সিরসা জেলা | |
---|---|
হরিয়ানার জেলা | |
হরিয়ানায় সিরসা জেলার অবস্থান | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | হরিয়ানা |
সদর দপ্তর | সিরসা |
তহশিল | ১. সিরসা, ২.দবওয়ালি, ৩. রানিয়া, ৪. এলেনাবাদ |
আয়তন | |
• মোট | ৪,২৭৭ বর্গকিমি (১,৬৫১ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ১২,৯৫,১৮৯ |
• জনঘনত্ব | ৩০০/বর্গকিমি (৭৮০/বর্গমাইল) |
জনসংখ্যার উপাত্ত | |
• সাক্ষরতা | ৬০.৫৫% |
• যৌন অনুপাত | ৯৯৯ (২০১৫ অনুসারে) |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০) |
প্রধান মহাসড়ক | এনএইচ ১০ |
লোকসভা কেন্দ্র | সিরসা (ফতেহাবাদ জেলার সাথে) |
বিধানসভা কেন্দ্রগুলি | ৫ |
ওয়েবসাইট | http://sirsa.nic.in/ |
সিরসা জেলা হল হরিয়ানা রাজ্যের বৃহত্তম জেলা। সিরসা হল জেলা সদর, এবং জাতীয় সড়ক ১০ এর পাশে অবস্থিত। এটি রাজধানী দিল্লি থেকে ২৫০ কিলোমিটার (১৬০ মা) দূরে অবস্থিত। এই শহরের পরিধি প্রায় ৫ কিলোমিটার।
জেলাটির সদর দপ্তরের নামে জেলার নামকরণ করা হয়েছে সিরসা। সিরসা নামটি, প্রাচীন সংস্কৃত নাম সৈরিশকা থেকে উদ্ভূত হয়েছে, যা মহাভারত, পাণিনি এবং দিব্যবদনে উল্লিখিত হয়েছে। মহাভারতে বলা হয়েছে, নকুল তাঁর পশ্চিম ভাগ বিজয়ের সময় সৈরিশকা দখল করেন। মনে করা হয়, খ্রিষ্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দীতে, এটি একটি বিকাশমান শহর ছিল, পাণিনির ভাষ্যে এর উল্লেখ পাওয়া যায়।
শহরের নামটির উৎপত্তি সম্পর্কে প্রচুর কিংবদন্তি রয়েছে। এর প্রাচীন নাম ছিল সৈরিশকা এবং সেখান থেকে মনে হয় এটি সিরসায় পরিণত হয়েছিল। স্থানীয় লোককথা অনুসারে, সরস নামে এক রাজা ৭ম শতাব্দীতে এই শহরটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, এবং একটি দুর্গ নির্মাণ করেছিলেন। একটি প্রাচীন দুর্গের অবশেষ এখনও বর্তমান শহরের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে দেখা যায়। অন্য একটি কিংবদন্তি অনুসারে, পবিত্র সরস্বতী নদী থেকে এই নামটির উৎপত্তি হয়েছে, যেটি এর কাছ দিয়ে প্রবাহিত হত। মধ্যযুগীয় সময়কালে, শহরটি সরসুতি নামে পরিচিত ছিল। মধ্যযুগীয় একাধিক ঐতিহাসিক এটিকে সরসুতি বলে উল্লেখ করেছেন। আশেপাশে প্রচুর শিরিষ গাছ ("আলবিজিয়া লেব্বেক" (বেন্থ) থাকার কারণ হিসাবেও এই নামের উদ্ভব মনে করা হয়, এই কারণটিকে অনেক বেশি বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হয় কারণ এর উল্লেখ পাণিনি এবং তাঁর বক্তাদের মধ্যেও পাওয়া গেছে। প্রাচীন যুগে সিরসা সিরসাপত্তন নামেও পরিচিত ছিল। তবে স্থানীয় কিছু লোকজন এখনও বিশ্বাস করেন যে নামটি সরসাই নাথের কাছ থেকে পাওয়া, যাঁর মন্দিরটি এখানে রয়েছে।
১৮১৯ সালে, বর্তমান জেলা অঞ্চলটি ব্রিটিশরা দখল করে নেয় এবং এটি দিল্লি ভূখণ্ডের উত্তর পশ্চিম জেলার একটি অংশে পরিণত হয়েছিল। ১৮২০ সালে, উত্তর পশ্চিম জেলাটি উত্তর এবং পশ্চিম জেলাতে বিভক্ত হয়েছিল এবং এই অঞ্চলটি পশ্চিম জেলার সাথে যুক্ত হয়েছিল, পরে এটিরই নাম হয় হরিয়ানা জেলা। ১৮৩৭ সালে, এটি হরিয়ানা জেলা থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল এবং নব গঠিত ভাটিণ্ডা জেলার সাথে একীভূত করা হয়েছিল। ১৮৫৮ সালে, ভাটিণ্ডা জেলা পাঞ্জাব প্রদেশে স্থানান্তরিত হয়েছিল এবং সিরসা জেলা নামকরণ করা হয়েছিল। ১৮৮৪ সালে, সিরসা জেলা বিলুপ্ত করা হয়েছিল, এর দুটি তহসিল, সিরসা ও দবওয়ালি একত্রিত হয়ে সিরসা তহশিল গঠন করেছিল, যা পাঞ্জাব প্রদেশের হিসার জেলার অংশে পরিণত হয়েছিল। ১৯৬৬ সালের ১লা নভেম্বর, এটি নব গঠিত হরিয়ানা রাজ্যের অংশে পরিণত হয়েছিল। ১৯৬৮ সালে, সিরসা তহশিলকে আবারও সিরসা ও দবওয়ালি তহশিলে বিভক্ত করা হয়। ১৯৭৫ সালের ১লা সেপ্টেম্বর, পূর্ববর্তী হিসার জেলার সিরসা ও দবওয়ালি তহশিলকে সমন্বিত করে, বর্তমান জেলাটি তৈরি করা হয়েছিল।
২০০৬ সালে পঞ্চায়েত রাজ মন্ত্রক সিরসাকে দেশের ২৫০টির মধ্যে একটি সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া জেলা (মোট ৬৪০ জেলা) হিসেবে ঘোষণা করেছিল।[১] এটি হরিয়ানার দুটি জেলার মধ্যে একটি, যা পশ্চাৎপদ অঞ্চল অনুদান তহবিল কর্মসূচির (বিআরজিএফ) তহবিল গ্রহণ করে।[১]
বছর | জন. | ব.প্র. ±% |
---|---|---|
১৯০১ | ১,৬৫,১৬৭ | — |
১৯১১ | ১,৭০,৭৩৩ | +০.৩৩% |
১৯২১ | ১,৭৩,৪৭৬ | +০.১৬% |
১৯৩১ | ১,৯০,৭৭২ | +০.৯৫% |
১৯৪১ | ২,১৩,৫২২ | +১.১৩% |
১৯৫১ | ২,২১,২৮২ | +০.৩৬% |
১৯৬১ | ৩,৭০,৬৬৫ | +৫.২৯% |
১৯৭১ | ৫,৩৩,৬০৪ | +৩.৭১% |
১৯৮১ | ৭,০৭,০৬৮ | +২.৮৫% |
১৯৯১ | ৯,০৩,৫৩৬ | +২.৪৮% |
২০০১ | ১১,১৬,৬৪৯ | +২.১৪% |
২০১১ | ১২,৯৫,১৮৯ | +১.৪৯% |
সূত্র:[২] |
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে সিরসা জেলার জনসংখ্যা ১,২৯৫,১৮৯,[৪] মরিশাস[৫] বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যাম্পশায়ারের জনসংখ্যার প্রায় সমান।[৬] জনসংখ্যারভিত্তিতে এটি ভারতে ৩৭৮তম স্থানে আছে (মোট ৬৪০ জেলার মধ্যে)।[৪] জেলার জনসংখ্যার ঘনত্ব ৩০৩ জন প্রতি বর্গকিলোমিটার (৭৮০ জন/বর্গমাইল)।[৪] ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে এর জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২০০১ - ২০১১ এর দশকে ১৫.৯৯% ছিল।[৪] এখানে প্রতি ১০০০ জন পুরুষের জন্য ৮৯৭ জন মহিলা (যৌন অনুপাত) আছে[৪] এবং এখানেসাক্ষরতার হার এর ৬৮.৮২%।[৪]
২০০১ সালের হিসাবে, হিন্দি ভাষাভাষী জনসংখ্যার ৬৬% এবং পাঞ্জাবি ভাষাভাষী জনসংখ্যার ৩৩%।
স্থান | ভাষা | ১৮৮১[৭] | ১৯৬১[৮] | ১৯৯১[৯] | ২০০১[১০] |
---|---|---|---|---|---|
১ | পাঞ্জাবী | ২৭.০০% | ২৯.৪০% | ৩৫.৫৪% | ৩৩.৪২% |
২ | হিন্দি | — | ৭০.৫০% | ৬৫.৩৪% | ৬৫.৯৪% |
৩ | উর্দু | — | — | ০.০২% | ০.০৭% |
— | হিন্দুস্তানি | ৪৩.০০% | — | — | — |
— | অন্যান্য | — | ০.১০% | ০.১০% | ০.৫৭% |
Mauritius 1,303,717 July 2011 est.
New Hampshire 1,316,470