সিডনি কেয়েস | |
---|---|
জন্ম | ২৭ মে ১৯২২ |
মৃত্যু | ২৯ এপ্রিল ১৯৪৩ তিউনিসিয়া | (বয়স ২০)
মৃত্যুর কারণ | কর্মক্ষেত্রে নিহত |
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান | অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | হাওথর্নডেন পুরস্কার |
সিডনি আর্থার কিলওয়ার্থ কেয়েস (২৭ মে ১৯২২ - ২৯ এপ্রিল ১৯৪৩, তিউনিসিয়া) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার একজন ইংরেজ কবি ছিলেন।
কেয়েস ১৯২২ সালের ২৭ মে জন্মগ্রহণ করেন।[১] এর কিছু দিন পরেই তার মা মারা যান এবং তিনি তার দাদা-দাদির কাছে বেড়ে উঠেন।[২] কেয়েস খুব কম বয়সে কবিতা লিখতে শুরু করেছিলেন, তার লেখায় প্রধানত উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থ, রাইনার মারিয়া রিলকে এবং কার্ল জুং এর প্রভাব পরিলক্ষিত হয়।[২] তিনি ডার্টফোর্ড গ্রামার স্কুলে পড়াশোনা করেন এবং এরপর মাধ্যমিক শিক্ষার সময় টনব্রিজ স্কুলে (হিলসাইড, ১৯৩৫-১৯৪০) আবাসিকে ভর্তি হন, এরপর তিনি অক্সফোর্ডের কুইন্স কলেজে ইতিহাসে অধ্যয়নের জন্য বৃত্তি অর্জন করেন।[২][৩] কলেজে পড়ার সময়ে কেয়েস তার জীবনের কেবল দুটি মাত্র বই লিখেছিলেন- দ্য ক্রুয়েল সলস্টিক এবং দ্য আয়রন লরেল।[৪] অক্সফোর্ডে থাকাকালীন সময়ে কেয়েস তরুণ জার্মান শিল্পী মাইলিন কজম্যানের প্রেমে পড়েন, কিন্তু তার ভালবাসা সফলতা পায়নি। তিনি কবি জন হিথ-স্টাবস এবং মাইকেল মেয়ারের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করেছিলেন, দ্য চেরওয়েল ম্যাগাজিন এ সম্পাদনা করেছেন এবং একটি চমকপ্রদ সমাজ গঠন করেছিলেন।[২]
দ্য আয়রন লরেল ১৯৪২ সালে প্রকাশিত হয়, সে সময় কেয়েস এর বয়স ছিল মাত্র ২০ বছর। নিউ স্টেটসম্যান, দ্য লিসেনার এবং অন্যান্য কবিতা বিষয়ক সাময়িক পত্রিকায় তার কবিতা প্রকাশিত হয়েছিল।[২]
১৯৪২ সালের এপ্রিলে কেয়েস অক্সফোর্ডের পড়ালেখা ছেড়ে দিয়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দান করেন,[৫] সে বছরই তিনি সক্রিয় চাকরিতে প্রবেশ করেন।[৬] ১৯৪৩ সালের মার্চ মাসে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তাকে কুইন্স অউন ওয়েস্ট কেন্ট রেজিমেন্টের সাথে তিউনিসিয়া অভিযানে লড়াই করার জন্য পাঠানো হয়।[২][৭] কেয়েস তার ১১০ টি কবিতার অর্ধেকেরও বেশি তার চাকরির আগেই লিখেছিলেন যা পরে সিডনি কেয়েসের সংগৃহীত কবিতাসমগ্র নামে প্রকাশ করা হয়।[৫] যুদ্ধকালীন সময়েও তিনি কবিতা লিখতেন বলে জানা যায়। তবে এই কবিতাগুলো আলোর মুখ দেখেনি।[৮]
কেয়েস তার একুশতম জন্মদিনের কয়েক দিন আগে[৭] ১৯৪৩ সালের ২৯ এপ্রিল পাল্টা আক্রমণে তার প্লাটুনের পশ্চাদপসরণ করতে সহায়তা করতে শত্রু পক্ষকে বাধা দিতে যুদ্ধ করেন এবং যুদ্ধে মারা যান।[২] শত্রুদের হাতে ধরা পরার পর তিনি মারা গিয়েছিলেন বলেও বলা হয়।[৯]
১৯৪৩ সালে কেয়েস দ্য ক্রুয়েল সলস্টিক এবং দ্য আয়রন লরেল এর জন্য হাওথর্নডেন পুরস্কার লাভ করেন।[১০] তাকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অন্যতম অসামান্য কবি হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়।[২]