত্বেও ১৯১২ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ত্রি-দেশীয় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য তাকে দলে রাখা হয়। এ সফরে পেগলার প্রভূতঃ সফলতা পান। সবগুলো খেলাতেই অংশগ্রহণ ছিল তার। সাঁইত্রিশটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশগ্রহণকারী তিনজনের একজন ছিলেন। ১৮৯টি প্রথম-শ্রেণীর উইকেট পান। শীর্ষস্থানীয় ইংরেজ বোলার কলিন ব্লাইদের চেয়েও এগারোটি বেশি ছিল। ছয় টেস্টে তিনি ঊনত্রিশ উইকেট দখল করেন। তবে, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কেবলমাত্র একবারই দুই ইনিংসে অল-আউট করতে সক্ষম হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা দল। সমগ্র সফরে নিচেরসারির ব্যাটসম্যানরূপে পনেরোর অধিক গড়ে ৬৪৩ রান তুলেন। সোয়ানসীতে সাউথ ওয়েলসের বিপক্ষে ৭৯ ও নর্দাম্পটনশায়ারের শক্তিশালী বোলিং আক্রমণ রুখে দিয়ে ৫২ রান তুলতে পেরেছেন। ১৯১০-১১ মৌসুমের এ সফরটিতে দ্রুততম সময়ে প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অর্ধ-শতক করেন। তাসমানিয়ার বিপক্ষে মাত্র চৌদ্দ মিনিটে ৫০ রান তুলেন তিনি। তার তুলনায় কেবলমাত্র ১৯৩৮ সালে জিম স্মিথ ও ২০০০-০১ মৌসুমে খালেদ মাহমুদ এগিয়ে রয়েছেন।[১]
মিডিয়াম-পেস লেগ কাটার সহযোগে পেগলারের বোলিং ভঙ্গীমা গড়ে উঠেছে।[২] শূন্যে ভাসমান ছিল না তার টসগুলো কিন্তু ব্রেক-ব্যাক ও দ্রুতগতিসম্পন্ন বলে তিনি বোলিংয়ে বেশকিছু ভিন্নতর বোলিংয়ে সক্ষমতা দেখিয়েছেন। ১৯১২ সালের প্রতিযোগিতাটিতে এগুলোর উভয়টি প্রয়োগ করে অনেক উইকেট পেয়েছিলেন তিনি।
ধারণা করা হয়েছিল যে, সামনের দিনগুলোয় দক্ষিণ আফ্রিকার প্রধান বোলিং আক্রমণ মেরুদণ্ডের কেন্দ্রবিন্দুতে পেগলার অবস্থান করবেন। এ সময় তার বয়স ছিল মাত্র চব্বিশ।[৩] কিন্তু, নায়াসাল্যান্ডে ঔপনিবেশিক জেলা প্রশাসক মনোনীত হওয়ায় পেগলার আর দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রত্যাবর্তন করতে পারেননি। ১৯১৩ সালে ট্রান্সভালের পক্ষে একটি খেলায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি। ১৯১২ সালের পর আর একটি টেস্টে অংশ নেন ১৯২৪ সালের সফরে যাতে তিনি মূল একাদশে ছিলেন না। কিন্তু তিনি তেমন সফলতা দেখাতে পারেননি। বুস্টার নুপেনের ন্যায় বোলারদের স্মরণীয় সাফল্য ম্যাটিং পিচে দেখতে হয়েছিল তাকে।
১৯৩০ সালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে অবসর নেন তিনি। ব্যবস্থাপক হিসেবে এ ক্রীড়ায় কাজ করতে থাকেন। ১৯৫১ সালে ইংল্যান্ড সফরে দল ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত থাকেন তিনি।
১০ সেপ্টেম্বর, ১৯৭২ তারিখে কেপ প্রদেশের কেপ টাউনে ৮৪ বছর বয়সে সিড পেগলারের দেহাবসান ঘটে।