সিরাজউদ্দীন হাক্কানী (পশতু: سِراج الدّين حقاني জন্ম: ১৯৭৩[১] বা ১৯৭৭/৭৮[২]) একজন আফগান সামরিক নেতা। তিনি তালেবানের ডেপুটি প্রধান। তার নেতৃত্বে তালেবান আমেরিকা ও তার জোটবাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধ করে। উত্তর ওয়াজিরিস্তানে তার শক্ত ঘাঁটি আছে। সেখান থেকে তিনি আল কায়েদাকে সাহায্য ও আশ্রয় প্রদান করেন। সিরাজউদ্দীন হাক্কানি বর্তমানে হাক্কানি নেটওয়ার্কের নেতা। এটি তালেবানের সহযোগী সংঠন।[৩][৪][৫] তিনি তালেবানের সর্বোচ্চ কমান্ডার মাওলানা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দাজাদা এর অধীনে উপ-নেতা হিসেবে কাজ করছেন।[৬][৭][৮]
সিরাজ আরবি শব্দ (سراج الدين)। সিরাজউদ্দীনের বাংলা অনুবাদ করলে এর অর্থ দাঁড়ায় ধর্মের বাতি।[৯] সিরাজ শব্দের অর্থ এমন বস্তু যা আলো সরবরাহ করতে পারে বা যার নিজের আলো আছে। যেমনঃ অালোকবস্তু,মোমবাতি ইত্যাদি। এদের নিজস্ব আলো আছে বা উজ্জ্বল কিছু। ইসলাম ধর্মের ধর্মীয় গ্রন্থ আল কুরআনে সিরাজ শব্দ দ্বারা সূর্যকে বুঝানো হয়েছে।[১০]
হাক্কানি শব্দটির আরবি রূপান্তর হলো حقانی, যার অর্থ কিছু বা কেউ বা শুধু নিরপেক্ষ।[১১]
তিনি তার শৈশব মিরিয়ম শাহ এর সাথে অতিবাহিত করেছেন। তিনি পেশোয়ারের নিকটবর্তী হাক্কানিয়া মাদ্রাসাতে পড়াশোনা করেছেন।
সিরাজউদ্দীন হাক্কানির বাবার নাম জালালউদ্দীন হাক্কানি। জালালউদ্দীন হাক্কানি একজন বিখ্যাত যোদ্ধা ও তালেবানের সামরিক নেতা। তিনি পাকিস্তান ও আফগানিস্থানে অনেক যুদ্ধ করেছেন। তার ছোট ভাই মোহাম্মাদ হাক্কানিও এই চক্রের একজন সদস্য। তিনি ২০১০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ড্রোন হামলায় মারা যান। হামলাটি উত্তর ওয়াজিরিস্তানের একটি গ্রাম ড্যান্ডি দারপাখেল এ পরিচালনা করা হয়েছিলো।[১২]
সিরাজউদ্দীন হাক্কানির অন্যতম সহযোগী এবং তার ডেপুটি সঙ্গিন জাদ্রান মার্কিন ড্রোন হামলায় মারা যান। হামলাটি ২০১৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর পরিচালনা করা হয়।[১৩]
হাক্কানি ২০০৮ সালের ১৪ জানুয়ারি কাবুলের সেরেনা হোটেলে হামলার দ্বায় স্বীকার করেছেন। ঐ হামলায় ৬ জন মানুষ মারা যায়। তাদের মধ্যে ডেভিড হেসলা নামক একজন আমেরিকান নাগরিক ছিলেন।[১৪]
হামিদ কারজাইকে হাক্কানি নেটওয়ার্ক হত্যার চেষ্টা করেছিলো। হাক্কানি স্বীকার করেছেন যে, তার সংগঠন এবং হামিদ কারজাইকে হত্যার জন্য ২০০৮ সালের এপ্রিল মাসে পরিকল্পনা করেন। কিন্তু তাদের পরিকল্পনা ব্যার্থ হয়। [১৫]
তার বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে যে, তারা কাবুলের একটি বিদ্যালয়ে বোমা হামলা চালিয়েছে। সেই হামলায় অনেক শিশু মারা যায়। বিদ্যালয়টি আফগান ব্যারাকের কাছেই ছিলো। শিশুদের পাশাপাশি উক্ত হামলায় একজন আফগান সৈনিক এবং একজন আফগান প্রহরী মারা যায়। তবে সামরিক জোট কর্মীদের প্রাণহানি ঘটে নি।
২০০৮ সালের নভেম্বর মাসে তারা নিউ ইয়র্ক টাইমস এর প্রতিবেদক ডেভিড এস রডে কে অপহরণ করেছিলো। তাকে আফগানিস্থান থেকে অপহারণ করা হয়। [১৬]
বেশ কিছু রিপোর্ট নির্দেশ করে যে হাক্কানি বেশ অনেকবার মার্কিন ড্রোন হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছিলেন।[১৭] কিন্তু তিনি ভাগ্যক্রমে প্রতিবার বেঁচে গিয়েছিলেন।[১৮]
২০১০ সালের মার্চ মাসে তিনি তালেবানের শুরা কমিটির নেতা হন।[১৯]
২০১১ সালে সিআইএ তাকে হত্যার একটি সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু তার কাছাকাছি অনেক নারী ও শিশু ছিল বলে তারা আক্রমণ করেনি।[২০]
মোল্লা এ এম মনসুর তালেবানের নতুন নেতা নির্বাচিত হওয়ায় সিরাজউদ্দীন হাক্কানি বলেছিলেনঃ[২১]
...আমার স্পষ্ট অভিমত হলো ইসলামি ইমারতের সবাইকে তাদের নিজেদের মধ্য ঐক্য ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে...
মার্কিন সরকার সিরাজউদ্দীন হাক্কানিকে ধরার জন্য তথ্য দিতে পারলে তাকে ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পুর স্কার দেওয়া হবে
|শিরোনাম=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)Missing or empty |title=
(help)CS1 maint: BOT: original-url status unknown (link)
The remaining nine members of the Quetta Shura who are still at large are believed to be Mullah Hassan Rehmani, the former governor of Kandahar province in Taliban regime; Hafiz Abdul Majeed, the former chief of the Afghan Intelligence and the surge commander of the Taliban in southern Afghanistan; Amir Khan Muttaqi, a former minister in Taliban regime; Agha Jan Mutasim, the Taliban’s head of political affairs; Mullah Abdul Jalil, the head of the Taliban’s shadowy interior ministry, Sirajuddin Haqqani, the son of Maulvi Jalaluddin Haqqani and the commander of the Haqqani militant network; Mullah Abdul Latif Mansoor, the commander of the Mansoor network in Paktika and Khost; Mullah Abdur Razaq Akhundzada, the former corps commander for northern Afghanistan; and Abdullah Mutmain, a former minister during the Taliban regime who currently looks after the financial affairs of the extremist militia.