সিরি সুরেইয়া ওন্ডার (জন্ম ৭ জুলাই ১০৬২) একজন তুর্কি চলচ্চিত্র পরিচালক, অভিনেতা, চিত্রনাট্যকার, কলাম লেখক ও তুর্কমেন[১] বংশের রাজনীতিবিদ। পিস অ্যান্ড ডেমোক্রেসি পার্টি (বিডিপি) সমর্থিত স্বাধীনভাবে ২০১১ সালে পার্লামেন্টে নির্বাচিত হন, পরে তিনি দলে যোগ দেন।[১][২][৩] তিনি ২০১৪ সালের পৌরসভা নির্বাচনে বিডিপির বোন পার্টি পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির (এইচডিপি) ইস্তাম্বুল মেয়র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং ৪,১২,৮৭৫ টি ভোট (8.8%) নিয়ে তৃতীয় স্থানে ছিলেন।[৪] ২০১৫ সালের ৭ জুনের সাধারণ নির্বাচনে তিনি আঙ্কারা প্রদেশের ১ ম নির্বাচনী জেলার এমপি নির্বাচিত হন।[৫]
ওন্ডার ১৯৬৭ সালের ৭ জুলাই কুর্দিস্তানের সেমসারে নাপিত পিতার সন্তান হিসাবে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তার পিতা ১৯৬০-এর দশকে বেহিস বোরানের ওয়ার্কার্স পার্টির প্রাদেশিক কার্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও নেতা ছিলেন। তার বাবা সিরোসিসে মারা যান, যখন ওন্ডার আট বছর বয়সী ছিল। তার মা তাকে ও তার চার ছোট ভাই বোনকে নিয়ে দাদুর (মায়ের বাবা) বাড়িতে চলে যান। তিনি তার পরিবারকে আর্থিক ভাবে সহায়তা করার জন্য বিদ্যালয়ে অধ্যায়ন কালীনসময়ে একটি ফটোগ্রাফের দোকানে শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ শুরু করেন এবং উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়া চালিয়ে যান।[২]
তিনি ষোল বছর বয়সে ন্যাশনাল ম্যালেরিয়া নির্মূল কর্মসূচিতে কাজ করে আরও অর্থ উপার্জন করতে শুরু করেন। তিনি ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনে জড়িত হন এবং এর ফলে তাকে বরখাস্ত করা হয়। কিছুদিন নিজের টায়ার মেরামতের দোকান চালিয়ে তিনি পরিচয়পত্রের জন্য মানুষের ছবি তুলে গ্রামাঞ্চলে জীবিকা নির্বাহ করতেন।[২]
তিনি ১৯৮০ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞান পড়ার জন্য আঙ্কারার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি সামরিক শাসনের প্রতিবাদ করার জন্য একটি রাজনৈতিক ছাত্র আন্দোলনে যোগ দেন। এই সামরিক বিদ্রোহ ১৯৮০ সালের ১২ সেপ্টেম্বর সরকারকে উৎখাত করেছিল। অবৈধ সংগঠনে সদস্য হওয়ার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং বারো বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তিনি মামাক, উলুকানলার এবং হায়মানার মতো মত কারাগারগুলোর জনাকীর্ণ ওয়ার্ডে বন্দী ছিলেন।[২]
তার ২০০৬ সালের চলচ্চিত্র দ্য ইন্টারন্যাশনাল ২০০৭ সালের আন্তর্জাতিক আদানা গোল্ডেন বোল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা ছবির পুরস্কার পেয়েছিল এবং ২৯তম মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রবেশ করেছিল।[৬]