সিনস অব রোম | |
---|---|
পরিচালক | রিকার্ডো ফ্রেডা |
প্রযোজক | কার্লো কাইয়ানো[১] |
চিত্রনাট্যকার |
|
কাহিনিকার | মারিয়া বোরি[২] |
শ্রেষ্ঠাংশে | |
সুরকার | রেনজো রোসেলিনি[২] |
চিত্রগ্রাহক | |
সম্পাদক | মারিওসেরানদ্রেই[২] |
পরিবেশক | এ.পি.আই. (ইতালি) |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১০৫ মিনিটা[২] |
দেশ |
|
ভাষা | ইতালীয় |
আয় | ৪৫০ মিলিয়ন লিরা |
সিনস অব রোম (ইংরেজি: Sins of Rome, ইতালীয়: Spartaco) হল ১৯৫৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এবং রিকার্ডো ফ্রেডা পরিচালিত একটি ঐতিহাসিক নাটকীয় চলচ্চিত্র। ছবিটি স্পার্টাকাসের জীবনকাহিনির ছায়া অবলম্বনে নির্মিত।[৩][৪] ছবির নেগেটিভের স্বত্ব এবং কপিগুলি কিনে নিয়েছিলেন স্ট্যানলি কুবরিকের ১৯৬০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত স্পার্টাকাস ছবির প্রযোজকেরা কিনে নেন, যাতে ছবিটি মুক্তি পেয়ে কুব্রিকের ছবির বাণিজ্যিক সাফল্যের পথে অন্তরায় না হতে পারে। এই কারণে সিনস অব রোম প্রায় তিরিশ বছর অ-মুক্তিপ্রাপ্ত অবস্থায় ছিল।[৫]
খ্রিস্টপূর্ব ৭৪ অব্দে সুন্দরী ক্রীতদাসী আমিতিসকে উদ্ধার করতে গিয়ে থ্রেসীয় বংশোদ্ভূত রোমান সৈনিক স্পার্টাকাস ক্রাসাসের হাতে ধরা পড়েন এবং ক্রাসাস স্পার্টাকাসকে ক্রীতদাসে পরিণত করেন। স্পার্টাকাস লেন্টুলাসাসের গ্ল্যাডিয়েটর-দলের অন্তর্ভ্যক্ত হন এবং বার বার তিনি পলায়নের চেষ্টা করেন। গ্ল্যাডিয়েটরেরা যখন বিদ্রোহ ঘোষণা করেন, তখন স্পার্টাকাস তাঁদের নেতৃত্ব দেন এবং গ্ল্যাডিয়েটরদের সঙ্গেই রোম পরিত্যাগ করেন। রুফাসের সৈনিকেরা যখন পাহারা দিচ্ছিল, তখন তাদের হাতে আহত হয়ে স্পার্টাকাস ক্রাসাসের তরুণী কন্যা সাবিনার আশ্রয় নেন। সাবিনা স্পার্টাকাসের প্রেমে পড়ে যান। সুস্থ হওয়ার পর স্পার্টাকাস নিজের লোকেদের কাছে ফিরে আসেন এবপ্নগ রুফাসের দুর্ভেদ্য শিবিরের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে সাফল্য অর্জন করেন। এই অপ্রত্যাশিত পরাজয়ে সেনেট চমকে ওঠে। ক্রাসাস স্পার্টাকাসকে ডেকে পাঠিয়ে তাঁর ও তাঁর অনুগামীদের স্বাধীনতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। এদিকে বিদ্রোহীরা তাদের নেতাদের অনুপস্থিতিতে অস্থির হয়ে রোমান বাহিনীকে আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেয়। স্পার্টাকাস তাদের সঙ্গে যোগ দেয় এবং যুদ্ধে নিহত হয়। এই ঘটনার পর ক্রীতদাসেদের ব্যাপক হারে হত্যা করা হয়।
সিনস অব রোম ছবিটি স্পার্টাকো নামে ১৯৫৩ সালের ২৮ জানুয়ারি এ.পি.আই. কর্তৃক ইতালিতে মুক্তি পায়।[২][১] ইতালিতে ছবিটির মোট আয় ছিল ৪৫০ মিলিয়ান ইতালীয় লিরা।[১] ছবিটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সিনস অব রোম এবং যুক্তরাজ্যে স্পার্টাকাস দ্য গ্ল্যাডিয়েটর নামে মুক্তিলাভ করে।[১]