সিন্ধুদুর্গ জেলা | |
---|---|
মহারাষ্ট্রের জেলা | |
![]() মহারাষ্ট্রে সিন্ধুদুর্গের অবস্থান | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | মহারাষ্ট্র |
প্রশাসনিক বিভাগ | কোঙ্কণ ডিভিশন |
সদরদপ্তর | ওরস, সিন্ধুদুর্গ |
তহশিল | 1. ডোডামার্গ , 2. সাওন্তওয়াড়ি, 3. ভেঙ্গুরলা, 4. কুড়াল, 5. মালওয়ান, 6. কাঙ্কাভলি, 7. দেবগড়, 8. বৈভবওয়াড়ি |
সরকার | |
• লোকসভা কেন্দ্র | 1. রত্নগিরি-সিন্ধুদুর্গ (রত্নগিরি জেলাতেও কিছু অংশ) ( Election Commission website হতে প্রাপ্ত তথ্য অনু্যায়ী) |
• বিধানসভা আসন | ৪ |
আয়তন | |
• মোট | ৫,২০৭ বর্গকিমি (২,০১০ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (2011) | |
• মোট | ৮,৪৯,৬৫১ |
• জনঘনত্ব | ১৬০/বর্গকিমি (৪২০/বর্গমাইল) |
• পৌর এলাকা | ১২.৫৯% |
জনতাত্ত্বিক | |
• সাক্ষরতা | ৮৫.৫৬% |
• লিঙ্গানুপাত | ১০৩৬ |
প্রধান মহাসড়ক | এন এইচ-৬৬ |
গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাত | ৩২৮৭ মিমি |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
সিন্ধুদুর্গ ভারতের মহারাষ্ট্রের একটি প্রশাসনিক জেলা , যা পূর্বে রত্নগিরি জেলার অন্তর্গত ছিল। জেলা সদর দফতর সিন্ধুদুর্গ ওরস এ অবস্থিত। জেলার আয়তন ৫২০৭ বর্গকিমি এবং জনসংখ্যা ৮৪৯,৬৫১ জন যার মধ্যে ১২.৫৯% শহরবাসী (২০১১ সালের জনগণ্না অনুযায়ী)[১]। ২০১১ সালের হিসাবে এটি মহারাষ্ট্রের ৩৯টি জেলার মধ্যে সবচেয়ে কম জনবহুল জেলা[২]।
জেলার নাম হয়েছে মালওয়ানের উপকূলে একটি পাথুরে দ্বীপে অবস্থিত সিন্ধুদুর্গ (যার মানে "সমুদ্রে দুর্গ") দুর্গের নামে। সিন্ধুদর্গ দুর্গ, রাজা শিবাজী দ্বারা ষোড়শ শতকে নির্মিত একমাত্র দুর্গ যার অভ্যন্তরে শিবাজী মহারাজের মন্দির এবং শিবাজী মহারাজের হাতের ছাপ রয়েছে। সিন্ধুদুর্গ জেলায় মোট ৩৭ টি দুর্গ রয়েছে,যা মহারাষ্ট্রে জেলাগুলির মধ্যে সর্বাধিক এবং এই জেলাতে সব ধরনের দুর্গ অর্থাৎ (জলদুর্গ-সাগর), ভূমিদুর্গ (ভূমি) এবং (পাহাড়ের চূড়ায় গিরি-দুর্গ) রয়েছে।
১৯৮১ সালের ১লা মে, সিন্ধুদুর্গকে আলাদা জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সিন্ধুদুর্গের উত্তরে রয়েছে রত্নগিরি জেলা, দক্ষিণে গোয়া রাজ্য,পশ্চিমে আরব সাগর এবং পূর্ব দিকে পশ্চিম ঘাট বা সহ্যাদ্রি পর্বতমালা পরিবৃত ও কোলহাপুর জেলা। সিন্ধুদুর্গ পশ্চিম মহারাষ্ট্রে কোঙ্কণ (উপকূলীয় অঞ্চল) এর অন্তর্ভুক্ত একটি সংকীর্ণ উপকূলীয় সমতল অংশ, যা পূর্বে পশ্চিমঘাট পর্বতমালা এবং পশ্চিমদিকে আরব সাগরের মধ্যে অবস্থিত।
২০১১ সালের ভারতের জনগণনা অনুসারে সিন্ধুদুর্গ জেলায় [[জনসংখ্যাগত তথ্য] জনসংখ্যা]] ৮৪৯,৬৫১ জন [২] যা কিনা প্রায় কাতেরের জনসংখ্যার সমান [৩] অথবা আমেরিকার সাউথ ডাকোটা রাজ্যের জনসংখ্যার সমান [৪]। জনসংখ্যার অনুযায়ী ভারতের ৬৪০ টি জেলার মধ্যে সিন্ধুদুর্গের অবস্থান ৪৭৪ [২] তম স্থানে। জেলার জনঘনত্ব ১৬৩ জন প্রতি বর্গকিলোমিটার (৪২০ জন/বর্গমাইল)[২]। ২০০১-১১ এর দশকে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল -২.২১%[২]। সিন্ধুদুর্গের লিঙ্গানুপাত প্রতি ১০০০ জন পুরুষের জন্য ১০৩৭ জন নারী এবং স্বাক্ষরতার হার ৮৫।৫৬% .[২]।
জনসংখ্যা | স্বাক্ষরতার হার | |
মোট | ৮,৪৯,৬৫১ | ৮৫.৫৬% |
পুরুষ | ৪,১৭,৮৯০ | ৯১.৫৮% |
মহিলা | ৪,৫০,৯৩৫ | ৭৯.৮১% |
জেলার বেষিরভাগ অংশই গ্রাম এবং মোটামুটিভাবে গ্রামীণ জনসংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৮৭.৪১%। সিন্ধুদুর্গ জেলার মানুষ বেশিরভাগই কোঙ্কণি ভাষার উপভাষা মালওয়ানীতে কথা বলে থাকেন যদিও মারাঠি প্রায় সবাই দক্ষ।এছাড়াও অধিকাংশ মানুষ হিন্দী ও ইংরেজি বুঝতে ও বলতে স্বচ্ছন্দ।
প্রধান ফসলগুলি ধান, নারকেল, কোকাম, আম, কাজুবাদাম। বার্ষিক ফসল কোকাম, আম এবং কাজুবাদাম। জেলার মোট জমির ৭৪%, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের অধীনে। খাল এবং ছোট চ্যানেলগুলি দ্বারা সেচকৃত ভূমি মোত কৃষিভূমির মাত্র ২৩.৪৮%।
৩৩,৯১০ হেক্টর জমি সেচের অধীন এবং ১,০৪৩৯০ হেক্টর জমি সেচিবিহীন। ৩৮,৬৪৩ হেক্টর জমি বনভূমি। সেচের বৃহৎ প্রকল্প মাত্র 2টি (তিলারী ও তালাবা); মাঝারি প্রকল্প ৪টি; রাজ্য মালিকানাধীন ছোট প্রকল্প : ৩৩টি এবং জিলা পরিসদের মালিকানাধীন ছোট প্রকল্প প্রায় ৪৬০টি।
জেলার মোট সাগর উপকূলের দৈর্ঘ্য ১২১ কিলোমিটার; মাছ ধরার এলাকা ১৬,০০০ কিমি। প্রধান মৎস্য কেন্দ্র - ৮টি যথাঃ বিজয়দুর্গ, দেবগড়, আচারা, মালওয়ান, সারজেকোট , কোচারা, ভেনগুড়লা, শিরোডা। মোট জেলের সংখ্যা ২৫৩৬৫ জন এবং মোট মাছ উৎপাদন ১৯২৭৩ মেট্রিক টন। ফিশারিজ সমবায় সমিতি রয়েছে ৩৪ টি যাদের মোট সদস্য সংখ্যা ১৪,২১৬ জন।
সিন্ধুদুর্গের জলবায়ু একটি আধা-গ্রীষ্মমণ্ডলীয় জলবায়ু এবং বছরের বেশিরভাগ সময় উষ্ণ ও আর্দ্র থাকে। এর তিনটি স্পষ্ট প্রকাশিত ঋতু রয়েছে: বর্ষাকাল (জুন-অক্টোবর), শীতকাল (নভেম্বর-মধ্য ফেব্রুয়ারি) এবং গ্রীষ্মকাল (ফেব্রুয়ারি-মে এর মাঝামাঝি)।সরবোচ্চ তাপমাত্রা হয় ৩২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড এবং বর্ষাকাল ভারী বৃষ্টিপাত (গড় বৃষ্টিপাত ৩২৪০.১০ মিমি) হয়।
জেলার রন্ধনপ্রণালী জনপ্রিয় মালওয়ানি রান্না নামে পরিচিত। মালাওয়ানি খাবারে নারিকেল, ভাত এবং মাছ প্রধান গুরুত্বপূর্ণ খাবার। মাছ, বিশেষত বাংড়া(সলোমন) প্যাপলেট (পমফ্রেট), চিংড়ি এবং তিসিয়া (মেসেলস) মাছ খুবই জনপ্রিয়। "কোম্বড়ি ভাডে" বা "ভাডে সাগোটি" নামে পরিচিত মুরগির মাংসের একটি পদ, এখানে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বিখ্যাত পদগুলির মধ্যে অন্যতম। "গোলমা" নামে শুঁটকি মাছও এখানে খুব জনপ্রিয়। "সোল কাড়ি" নামে একটি পানীয় যা কোকাম এবং নারকেলের দুধ থেকে তৈরি হয়, সিন্ধুদুর্গে তো বটেই, সমগ্র মহারাষ্ট্রেই অত্যন্ত জনপ্রিয় পানীয়।
জেলাতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা নিম্নরূপঃ
রেডি শিরোদা তরকারলি মালওয়ান তালাশিল বিচ টৌদাভী বিচ বিজয় দুর্গ রামেশ্বর কোথেরওয়াদি সৈকত, নিভতি (মাহাপান - তালুক ভেনগুড়) খভনে (মাহাপান - তালুক ভেনগুড়) কান্দুরা (দাভোলি - তালুক ভেনগুড়) দেববাগ (মালওয়ান)
জেলার ৮ টি তালুক ১. ডোডামার্গ , ২. সাওন্তওয়াড়ি, ৩. ভেঙ্গুরলা, ৪. কুড়াল, ৫. মালওয়ান, ৬. কাঙ্কাভলি, ৭. দেবগড়, ৮. বৈভবওয়াড়ি।
এই জেলার ৩ টি বিধানসভা আসন আছে। এইগুলি কাঙ্কাভলি, সাওন্তওয়াড়ি ও কুড়াল। এই সব আসনগুলি একটি মাত্র লোকসভা কেন্দ্র, রত্নগিরি-সিন্ধুদুর্গ এর অংশ[৬]।
জেলাটি কোঙ্কণ রেলওয়ের অন্তর্গত এবং কোঙ্কণ রেলওয়ে দ্বারা [মুম্বই, [থানে]], গোয়া এবং ম্যাঙ্গালোর, কারওয়ার এরনাকুলাম, তিরুবনন্তপুরম, কোএম্বাটর, তিরুনাভেলি, হাপা, ভেরালাল, নয়াদিল্লি, জোড়পুর, পোরবন্দর এর মত দেশের অন্যান্য অংশের সাথেও সংযুক্ত,
সিন্ধুদুর্গ জেলাটি জাতীয় সড়ক ৬৬-র মাধ্যমে রাজধানী মুম্বাইয়ের সাথে সংযুক্ত[৭]।এই জাতীয় সড়কটি সিন্ধুদুর্গকে প্রতিবেশী রাজ্য গোয়া ও কর্ণাটক এর সাথেও সংযুক্ত করেছে। এছাড়াও সড়কপথে কোলহাপুর, বেলগাম এবং গোয়ার সাথেও সংযুক্ত এই জেলাটি।
নিকটতম বিমানবন্দর গোয়ার ডাবোলিম বিমানবন্দর যা সাওন্তওয়াড়ি, কুড়াল এবং ভেনগূড়লে শহরগুলির থেকে খুব কাছাকাছি (80 কিলোমিটার) অবস্থিত। এছাড়াও সিন্ধুদুর্গ বিমানবন্দর নির্মাণের কাজ চলছে চিপি-পাড়ুলে অঞ্চলে[৮]
Qatar 2,374,860 may 2015 est.
South Dakota 814,180
|=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); অজানা প্যারামিটার |অ্যাক্সেসডেট=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); অজানা প্যারামিটার |3=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); অজানা প্যারামিটার |4=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)