ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | সিডনি ফ্রান্সিস বার্নস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | স্মেথউইক, স্টাফোর্ডশায়ার, ইংল্যান্ড | ১৯ এপ্রিল ১৮৭৩|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ২৬ ডিসেম্বর ১৯৬৭ চাদস্মুর, ক্যানক, স্টাফোর্ডশায়ার, ইংল্যান্ড | (বয়স ৯৪)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | বার্নি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম ও লেগ স্পিন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১২৯) | ১৩ ডিসেম্বর ১৯০১ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯১৪ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৮৯৪-১৮৯৬ | ওয়ারউইকশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৮৯৯-১৯০৩ | ল্যাঙ্কাশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯২৭-১৯৩০ | ওয়েলস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯২৯ | মাইনর কাউন্টিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৯ জুন ২০১৪ |
সিডনি ফ্রান্সিস বার্নস (ইংরেজি: Sydney Barnes; জন্ম: ১৯ এপ্রিল, ১৮৭৩ - মৃত্যু: ২৬ ডিসেম্বর, ১৯৬৭) স্টাফোর্ডশায়ারের স্মেথউইকে জন্মগ্রহণকারী পেশাদার ও বিখ্যাত ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন। সচরাচর তাকে বিশ্বের অন্যতম সেরা বোলারদের একজন হিসেবে গণ্য করা হয়।
ডানহাতি ব্যাটিংয়ের অধিকারী সিডনি বার্নস পেস বোলিং করলেও তা মিডিয়াম থেকে ফাস্ট-মিডিয়ামের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল ও ক্রিকেট বলকে উভয় প্রান্তেই সুইং করাতে দক্ষ ছিলেন।
১৯০১ থেকে ১৯১৪ সালের মধ্যে ইংল্যান্ড দলের হয়ে ২৭টি টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন তিনি। ১৬.৪৩ রান গড়ে ১৮৯ উইকেট লাভ করেছেন যা টেস্ট বোলিং গড়ে অন্যতম সর্বনিম্ন পরিসংখ্যান। ১৯১১-১২ মৌসুমে তিনি ইংল্যান্ডকে অ্যাশেজ সিরিজ জয়ে সহায়তা করেন। ঐ সিরিজে তিনি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩৪ উইকেট দখল করেন। ১৯১৩-১৪ মৌসুমে তার সর্বশেষ টেস্ট সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১০.৯৩ গড়ে ৪৯ উইকেট নিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েন।[১]
১৯ এপ্রিল, ১৮৭৩ তারিখে স্টাফোর্ডশায়ারের স্মেথউইকে জন্মগ্রহণ করেন সিডনি বার্নস।[২][৩] বাবা রিচার্ডের পাঁচ সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়। তার বাবা তেমন ক্রিকেট খেলতেন না। তিন ভাইয়ের মধ্যে কেবলমাত্র বার্নসই ব্যাট কিংবা বল স্পর্শের সুযোগ পেয়েছিলেন।[৪]
অস্ট্রেলিয়ায় তিনি সফলকাম ছিলেন। কিন্তু হাঁটুর আঘাতপ্রাপ্তিতে তার অংশগ্রহণ সংক্ষিপ্ত করতে হয়। ১৩ ডিসেম্বর, ১৯০১ তারিখে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেকের পূর্বে তিনটি রাজ্য দলের বিপক্ষ খেলেন। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত ঐ টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৬৫ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট লাভ করেন তিনি। তার সাথে কলিন ব্লাইদ ও লেন ব্রন্ডেরও টেস্ট অভিষেক ঘটেছিল। তারা তিনজন মিলে অস্ট্রেলিয়ার বিশ উইকেট দখল করলে ইংল্যান্ড ইনিংস ও ১২৪ রানে জয়লাভ করে।[৫] মেলবোর্নের দ্বিতীয় টেস্ট জিতে অস্ট্রেলিয়া সিরিজে সমতা আনলেও বার্নস ৬/৪২ ও ৭/১২১ লাভ করেছিলেন।
১৯৬৩ সালে উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালমেনাকের প্রকাশিত শততম সংস্করণে উইজডেন শতাব্দীর ছয় অসাধারণ খেলোয়াড়ের তালিকায় নেভিল কারদাস কর্তৃক বার্নসকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[৬] এই বিশেষ স্মারক সংখ্যায় তার সাথের অন্য পাঁচ খেলোয়াড় ছিলেন - ডন ব্রাডম্যান, ডব্লিউ. জি. গ্রেস, জ্যাক হবস, টম রিচার্ডসন ও ভিক্টর ট্রাম্পার।
২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়দের র্যাঙ্কিং প্রকাশ করে। ঐ তালিকায় বার্নসের রেটিং ছিল ৯৩২ যা ২০১৯ সাল পর্যন্ত শীর্ষস্থানে অবস্থান করছে।[৭] ২০০৯ সালে তাকে আইসিসি ক্রিকেট হল অব ফেমে অন্যতম উদ্বোধনী সদস্যরূপে অন্তর্ভুক্ত করে।[৮]
বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার রিচি বেনো তার সর্বকালের ক্রিকেট একাদশে তাকে ঠাঁই দিয়েছেন।[৯]
১৯০৩ সালে এলিজ মাউদ টেলরকে বিয়ে করেন ও লেজলি নামীয় এক পুত্র সন্তান ছিল। ক্রিকেটের বাইরে স্টাফোর্ডশায়ারে কেরানির চাকরি করতেন। ২৬ ডিসেম্বর, ১৯৬৭ তারিখে ৯৪ বছর বয়সে স্টাফোর্ডশায়ারের চাদস্মুর এলাকায় সিডনি বার্নসের দেহাবসান ঘটে।
ক্রীড়া অবস্থান | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী উইলিয়াম সলোমন |
সর্বাপেক্ষা বয়স্ক জীবিত টেস্ট ক্রিকেটার ১২ জুলাই, ১৯৬৪ - ২৬ ডিসেম্বর, ১৯৬৭ |
উত্তরসূরী উইলফ্রেড রোডস |
রেকর্ড | ||
পূর্বসূরী হিউ ট্রাম্বল |
বিশ্বরেকর্ড - টেস্ট ক্রিকেট জীবনে সর্বাপেক্ষা অধিক উইকেট ১৮৯ উইকেট (১৬.৮৩), ২৭ টেস্ট রেকর্ড ধারণ: ১৩ ডিসেম্বর, ১৯১৩ - ৪ জানুয়ারি, ১৯৩৬ |
উত্তরসূরী ক্ল্যারি গ্রিমেট |