সিতারা | |
---|---|
![]() বাহরাইন কেরলিয়া সমাজম ওনম অনুষ্ঠানে সিতারা | |
জন্ম | সিতারা কৃষ্ণকুমার ১ জুলাই ১৯৮৬ |
পেশা | নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী, সঙ্গীত পরিচালক |
দাম্পত্য সঙ্গী | সাজিশ এম. (বি. ২০০৭) |
সন্তান | ১ |
সঙ্গীত কর্মজীবন | |
ধরন | লোক, ভারতীয় শাস্ত্রীয়, নেপথ্য সঙ্গীত, গজল |
কার্যকাল | ২০০৭-বর্তমান |
ওয়েবসাইট | sithara |
সিতারা কৃষ্ণকুমার (জন্ম: ১ জুলাই, ১৯৮৬) হলেন একজন ভারতীয় সঙ্গীতশিল্পী, সুরকার ও অভিনেত্রী। [১] তিনি মূলত মালয়ালম চলচ্চিত্রে নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে কাজ করে থাকেন, পাশাপাশি তামিল, তেলুগু ও কন্নড় চলচ্চিত্রেও তিনি গান পরিবেশন করে থাকেন। তিনি তিন শতাধিক বিভিন্ন ভাষার ভারতীয় চলচ্চিত্রে গান করেছেন।[২] সিতারা হিন্দুস্তানি ও কর্ণাটকীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের তালিম নেন এবং গজল শিল্পী হিসেবেও খ্যাতি অর্জন করেন। [৩][৪] তিনি দুইবার শ্রেষ্ঠ সঙ্গীতশিল্পী বিভাগে কেরল রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ একাধিক পুরস্কার অর্জন করেছেন।
তিনি বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে সঙ্গীত সফরে যান এবং সংগীতানুষ্ঠান ও মঞ্চে সঙ্গীত পরিবেশন করেন। তার অন্যান্য আগ্রহের বিষয় হল লোকসঙ্গীত ও ফিউশন।[৫] তিনি কেরালার কয়েকটি জনপ্রিয় সঙ্গীতদলের সাথেও কাজ করেছেন। ২০১৪ সালে তিনি সঙ্গীতদল ইয়াস্ত্রাগা প্রতিষ্ঠা করেন, যা খ্যাতনামা সঙ্গীতজ্ঞদের নিয়ন্ত্রিত একটি দল, যা নারীদের গানে জোর দিয়ে থাকে।[৬] তিনি প্রজেক্ট মালাবারিকাস নামে একটি ১০ সদস্য-বিশিষ্ট দলের অংশ, যার প্রধান বৈশিষ্ট হল সমসাময়িক লোক ও শাস্ত্রীয় গান।[৭]
সিতারা ১৯৮৬ সালের ১লা জুলাই কেরলের মালাপ্পুরমে জন্মগ্রহণ করেন।[২] তার পিতা কে. এম. কৃষ্ণকুমার একজন শিক্ষায়তনিক এবং তার মাতা স্যালি কৃষ্ণকুমার। শাস্ত্রীয় শিল্পকলার সাথে সম্পৃক্ত একটি পরিবারে জন্মগ্রহণকারী সিতারার সংগীতের সাথে পরিচয় ঘটে চার বছর বয়সে। তিনি সেন্ট পলস উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, তেনিপালম, কালিকট বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস বিদ্যালয় ও এনএনএম উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় চেলেমব্রায় পড়াশোনা করেন।[৮] তিনি ফেরোকের ফারুক কলেজ থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক ডিগ্রি এবং কেরলের কালিকট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
সিতারা ২০০৭ সালে বিনয়নের মালয়ালম চলচ্চিত্র অতিশয়ন-এর "পাম্মি পাম্মি" গানে কণ্ঠ দিয়ে নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। এর পূর্বে তিনি কয়েকটি সঙ্গীত প্রতিভা অনুষ্ঠানে বিজয়ী হন, তন্মধ্যে রয়েছে এশিয়ানেট চ্যানেলের সপ্তা স্বারঙ্গল (২০০৪), কৈরালি টিভি'র গন্ধর্ব সঙ্গীতম এবং জীবন টিভি'র ভয়েস ২০০৪। তিনি ২০০৮ সালে জীবন টিভি'র ২০ মিলিয়ন অ্যাপল মেগাস্টারেরও বিজয়ী। তিনি গজল গায়িকা হিসেবেও খ্যাতি অর্জন করেন এবং অন্যান্য ধারার গানও মঞ্চে পরিবেশনা করে থাকেন।
তিনি সেলুলয়েড (২০১২) চলচ্চিত্রের "এনুন্ডডি আম্বিলি চান্তম" গানে কণ্ঠ দিয়ে শ্রেষ্ঠ সঙ্গীতশিল্পী বিভাগে তার প্রথম কেরল রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।[৯] ২০১৭ সালে তিনি "এনতে আকাশম" একক গান দিয়ে সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে আবির্ভূত হন।[১০] তার নিজের লেখা গানটি নারীবাদের প্রতি সম্মাননা প্রদর্শন। এটি কেরল রাজ্য সরকারের "অনুযাত্রা" ক্যাম্পেইনের অংশ, রাত্রিকালীন নারী কর্মীদের উপর চিত্রায়িত এই গানের ভিডিওটি কেরল রাজ্য নারী উন্নয়ন কর্পোরেশন আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে দাপ্তরিকভাবে প্রকাশিত হয়।[১০]
তিনি বিমানম (২০১৭) চলচ্চিত্রের "বানামকলুন্নুভো" গানে কণ্ঠ দিয়ে শ্রেষ্ঠ সঙ্গীতশিল্পী বিভাগে তার দ্বিতীয় কেরল রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।[১১] একই বছর তার গাওয়া গোধা চলচ্চিত্রের "ওয়াও", তন্ডিমুথলুম দৃকসাক্ষিয়ুম চলচ্চিত্রের "আয়িলিয়াম", উদাহরণম সুজাতা চলচ্চিত্রের "এথু মাজায়িলুম" ও ভিলেন চলচ্চিত্রের "কান্ডিত্তুম" গানগুলি জনপ্রিয়তা লাভ করে।[২] এছাড়া একই বছর তিনি সত্য ও সি/ও সায়রা বানু চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দেন এবং বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেলেও কাজ করেন।[২]
২০১৮ সালে উদালাজম চলচ্চিত্র দিয়ে মিথুন জয়রাজের সাথে চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। চলচ্চিত্রটি ডাক্তারদের সংগঠন ডক্টরস ডিলেমা'র ব্যানারে নির্মিত হয়।[১২] কধা পারাঞ্জু কধা চলচ্চিত্রেও তিনি সঙ্গীত পরিচালনা করেন। রমেশ পিশারডি'র মালয়ালম চলচ্চিত্র গণগন্ধর্বন চলচ্চিত্রে তাকে ক্ষণিক চরিত্রে দেখা যায়।