ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | সিলভেস্টার থিওফিলাস ক্লার্ক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ক্রাইস্টচার্চ, বার্বাডোস | ১১ ডিসেম্বর ১৯৫৪|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ৪ ডিসেম্বর ১৯৯৯ ক্রাইস্টচার্চ, বার্বাডোস | (বয়স ৪৪)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | সিলভার্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৬ ফুট ২ ইঞ্চি (১.৮৮ মিটার) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৬৫) | ৩১ মার্চ ১৯৭৮ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৬ জানুয়ারি ১৯৮২ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ২৭) | ১২ এপ্রিল ১৯৭৮ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২৭ জানুয়ারি ১৯৮২ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৮–১৯৯০ | নর্দার্ন ট্রান্সভাল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৭৯–১৯৮৮ | সারে | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৭–১৯৮৮ | অরেঞ্জ ফ্রি স্টেট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৩–১৯৮৬ | ট্রান্সভাল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৭৭–১৯৮২ | বার্বাডোস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৭ |
সিলভেস্টার থিওফিলাস ক্লার্ক (ইংরেজি: Sylvester Clarke; জন্ম: ১১ ডিসেম্বর, ১৯৫৪ - মৃত্যু: ৪ ডিসেম্বর, ১৯৯৯) বার্বাডোসের ক্রাইস্টচার্চে জন্মগ্রহণকারী ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৭৮ থেকে ১৯৮২ সময়কালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন। দলে তিনি মূলতঃ বোলার ছিলেন। ডানহাতে ফাস্ট বোলিংয়ের পাশাপাশি নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের পক্ষে ১১ টেস্ট ও ১০টি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নিয়েছেন ‘সিলভার্স’ ডাকনামে পরিচিত সিলভেস্টার ক্লার্ক।
৩১ মার্চ, ১৯৭৮ তারিখে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে। একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন। একদিনের আন্তর্জাতিকে তার অভিষেক হয় ১২ এপ্রিল, ১৯৭৮ তারিখে ও শেষ ওডিআই খেলেন ২৭ জুন, ১৯৮২ তারিখে। উভয়ক্ষেত্রেই প্রতিপক্ষ ছিল অস্ট্রেলিয়া দল। ৫৪ বছর বয়সে ৪ ডিসেম্বর, ১৯৯৯ তারিখে তার দেহাবসান ঘটে।
অ্যাশটন ও মারজোরি দম্পতির সন্তান ছিলেন সিলভেস্টার ক্লার্ক।[১] সেন্ট বার্থোলোমিউ বয়েজ স্কুলে অধ্যয়ন করেন। দীর্ঘদেহী, শক্তিশালী, গোলাকৃতি বক্ষ ও শক্তিধর মানব ক্লার্ক স্বভাবজাত ফাস্ট বোলার হিসেবে আবির্ভূত হন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণকালীন তার ওজন ছিল ১৫ স্টোন বা ২১০ পাউন্ড। কেন্টের ব্রিজটাউন ক্লাবের পক্ষে ক্রিকেট খেলতে শুরু করেন।
১৯ জানুয়ারি, ১৯৭৮ তারিখে কম্বাইন্ড আইল্যান্ডের বিপক্ষে বার্বাডোসের সদস্যরূপে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে সিলভেস্টার ক্লার্কের। ঐ মৌসুমে ২৫.১৮ গড়ে ২২ উইকেট দখল করেন তিনি। সেরা বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান ৬/৩৯। ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর বিপক্ষে অনুষ্ঠিত ঐ খেলায় তিনি হ্যাট্রিকও করেছিলেন।
১৯৮৮-৯০ সময়কালে নর্দার্ন ট্রান্সভাল, ১৯৭৯-৮৮ পর্যন্ত সারে, ১৯৮৭-৮৮ পর্যন্ত অরেঞ্জ ফ্রি স্টেট, ১৯৮৩-৮৬ সময়কালে ট্রান্সভাল ও ১৯৭৭-৮২ পর্যন্ত বার্বাডোসের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন তিনি।
ডানহাতি বোলার হিসেবে ভীতিপ্রদ বাউন্সার মারতেন। খুব দ্রুত ওয়েস্ট ইন্ডিজের অন্যতম সমীহ বোলারে পরিণত হন। ক্যারি প্যাকারের ব্যবস্থাপনায় বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অনেক খেলোয়াড়ের অংশগ্রহণের ফলে টেস্ট দলে খেলার সুযোগ পান তিনি। ৩১ মার্চ, ১৯৭৮ তারিখে গায়ানার জর্জটাউনের বোর্দা ক্রিকেট গ্রাউন্ডে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক হয়। অভিষেক খেলাতেই তিনি ৬/১৪১ লাভ করেন। কিন্তু, গোড়ালির আঘাতের কারণে সিরিজের বাদ-বাকী খেলাগুলোয় তাকে অনুপস্থিত থাকতে হয়েছিল।
এরপর ১৯৭৮-৭৯ মৌসুমে ভারতে সফরে আসেন। ৩৩.৮৫ গড়ে ২১ উইকেট লাভ করেন সিলভেস্টার ক্লার্ক। ব্যাঙ্গালোরের এম. চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে নিজস্ব সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ৫/১২৬ লাভ করেন।
১৯৮২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সাথে অস্ট্রেলিয়া গমন করেন। ফিল্ডিংয়ে দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনকারী জন ডাইসনের অপূর্ব ক্যাচ তালুবন্দী করার সাথে স্মরণীয় করে রেখেছেন নিজেকে। ৫ জানুয়ারি, ১৯৮২ তারিখে এসসিজিতে অনুষ্ঠিত ঐ খেলায় ‘শতাব্দীর সেরা ক্যাচ’ তালুবন্দী করেন জন ডাইসন। মাঠের শেষপ্রান্তে অবস্থান করে তার ক্যাচ মাথার ওপর দিয়ে ৪৫ ডিগ্রী কৌণিক উল্টো দৌড়ে এ সাফল্য পান।
১৯৮০-৮১ মৌসুমে পাকিস্তান সফরে যান। ১৭.২৮ গড়ে ১৪ উইকেট সংগ্রহ করলেও বিতর্কের জন্ম দেন। মুলতানে সিরিজের ৪র্থ টেস্ট চলাকালে বাউন্ডারি সীমানায় ফিল্ডিংরত অবস্থায় দর্শকদের কাছ থেকে কমলালেবু ও পাথর নিক্ষেপের মুখোমুখি হন।[২] ক্রুদ্ধান্বিত অবস্থায় তিনিও ইটের টুকরো দিয়ে দর্শকদেরকে আঘাত হানলে এ দর্শক আহত হন ও দ্রুত অস্ত্রোপাচারের প্রয়োজন পড়ে।[৩] দাঙ্গার উপক্রম হলে দলীয় সঙ্গী আলভিন কালীচরণ হাঁটু মুড়িয়ে দর্শকদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
এ ঘটনার পর দল নির্বাচকমণ্ডলী তাকে তিন খেলায় নিষেধাজ্ঞা প্রদান করে। মাইকেল হোল্ডিংকে পাশ কাটিয়ে ইয়ান বোথামের নেতৃত্বাধীন ইংরেজ দলের বিপক্ষে খেলার জন্য নির্বাচিত হলেও ক্লার্ককে দলের বাইরে রাখা হয়। নিষেধাজ্ঞা থেকে ফিরে আসলেও দল নির্বাচকমণ্ডলীর কাছ থেকে উপেক্ষিত হন। ইতোমধ্যেই জোয়েল গার্নার, মাইকেল হোল্ডিং, ম্যালকম মার্শাল ও কলিন ক্রফট সমৃদ্ধ শক্তিশালী বোলিং আক্রমণ নিয়ে গড়ে উঠা ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে প্রবেশে তাকে বেশ পরিশ্রম করতে হয়। এরপর জানুয়ারি, ১৯৮২ সালে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আর একটিমাত্র টেস্টে অংশ নেয়ার সুযোগ পান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নেয়ার ক্ষেত্র বেশ কম থাকায় ক্লার্ক ১৯৮৩ ও ১৯৮৪ সালে লরেন্স রো’র নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের পক্ষে স্বীকৃতিবিহীন টেস্ট খেলার জন্য নিষিদ্ধঘোষিত দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান। ফলশ্রুতিতে ক্লার্কসহ সফরকারী দলের অন্যান্য সদস্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে সকল স্তরের ক্রিকেটে নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েন।
দক্ষিণ আফ্রিকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাফল্যে প্রভূতঃ অবদানকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। টেস্ট সিরিজে ১৬.১৬ গড়ে ৩৭ উইকেট ও সীমিত ওভারের সিরিজে ১৮.৪৫ গড়ে ২০ উইকেট পেয়েছিলেন। তার এ সাফল্যে উজ্জ্বীবিত হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাদেশিক দল ট্রান্সভাল ক্লার্ককে ১৯৮৪-৮৫ মৌসুমে খেলার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়। ১২.৭২ গড়ে ৫৮ উইকেট নিয়ে কারি কাপে রেকর্ড গড়েন তিনি। ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলা চালিয়ে যান। এ সময়ে ট্রান্সভাল, নর্দার্ন ট্রান্সভাল ও অরেঞ্জ ফ্রি স্টেটের পক্ষে খেলেছেন সিলভেস্টার ক্লার্ক। দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়ে সর্বমোট ১৮৩টি উইকেট পান ১৭.৫৫ গড়ে। ১৯৮৪ ও ১৯৮৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকান বর্ষসেরা ক্রিকেটার হিসেবে নামাঙ্কিত হন।
১৯৭৯ সালে প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে সারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এরপর থেকে ক্লাবটির পক্ষে এক দশককাল খেলেন। কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে অন্যতম শীর্ষস্থানীয় উইকেট লাভকারী ছিলেন তিনি। ১৯৮০ সালে কাউন্টি ক্যাপ পান ও ১৯৮৭ সালে আর্থিক সুবিধা লাভের খেলায় অংশ নেন। ১৯৮৮ সালে সারের পক্ষে ৬৩ উইকেট নেন ১৪.৫০ গড়ে। এছাড়াও, ১৯৮১ সালে শক্তিশালী ও ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করে মাত্র ৬১ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন। ফলশ্রুতিতে ওয়াল্টার লরেন্স ট্রফি লাভ করেন। খেলাধূলার পাশাপাশি মদ্যপানও করতেন অত্যধিক।
সারে দলে অবস্থানকালে ক্লার্কের বোলিং ভঙ্গীমার বিষয়ে বেশকিছু সন্দেহ তৈরি হয়। বেশকিছু দল আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ করে। তবে, আম্পায়ার ডিকি বার্ড ক্লার্কের বোলিংয়ের ধরনের বিষয়ে নিবিড় পর্যবেক্ষণ করে সন্দেহজনক কোন কিছু দেখতে পাননি। এমনকি ক্লার্ককে কখনো থ্রোয়িংয়ের জন্য বলা হয়নি।
প্রচণ্ড ক্ষীপ্রময়তা ও অপ্রত্যাশিতভাবে বুক খোলা রেখে দ্রুতবেগে বোলিং করাই মূলতঃ এর কারণ ছিল। ফলে প্রতিপক্ষীয় ব্যাটসম্যানেরা সহজে তার মুখোমুখি হতে চাইতেন না ও ভয় পেতেন। টেস্ট বোলিংয়ে তেমন সফলতা পাননি এবং তার সময়কালে অন্যতম স্বতন্ত্রধর্মী বোলার হলেও সতীর্থ খেলোয়াড়দের কাছ থেকে ক্ষীপ্রময়তা ও ভীতিপ্রদ ফাস্ট বোলারের মর্যাদা পাননি। তার স্মরণীকায় দ্য গার্ডিয়ান উল্লেখ করে যে, ১৯৫০-এর দশকে জ্যামাইকার রয় গিলক্রিস্ট ও সতীর্থ বজন, ১৯৬০-এর দশকে চার্লি গ্রিফিথের মতো সিলভেস্টার ক্লার্কেরও কৌশলগত বোলিংয়ের চেয়ে শারীরিক গড়নই প্রধান অস্ত্র ছিল।[৪]
ভিভ রিচার্ডস একবার বলেছিলেন, কেবলমাত্র ক্লার্কের বিপক্ষেই তিনি স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যাটিং করতে পারেননি।[৫] ডেভিড গাওয়ার মন্তব্য করেন যে, তার দেখা ক্লার্কই দ্রুততম বোলার ছিলেন। ১৯৮০-এর মাঝামাঝি সময়ে গ্যারি সোবার্স লিখেছিলেন যে, ক্লার্ক খুবই দ্রুততম বোলার ছিলেন ও বিশ্ব ক্রিকেটে সর্বাধিক অপ্রতিদ্বন্দ্বী।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটের পরিসংখ্যানেও এর সত্যতা দেখা যায়। সারেতে নয় মৌসুম অবস্থান করে ১৮.৯৯ গড়ে ৫৯১ উইকেট পান। দক্ষিণ আফ্রিকার কারি কাপে ২০-এর কিছুটা বেশি গড়ে ১৯৩ উইকেট পেয়েছিলেন। সকল প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ১৯.৫২ গড়ে ৯৪২ উইকেট লাভসহ তিনটি হ্যাট্রিক করে সবিশেষ কৃতিত্ব দেখিয়েছেন যা অন্যান্য অনেক বোলারের মাঝে নেই।[৬]
১৯৯০ সালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে অবসর নেন সিলভেস্টার ক্লার্ক। তিনবার হ্যাট্রিকসহ ১৯.৫২ গড়ে ৯৪২ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। বার্বাডোসে ফিরে ক্লাব ক্রিকেটে খেলা চালিয়ে যেতে থাকেন ও সফরকারী জাতীয় দলের বিপক্ষে অনুশীলনী খেলায় অংশ নিতেন। কাঠমিস্ত্রির ভূমিকায় অবতীর্ণ হন তিনি।[৭]
ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন। নভেম্বর, ১৯৯৯ সালে ক্লার্ক অস্বস্তিতে ভোগেন ও ওজন হারাতে থাকেন। তবে, চিকিৎসকেরা কোন অসুখের সন্ধান পাননি। ৪ ডিসেম্বর তারিখে ক্লার্ক নিজ গৃহে পড়ে যান ও আকস্মিক হৃদযন্ত্রক্রীয়ায় আক্রান্ত হলে দেহাবসান ঘটে তার।[৮] ৪৫তম জন্মদিনের এক সপ্তাহ পূর্বে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। পেগি নাম্নী স্ত্রী, শাকিম নামীয় পুত্র এবং সশা, ডেসিরি, ডন ও শেলি নাম্নী চার কন্যা ছিল তার।