সিয়েরা লিওন (ইংরেজি: Sierra Leone) প্রায় ২,৫০০ বছর আগে বর্তমান আফ্রিকান লোকজন দ্বারা অধিষ্টিত হয়। সিয়েরা লিওনে বসতি স্থাপন করা প্রথম আদিবাসী জনগোষ্ঠীর নাম লিম্বা। উষ্ণ ঘনবর্ষণ বনাঞ্চল সিয়েরা লিওনকে পশ্চিম আফ্রিকার সংস্কৃতি থেকে আলাদা করে রাখে। সহিংসতা থেকে বাঁচতে মানুষ ক্রমাগত সিয়েরা লিওনে আসা শুরু করে। পর্তুগিজ অনুসন্ধানকারী পেদ্রো ডি সিন্ট্রা ১৪৬২ সালে জায়গাটির মানচিত্র তৈরীর সময় এর নাম সিয়েরা লিওন রাখেন। ফ্রিটাউন মোহনা জাহাজ ভিড়ানো, জল সংগ্রহ আর আন্তঃসাহারা বাণিজ্যের জন্য আন্তর্জাতিক পরিচয় পাওয়া শুরু করে।
মধ্য ১৬ শতকে মেনরা সিয়েরা লিওন আক্রমণ করে, উপকূলবর্তী জনগোষ্ঠীকে তাদের অধীনে আনে আর সামরিক শাসন চালু করে। মেনরা দ্রুত স্থানীয়দের সাথে মিশে যায়, আর নেতৃস্থানীয় পদগুলো নিয়ে ক্রমশ সংঘাত চলতে থাকে। আর এর মাঝে অনেক অধিবাসীদের ইউরোপিয় দাস ব্যবসায়ীরা ধরে নিয়ে যায়। আটলান্টিয় দাস বাণিজ্যের একটা গভীর প্রভাব আছে সিয়েরা লিওনের উপর, প্রথম ১৭ ও ১৮ শতকে ক্রমবর্ধমান দাস বাণিজ্য, আর পরে ১৮০৭ এ দা ব্যবসা নিষিদ্ধ হওয়ার পর দাসপ্রথাবিরোধী আন্দোলনের। ব্রিটিশ বিলোপকারীরা কালো রাজভক্তদের একটা কলোনি তৈরী করে ফ্রিটাউনে, পরবর্তীতে যেটা ব্রিটিশ পশ্চিম আফ্রিকার রাজধানীতে পরিণত হয়। দাস বাণিজ্যকে রোখার জন্য সেখানে নৌবাহিনীর বিশেষ একটা বিভাগ দায়িত্বে নিযুক্ত হয়, সাথে সাথে যত বেশি দাস মুক্ত হচ্ছিলো, সাথে পশ্চিম ভারতীয় আর নেপোলিয়র যুদ্ধে ব্রিটেনের জন্য যুদ্ধ করা কালো সৈন্যের সংখ্যা বাড়ছিলো, কলোনিটির আয়তনও ক্রমশ বাড়ছিলো। এ বিশেষ জনগোষ্ঠীকে ক্রিয়োস বলে ডাকা হতো।
প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে, সিয়েরা লিওন কমপক্ষে ২,৫০০ বছর আগে বসতি স্থাপিত হয়েছে,[১] আফ্রিকার অন্যান্য অংশের লোকজন এখানে জড়ো হয়েছিল। [২][৩] নবম শতাব্দীর দিকে সিয়েরা লিওনের কাছে লোহার প্রচলন হয়েছিল এবং দশম শতাব্দীর শেষের দিকে উপকূলীয় উপজাতিদের মধ্যে কৃষিকাজ চালু ছিল। [৪]