সিমি গারেওয়াল | |
---|---|
জন্ম | সিম্রিতা গারেওয়াল ১৭ অক্টোবর ১৯৪০[১] |
পেশা | চলচ্চিত্র অভিনেত্রী, প্রযোজক, পরিচালক, উপস্থাপক |
কর্মজীবন | ১৯৬২ – বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী | রবি মোহন (বিবাহবিচ্ছেদ) |
আত্মীয় | পামেলা চোপড়া (মামাতো বোন) যশ চোপড়া (ভগ্নিপতি) আদিত্য চোপড়া (ভাগ্নে) উদয় চোপড়া (ভাগ্নে) |
ওয়েবসাইট | ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট |
সিমি গারেওয়াল (জন্ম: ১৭ অক্টোবর ১৯৪০) একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। ভারতের একটি গারেওয়াল পরিবারে তার জন্ম। তার বাবা ছিলেন ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা। সে সূত্রে ইংল্যান্ডে অনেকদিন থেকেছেন। ইংরেজি ভাষায় কথা বলার ক্ষেত্রে বিশেষ দক্ষ হওয়ার কারণে তিনি ১৯৬২ সালে হিন্দি চলচ্চিত্র অভিনেতা ফিরোজ খানের বিপরীতে 'টারজান গোস টু ইন্ডিয়া' নামক ইংরেজি চলচ্চিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পান। বাংলা চলচ্চিত্রের প্রখ্যাত পরিচালক সত্যজিৎ রায় তার 'অরণ্যের দিনরাত্রি' চলচ্চিত্রে সিমিকে দিয়ে এক আদিবাসী মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করিয়েছিলেন।[১][২]
সিমি ১৯৪৪ সালের ১৭ অক্টোবর পাঞ্জাবের লুধিয়ানায় একটি গারেওয়াল জাট-শিখ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।[১] তার বাবার নাম ছিলো জে এস গারেওয়াল যিনি সেনাবাহিনীর একজন ব্রিগেডিয়ার ছিলেন। সিমি'র মাতার নাম ছিলো দর্শী যিনি হিন্দি চলচ্চিত্র পরিচালক যশ চোপড়ার স্ত্রী পামেলার পিতা মোহিন্দার সিংয়ের বোন ছিলেন।[৩] সিমি ইংল্যান্ডে বড় হন, এবং ওখানে তার বোন অমৃতার সঙ্গে নিউল্যান্ড হাউজ স্কুলে পড়েন।[৪]
উঠতি বয়সে সিমি ইংল্যান্ড থেকে ভারতে চলে আসেন। তিনি টারজান গোস টু ইন্ডিয়া নামের একটি চলচ্চিত্রে কামারা চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পেয়ে যান যেটি ১৯৬২ সালে মুক্তি পায়, চলচ্চিত্রটিতে ফিরোজ খান ছিলেন।[৫] তার ভালো অভিনয়ের কারণে তিনি আরো অনেক চলচ্চিত্রে কাজ করার প্রস্তাব পেয়ে যান। ষাট এবং সত্তরের দশকে তিনি মেহবুব খানের 'সন অব ইন্ডিয়া' (১৯৬২), রাজ খোসলার 'দো বাদান' (১৯৬৬), রাজ কাপুরের 'মেরা নাম জোকার' (১৯৭০), সত্যজিৎ রায়ের 'অরণ্যের দিনরাত্রি' (১৯৭০), মৃণাল সেনের 'পদাতিক' (১৯৭৩) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান।
১৯৭৩ সালে তার শশী কাপুরের সঙ্গে অভিনীত 'সিদ্ধার্থ' চলচ্চিত্র মুক্তি পায়, যেটিতে তিনি তার 'কমলা' নামক চরিত্রের জন্য নগ্ন হয়েছিলেন, ভারতের কেন্দ্রীয় চলচ্চিত্র অনুমোদন পর্ষদ নগ্ন দৃশ্য কেটে দিয়ে চলচ্চিত্রটিকে মুক্তি দিয়েছিলো।[৬][৭][৮] তার দুলাভাই যশ চোপড়া তাকে অমিতাভ বচ্চন, রাখী, শশী কাপুর, ঋষি কাপুর, ওয়াহিদা রেহমান এবং নীতু সিং অভিনীত চলচ্চিত্র 'কাভি কাভি' (১৯৭৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত) তে শোভা কাপুর নামে একটি ছোটো চরিত্রে নেন, তার মামাতো বোন পামেলা ওটির গল্পও লিখেছিলেন, এছাড়া ঐ বছরই 'চলতে চলতে' নামের তার অভিনীত আরেকটি চলচ্চিত্র মুক্তি পায় যেটিতে তিনি এক প্রেমিক হারানো মানসিক রোগী গীতার চরিত্রে অভিনয় করেন।[৯]
১৭ বছর বয়সে সিমি প্রথম এক ছেলের সাথে দৈহিক মিলন করেন এরপর বহু পুরুষের সঙ্গে তার প্রেম এবং যৌন-সম্পর্ক হয়েছে।[১০] আশির দশকের শুরু দিকে তিনি সালমান তাসীর নামের এক পাকিস্তানি শিল্পপতির ছেলের সাথে প্রেম এবং যৌন-সম্পর্ক গড়ে তোলেন।[১১]
১৯৭০ সালে সিমি রবি মোহন নামের এক ব্যবসায়ী প্রেম করে বিয়ে করেন, কিন্তু তা অল্প দিনের মধ্যেই ভেঙে যায়।[১২]