সিন্ধু سنڌ / سندھ | |
---|---|
প্রদেশ | |
ডাকনাম: মেহরান উপত্যকা (মেহরান জি ওয়াদি).সিন্ধ আম্মার (জন্মভূমি সিন্ধু প্রদেশ) | |
![]() পাকিস্তানে সিন্ধুর অবস্থান | |
সিন্ধুর মানচিত্র | |
স্থানাঙ্ক: ২৬°০৬′ উত্তর ৬৮°৩০′ পূর্ব / ২৬.১° উত্তর ৬৮.৫° পূর্ব | |
দেশ | ![]() |
প্রতিষ্ঠিত | ১ জুলাই ১৯৭০ |
রাজধানী ও বৃহত্তম শহর | করাচি |
সরকার | |
• ধরন | প্রদেশ |
• শাসক | প্রাদেশিক পরিষদ |
• গভর্নর | ইমরান ইসমাইল |
• মুখ্যমন্ত্রী | মুরাদ আলী শাহ |
• হাই কোর্ট | সিন্ধু হাই কোর্ট |
আয়তন | |
• মোট | ১,৪০,৯১৪ বর্গকিমি (৫৪,৪০৭ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১২ অনুসারে)[১] | |
• মোট | ৪,২৪,০০,০০০ |
• জনঘনত্ব | ৩০০/বর্গকিমি (৭৮০/বর্গমাইল) |
http://www.pwdsindh.gov.pk/ | |
বিশেষণ | সিন্ধি |
সময় অঞ্চল | পিকেটি (ইউটিসি+৫) |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | PK-SD |
প্রধান ভাষা | অন্যান্য ভাষা: সরাইকী, কচ্ছী, মেমোনী, হরিয়াণবী, পাঞ্জাবি, ব্রাহুই, বেলুচ, ধাতকি,[২][৩] |
সংসদের আসন | ১৬৮[৪] |
জেলা | ২৪ |
টাউন | ১১৯ |
ইউনিয়ন পরিষদ | ১১০৮[৫] |
ওয়েবসাইট | sindh.gov.pk |
সিন্ধু প্রদেশ (সিন্ধি: سنڌ, উর্দু: سندھ) পাকিস্তানের সাতটি প্রদেশের একটি। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত। সিন্ধু মোট জনসংখ্যার দিক দিয়ে পাঞ্জাবের পর পাকিস্তানের দ্বিতীয় জনবহুল প্রদেশ এবং আয়তনের দিক দিয়ে পাকিস্তানের তৃতীয় বৃহত্তম প্রদেশ। এটির উত্তরে-পশ্চিমে পাকিস্তানের বেলুচিস্তান, উত্তরে পাকিস্তানের পাঞ্জাব, দক্ষিণ-পূর্ব ও পূর্বে ভারতের গুজরাত ও রাজস্থান রাজ্যদ্বয়ের সাথে স্থলসীমানা রয়েছে, এবং দক্ষিণে আরব সাগর। সিন্ধুর ভূপ্রকৃতি সিন্ধু নদীর পার্শ্ববর্তী পলল সমভূমি,ভারতের সাথে আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর প্রদেশের পূর্ব অংশে থর মরুভূমি এবং প্রদেশের পশ্চিম অংশে কির্থর পর্বতমালা নিয়ে গঠিত।
সিন্ধুর অর্থনীতি পাঞ্জাব প্রদেশের পর পাকিস্তানের দ্বিতীয় অর্থনীতি। এর প্রাদেশিক রাজধানি করাচি দেশটির সবচেয়ে জনবহুল শহর এবং এর প্রধান আর্থিক কেন্দ্র। সিন্ধু পাকিস্তানের শিল্প খাতের একটি বড় অংশ সরবরাহকারী.এবং এতে দেশটির দুটি ব্যস্ততম বাণিজ্যিক বন্দর কাশিম আর করাচি বন্দর রয়েছে। সিন্ধুর অবশিষ্টাংশ একটি কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি নিয়ে গঠিত এবং দেশের অন্যান্য অংশের জন্য ফল, ভোক্তা আইটেম এবং সবজি উৎপাদন করে।
সিন্ধুকে কখনও কখনও বাব-ঊল-ইসলাম (ইসলামের প্রবেশদ্বার) হিসাবে উল্লেখ্য করা হয়, কারণ এটি ছিল ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম অঞ্চলগুলোর মধ্যে একটি যেটি ইসলামী শাসনের অধীনে পড়ে। আধুনিক দিনের প্রদেশের কিছু অংশ মাঝে মাঝে মুসলিম বিজয়ের সময় রাশিদুন সেনাবাহিনীর আক্রমণের শিকার হয়েছিল। কিন্তু ৭১২ সালে মুহাম্মদ ইবনে কাসিমের নেতৃত্বে উমাইয়া খিলাফতের অধীনে সিন্ধুতে আরব আক্রমণ না হওয়া পর্যন্ত এই অঞ্চলটি মুসলিম শাসনের অধীনে পড়েনি। জাতিগত সিন্ধি জনগণ প্রদেশের বৃহত্তম গোষ্ঠী গঠন করে; ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ভারতের বিভক্তির পর এই অঞ্চলে অভিবাসনকারী ভারতীয় মুসলমানদের একটি বহুজাতিক গোষ্ঠী, মুহাজিরদের (লিট.'অভিবাসী') সংখ্যাগরিষ্ঠ সংখ্যাগরিষ্ঠদের বসবাসের জায়গাও সিন্ধু। প্রদেশটি তার স্বতন্ত্র সংস্কৃতির জন্য সুপরিচিত।, যা সুফিবাদ দ্বারা দৃঢ়ভাবে প্রভাবিত, হিন্দু ও মুসলমান উভয়ের জন্য সিন্ধি পরিচয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ চিহ্ন। বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধি সুফি মাজার সমগ্র প্রদেশ জুড়ে অবস্থিত এবং প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ ভক্তদের আকর্ষণ করে।
![]() |
পাকিস্তান বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |