সিন্ধু পানি চুক্তি

সিন্ধু নদী ও উপনদী
ভারত ও পাকিস্তানের সিন্ধু নদীর অববাহিকার উপগ্রহের চিত্র

সিন্ধু জল চুক্তি একটি জল-বণ্টন চুক্তি যা ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় বিশ্ব ব্যাংক (তারপর ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক ফর রিকনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) এর মধ্যস্থতায়। এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, করাচি শহরে, সেপ্টেম্বর, ১৯৬০ সালে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু এবং পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান চুক্তিটি স্বাক্ষর করেন।[][]

এই চুক্তি অনুযায়ী, পূর্বদেশীয় তিনটি নদীর নিয়ন্ত্রণ — বিপাশা, রবি ও শতদ্রু —  ভারতকে দেওয়া হয়েছিল, অন্যদিকে পশ্চিমের তিনটি নদী — সিন্ধু, চন্দ্রভাগা এবং ঝিলাম — এর নিয়ন্ত্রণ পাকিস্তানকে দেওয়া হয়।  আরো বিতর্কিত বিষয় ছিল, কীভাবে জল-বণ্টন করা হয়েছিল। যেহেতু পাকিস্তানের নদী প্রবাহ ভারতের ওপর দিয়ে, চুক্তি ভারতকয়ে সেচ, পরিবহন এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন কাজে ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেয়, এবং ভারতীয় প্রকল্প নির্মাণের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট বিধানকরে দেওয়া হয়। চুক্তিটি পাকিস্তানের ভয়ের একটি ফসল ছিল, যেহেতু সিন্ধু অববাহিকা উৎস নদী ছিল ভারতে, ভারত চাইলেই সম্ভাব্য খরা এবং দুর্ভিক্ষ পাকিস্তানে সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষ করে যুদ্ধের সময়।[]

ইতিহাস এবং পটভূমি

[সম্পাদনা]

সিন্ধু অববাহিকার শুরু তিব্বত এবং হিমালয় পর্বতমালায় যা  জম্মু-কাশ্মীর এবং হিমাচল প্রদেশে অবস্থিত। এর প্রবাহ পাহাড় থেকে শুরু হয়ে পাঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ এবং জম্মু ও কাশ্মীর এবং সিন্ধুর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে, পাকিস্তানে একত্রিত হয় ও করাচির দক্ষিণে আরব সাগরে পতিত হয়। 

ব্রিটিশ ভারতের বিভাজন অঢেল জল সিন্ধু অববাহিকাকে নিয়ে একটি দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে।  নবগঠিত রাজ্যসমূহ এর জল বণ্টন নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত ছিল।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Indus Waters Treaty | History, Provisions, & Facts | Britannica"www.britannica.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৩-১৯ 
  2. "The Rivers Run Wild – Newsweek Pakistan" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-১০-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৩-১৯ 
  3. "ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যেকার সিন্ধু জল চুক্তি কি আদৌ টিঁকবে?"বিবিসি বাংলা। ২০২৩-০২-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৩-১৯