![]() | এই নিবন্ধের সঙ্গে সিরাজগঞ্জের দর্শনীয় স্থান ও স্থাপনা নিবন্ধটি একীভূত করার প্রস্তাব করা হলো। (আলোচনা করুন) প্রস্তাবের তারিখ: সেপ্টেম্বর ২০২৪। |
সিরাজগঞ্জ(বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ এবং উত্তরবঙ্গের অন্যতম গুরুত্বপূর্ন শহর এবং বাংলাদেশের ১৪ তম বৃহৎ শহর।[১] এটি যমুনা নদীর পশ্চিম তীরে, এবং ঢাকা শহর হতে প্রায় ১১০ কিলোমিটার (৭০ মাইল) উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত। সিরাজগঞ্জ শহর একই সাথে সিরাজগঞ্জ জেলা ও সদর উপজেলার প্রশাসনিক সদরদপ্তর। এর মোট আয়তন ৩১.২৭ বর্গকিলোমিটার ও জনসংখ্যা ৪,৫০,০০০ জন প্রায়। যমুনা সেতুর পশ্চিম প্রান্ত থেকে সিরাজগঞ্জ শহরের দুরত্ব ৮ কিলোমিটার। সিরাজগঞ্জ জেলাকে উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার বলা হয়।
) মধ্যসিরাজগঞ্জ Sirajganj | |
---|---|
উপরে-বাম থেকে ঘড়ির কাঁটার দিকে: যমুনা সেতু, যমুনা ইকো পার্ক, হার্ট পয়েন্ট, যমুনা নদীর তীর , চায়না ব্যারেজ | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°২৭′ উত্তর ৮৯°৪১′ পূর্ব / ২৪.৪৫° উত্তর ৮৯.৬৮° পূর্ব | |
দেশ | ![]() |
বিভাগ | রাজশাহী বিভাগ |
জেলা | সিরাজগঞ্জ জেলা |
উপজেলা | সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা |
সরকার | |
• ধরন | পৌরসভা |
• শাসক | সিরাজগঞ্জ পৌরসভা |
আয়তন | |
• মোট | ৩১.২৭ বর্গকিমি (১২.০৭ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা | |
• মোট | ৪,৫০,০০০ |
• জনঘনত্ব | ১৪,০০০/বর্গকিমি (৩৭,০০০/বর্গমাইল) |
সময় অঞ্চল | বাংলাদেশ সময় (ইউটিসি+৬) |
বেলকুচি থানায় সিরাজউদ্দিন চৌধুরী নামক একজন ভূস্বামী (জমিদার) ছিলেন। তিনি তার নিজ মহালে একটি গঞ্জ স্থাপন করেন। তার নামানুসারে এর নামকরণ করা হয় সিরাজগঞ্জ। কিন্তু এটি ততটা প্রসিদ্ধি লাভ করেনি। যমুনা নদীর ভাঙ্গনের ফলে ক্রমে তা নদীগর্ভে বিলীন হয় এবং ক্রমশঃ উত্তর দিকে সরে আসে। সে সময় সিরাজউদ্দিন চৌধুরী ১৮০৯ সালের দিকে খয়রাতি মহল রূপে জমিদারি সেরেস্তায় লিখিত ভূতের দিয়ার মৌজা নিলামে ক্রয় করেন। তিনি এই স্থানটিকে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রধান স্থানরূপে বিশেষ সহায়ক মনে করেন। এমন সময় তার নামে নামকরণকৃত সিরাজগঞ্জ স্থানটি পুনরায় নদীভাঙ্গনে বিলীন হয়। তিনি ভূতের দিয়ার মৌজাকেই নতুনভাবে সিরাজগঞ্জ নামে নামকরণ করেন। ফলে ভূতের দিয়ার মৌজাই সিরাজগঞ্জ নামে স্থায়ী রূপ লাভ করে।[২]
সিরাজগঞ্জ রাজধানী ঢাকা থেকে উত্তর-পশ্চিমে, রাজশাহী থেকে উত্তর-পূর্বে এবং বগুড়া থেকে দক্ষিণ-পূর্বে, ২৪º২২΄ উত্তর অক্ষাংশ থেকে ২৪º৩৭΄ উত্তর অক্ষাংশ পর্যন্ত এবং ৮৯º৩৬΄ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ থেকে ৮৯º৪৭΄ দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। এর মোট আয়তন ৩১.২৭ বর্গকিলোমিটার।
২০২২ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী সিরাজগঞ্জ শহরের মোট জনসংখ্যা ৪,৫০,০০০ জন।[৩] এ শহরের জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১৪,০০০ জন মানুষ বসবাস করে। নারী পুরুষের লিঙ্গ অনুপাত ১০০ঃ১০২ এবং শিক্ষার হার ৯৮.২%(৭ বছরের উর্দ্ধে)। শহরে মোট থানা রয়েছে ৩৭৪৪২টি।[৩]
শহরে দুটি মেডিকেল কলেজ রয়েছে, পাবলিক শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ এবং বেসরকারি নর্থ বেঙ্গল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। [৪]
নগরীতে কলেজ রয়েছে আটটি। এর মধ্যে রয়েছে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ, ইসলামিয়া সরকারি কলেজ, এবং সরকারি রশিদাজ্জোহা মহিলা কলেজ। [৫][৬]
বি.এল. সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, জ্ঞানদায়িনী উচ্চ বিদ্যালয়, সালেহা ইসহাক সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় উল্লেখযোগ্য মাধ্যমিক বিদ্যালয়। [৬]
সিরাজগঞ্জ থেকে প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য বাংলা দৈনিক পত্রিকাগুলোর মধ্যে রয়েছে দৈনিক যমুনা প্রবাহ, দৈনিক আজকের সিরাজগঞ্জ, দৈনিক যুগের কথা, দৈনিক সিরাজগঞ্জ কণ্ঠ, আমাদের সিরাজগঞ্জ
<references>
-এ সংজ্ঞায়িত "সমকাল" নামসহ <ref>
ট্যাগ পূর্ববর্তী লেখায় ব্যবহৃত হয়নি।