সিলুরিয়ান যুগ ৪৪.৩৪–৪১.৯২ কোটি বছর পূর্বে | |
গড় বায়ুমন্ডলীয় O ২ পরিমাণ |
প্রায় ১৪ আয়তন %[১] (বর্তমান মাত্রার ৭০ %) |
গড় বায়ুমন্ডলীয় CO ২ |
প্রায় ৪৫০০ পিপিএম[২] (প্রাক শিল্প স্তরের ১৬ গুণ) |
ভূপৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রা | প্রায় ১৭ °সে[৩] (বর্তমান তাপমাত্রার ৩ °সে উপরে) |
সমুদ্রপৃষ্ঠ (বর্তমান উচ্চতা থেকে যত উপরে) | গড়ে ১৮০ মিটার, কখনও কখনও হ্রাস পেত[৪] |
সিলুরিয়ান যুগের প্রধান ঘটনাবলী -৪৪.৪ — – -৪৪.২ — – -৪৪ — – -৪৩.৮ — – -৪৩.৬ — – -৪৩.৪ — – -৪৩.২ — – -৪৩ — – -৪২.৮ — – -৪২.৬ — – -৪২.৪ — – -৪২.২ — – -৪২ — – -৪১.৮ — সিলুরিয়ান যুগের প্রধান ঘটনাবলী। স্কেল:কোটি বছর আগে |
সিলুরিয়ান যুগ হল একটি ভূতাত্ত্বিক যুগ যা অর্ডোভিশিয়ান যুগের শেষ অর্থাৎ ৪৪.৩৪ কোটি বছর আগে থেকে ডেভোনিয়ান যুগের আরম্ভ অর্থাৎ ৪১.৯২ কোটি বছর আগে পর্যন্ত চলেছিল।[৭] অন্যান্য ভূতাত্ত্বিক যুগের মতই সিলুরিয়ান যুগেরও নির্ণায়ক পাথরের স্তরগুলো সুনির্দিষ্ট করা গেছে, কিন্তু তাদের বয়স নির্ণয়ের পদ্ধতি এখনও নির্ভুল নয়। ফলে প্রদত্ত হিসেবের সাথে যুগটির প্রকৃত সময়সীমার দুই দিকেই কয়েক লক্ষ বছর পর্যন্ত হেরফের হতে পারে। সিলুরিয়ান যুগের সূচনা ঘটে একটি ব্যাপক বিলুপ্তি ঘটনার মাধ্যমে, যাতে তৎকালীন সামুদ্রিক জীবকুলের ৬০% বিলুপ্ত হয়ে যায়। এই ঘটনাটিকে অর্ডোভিশিয়ান-সিলুরিয়ান বিলুপ্তি ঘটনা বলা হয়ে থাকে।
সিলুরিয়ান যুগে সংঘটিত গুরুত্বপূর্ণ বিবর্তনীয় অগ্রগতি হল অস্থিযুক্ত ও চোয়ালযুক্ত মাছের আবির্ভাব ও বহু প্রজাতিতে বিভক্ত হয়ে যাওয়া। এই যুগেই প্রথম ডাঙায় জীবনের আবির্ভাব হয় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শৈবাল ও মস জাতীয় উদ্ভিদের হাত ধরে, যারা নদনদী, হ্রদ ও সমুদ্রের উপকূলে জন্মাত। প্রথম স্থলচর প্রাণী হিসেবে কিছু সন্ধিপদীও সিলুরিয়ান যুগে ডাঙায় উঠে আসে। অবশ্য স্থলে প্রাণীদের বসতি বিস্তৃত হয় পরবর্তী যুগ ডেভোনিয়ানে।
সিলুরিয়ান পাআথরের স্তর প্রথম আবিষ্কারের কৃতিত্ব ব্রিটিশ প্রত্নতাত্ত্বিক রডারিক মার্চিসনের। তিনি ১৮৩০ এর দশকের প্রথম দিকে দক্ষিণ ওয়েল্সে জীবাশ্মযুক্ত পলিঘটিত পাথরের স্তর নিয়ে পরীক্ষাকালীন এই আবিষ্কার করেন। তিনি এই স্তরের নামকরণ অরেন এক প্রাচীন স্থানীয় উপজাতি সিলুরেসদের নামানুসারে। এই সিদ্ধান্তের পিছনে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিলেন তার বন্ধু অ্যাডাম সেজ্উইক, যিনি ইতোমধ্যে ওয়েল্স রাজ্যের লাতিন নাম "ক্যাম্ব্রিয়া" অনুসারে সিলুরিয়ানের পূর্ববর্তী একটি যুগের নামকরণ করেছিলেন ক্যাম্ব্রিয়ান। অতঃপর সিলুরিয়ান যুগের সাথে সিলুরেস উপজাতির কোনও গূঢ়তর সম্পর্ক নেই। ১৮৩৫ এ দুই বিজ্ঞানী একটি যুগ্ম গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন। এর শিরোনাম ছিল অন দ্য সিলুরিয়ান অ্যান্ড ক্যাম্ব্রিয়ান সিস্টেম্স, এক্সিবিটিং দ্য অর্ডার ইন হুইচ দ্য ওল্ডার সেডিমেন্টারি স্ট্রাটা সাকসিড ইচ আদার ইন ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েল্স। এই গবেষণাপত্রটিকে আধুনিক ভূতাত্ত্বিক সময়রেখার ধারণার জনক বলা যেতে পারে। প্রাথমিক পর্যায়ে সিলুরিয়ান যুগের স্তরের যা বর্ণনা দেওয়া হয়েছিল, সেই অনুযায়ী এগোতে গিয়ে শীঘ্রই সারা ইউরোপে প্রাপ্ত নানা সিলুরিয়ান পাথরের স্তর সেজ্উইকের "ক্যাম্ব্রিয়ান" স্তরের সঙ্গে সমাপতিত হতে দেখা যায়। ফলে দুই বন্ধুর মধ্যে মন কষাকষির সৃষ্টি হয় ও বন্ধুত্বের ইতি ঘটে। অবশেষে বিতর্কিত স্তরগুলোকে অর্ডোভিশিয়ান নামক একটি নতুন পর্যায়ের অন্তর্ভুক্ত করে চার্লস ল্যাপওয়ার্থ বিতর্কের সমাধান করেন। প্রথম দিকে সিলুরিয়ানের একটি বিকল্প নাম ছিল "গটল্যান্ডিয়ান", বাল্টিক উপকূলবর্তী গটল্যান্ড থেকে প্রাপ্ত স্তরের নামানুসারে।
ফরাসি ভূতাত্ত্বিক জোয়াকিম বাহন্দ্ মার্চিসনের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে "সিলুরিয়ান" শব্দটি পরবর্তী গবেষণার চেয়েও বেশি সময়গত বিস্তারের পাথরের স্তরের বর্ণনা দিতে ব্যবহার করেছেন। তিনি বোহেমিয়ার সিলুরিয়ান পাথরের স্তরগুলোকে আটটি পর্যায়ে ভাগ করেন। ১৮৫৪ তে এডওয়ার্ড ফোর্বস তার যুগ বিভাজন পদ্ধতিকে প্রশ্নের মুখে ফেলেন এবং পরবর্তী গবেষণা থেকে বাহন্দ্ প্রস্তাবিত শেষ সিলুরিয়ান স্তরগুলোকে ডেভোনিয়ান হিসেবে শনাক্ত করা গিয়েছে। স্তরগুলোর শ্রেণিবিভাগে এই সমস্ত মেরামতির পরেও বোহেমিয়া অঞ্চলটিকে আদিমতম জীবাশ্ম গবেষণার কাজে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা করে দেওয়ার জন্য বাহন্দের কৃতিত্ব অনস্বীকার্য।
অতিমহাদেশ গণ্ডোয়ানা নিরক্ষরেখা ও দক্ষিণ গোলার্ধের অধিকাংশ জুড়ে থাকায় ভূগোলকের উত্তরার্ধ জুড়ে ছিল এক বিশাল মহাসাগর।[৮] সিলুরিয়ান যুগের উঁচু সমুদ্রতল ও অপেক্ষাকৃত সমতল ভূ-প্রকৃতি (পাহাড় পর্বত খুব বেশি ছিল না) অনেকগুলো দ্বীপপুঞ্জের সৃষ্টিতে সহায়ক হয়েছিল, ফলে পরস্পরের থেকে বিচ্ছিন্ন অনেক বাস্তুতন্ত্র গড়ে উঠেছিল।[৮]
সিলুরিয়ান যুগে গণ্ডয়ানা অতিমহাদেশ ধীরে ধীরে দক্ষিণ মেরুর দিকে সরে যেতে থাকে, তবে এই সময়ে তৈরি হওয়া তুষারাচ্ছাদন অন্ত্য অর্ডোভিশিয়ানের হিমযুগের মত ব্যাপক হয়নি। আভালোনিয়া, বাল্টিকা ও লরেন্শিয়া মহাদেশগুলো নিরক্ষরেখার কাছে একত্র হয়ে নতুন অতিমহাদেশ ইউরামেরিকার সৃষ্টি করে।
আদিম ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার সংঘর্ষের ফলে ইউরোপের পশ্চিম উপকূল ও উত্তর আমেরিকার পূর্ব উপকূল বরাবর ক্যাম্ব্রিয়ান যুগ থেকে সঞ্চিত হতে থাকা পলিস্তর ভাঁজ খেয়ে একাধিক সমান্তরাল পর্বতমালার সৃষ্টি করে। এই ঘটনাকে ক্যালিডোনীয় গিরিজনি বলা হয়। এই গিরিজনিতে সৃষ্ট পর্বতগুলি নিউ ইয়র্ক রাজ্য থেকে সংলগ্ন ইউরোপ হয়ে গ্রীনল্যান্ডের মধ্য দিয়ে নরওয়ে পর্যন্ত প্রসারিত হয়। সিলুরিয়ানের শেষভাগে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা হঠাৎ কমে যায়, যার ফলে অধুনা যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান থেকে পশ্চিম ভার্জিনিয়া রাজ্য পর্যন্ত অঞ্চল থেকে জল সরে গিয়ে এভাপোরাইট স্তরের সঞ্চয় গড়ে ওঠে।
উত্তর গোলার্ধের অধিকাংশ জুড়ে ছিল মহা-মহাসাগর প্যান্থলসা। অন্যান্য ছোটখাটো সমুদ্রের মধ্যে ছিল টেথিস সাগরের দুই পর্যায়: প্যালিও-টেথিস ও প্রোটো-টেথিস, রাইক মহাসাগর, আয়াপেটাস মহাসাগর (আভালোনিয়া ও লরেন্শিয়ার মাঝে একটি সংকীর্ণ সমুদ্র) এবং সদ্যোজাত উরাল মহাসাগর।
পূর্ববর্তী অর্ডোভিশিয়ান যুগের নিরবচ্ছিন্ন তুষারযুগ ও পরবর্তী ডেভোনিয়ানের প্রবল উষ্ণতার তুলনায় সিলুরিয়ানে গড় উষ্ণতা ছিল অপক্ষাকৃত স্থিতিশীল ও ঈষদুষ্ণ।[৮] এই যুগের প্রথম অর্ধেক সময় জুড়ে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়তে থাকে; আবার পরবর্তী অর্ধেক সময় জুড়ে তা হ্রাস পায়। সিলুরিয়ানের উচ্চতম ও নিম্নতম সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতার পার্থক্য ছিল আনুমানিক ১৪০ মিটার।[৮]
এই যুগে পৃথিবী এক লম্বা গ্রীনহাউস পর্যায়ে প্রবেশ করে। বায়ুমণ্ডলে CO২ গ্যাসের ভাগ অত্যুচ্চ ৪৫০০ পিপিএমে পৌঁছে যায় এবং নিরক্ষীয় মহাদেশগুলোর অধিকাংশ জুড়ে বিস্তীর্ণ, অগভীর উষ্ণ সমুদ্র তৈরি হয়। আদি সিলুরিয়ান থেকেই যাবতীয় হিমবাহ দক্ষিণ মেরুর কাছাকাছি সরে যায় এবং মধ্য সিলুরিয়ানে তারা সাময়িকভাবে প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যায়। অমেরুদণ্ডী প্রাণিদের বহিঃকঙ্কাল সমৃদ্ধ কোকীনা নামক ভাঙা কাদাপাথরের স্তর থেকে বোঝা যায় তৎকালীন উষ্ণ সমুদ্রগুলো আধুনিক কালের মতই নৈমিত্তিক ঝড়-ঝঞ্ঝার ধাক্কা সামলাত।
সিলুরিয়ানে জলবায়ু ও কার্বন চক্র ছিল বেশ অস্থির, আর কার্বনের বিভিন্ন সমস্থানিকের ঘনত্ব এই যুগে অন্যান্য যুগের তুলনায় বেশি ছিল।[৮] ইরেভিকেন ঘটনা, মালডে ঘটনা ও লাউ ঘটনার প্রতিটিই এক একটি বিলুপ্তি ঘটনার পর সমস্থানিকের বর্ধিত ঘনত্ব ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতাবৃদ্ধি নির্দেশ করে।[৮][৯] ভূতাত্ত্বিক রেকর্ডে ঘটনাগুলি ভূরাসায়নিক ও জৈব — উভয় ক্ষেত্রেই স্বতন্ত্র স্বাক্ষর রেখে গেছে; অবাধে সন্তরণক্ষম প্রাণিরা এতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, এছাড়া বিপন্ন হয়েছিল ব্র্যাকিওপড, প্রবাল ও ট্রাইলোবাইটরা।
প্রথম সংবাহী উদ্ভিদ অর্থাৎ জল ও পুষ্টিদ্রব্য সারা দেহে পরিবহন করার কলাযুক্ত উদ্ভিদের জীবাশ্ম পাওয়া যায় মধ্য সিলুরিয়ান থেকে।[১০] এই গোত্রের প্রথম প্রতিনিধি হল কুক্সোনিয়া (উত্তর গোলার্ধ থেকে) এবং ব্যারাগোয়ানাথিয়া (অস্ট্রেলিয়া থেকে)। কুক্সোনিয়া সংবলিত অধিকাংশ স্তরই সামুদ্রিক। এদের পছন্দের বাসস্থান ছিল সম্ভবত নদী ও হ্রদের পাড় ঘেঁষে। ব্যারাগোয়ানাথিয়া গোত্রের বয়স আনুমানিক ৪২ কোটি বছর (লাড্লো উপযুগ থেকে)। এর শাখাযুক্ত কাণ্ড ও ছুঁচ সদৃশ ১০-২০ সেমি লম্বা পাতা ছিল। গঠনগত জটিলতার বিচারে সমসাময়িক উদ্ভিদদের মধ্যে ব্যারাগোয়ানাথিয়া ছিল খুবই উন্নত। এদের জীবাশ্ম পাওয়া গেছে শুধুমাত্র অস্ট্রেলিয়া থেকে।[১১] আংশিক রূপান্তরিত জীবাশ্ম থকে প্রাপ্ত ইওহোস্টিমেলা হেদানা আদি সিলুরিয়ান (ল্যান্ডোভেরি উপযুগ) থেকে প্রাপ্ত অন্যতম আদিম, সম্ভাব্য স্থলজ "উদ্ভিদ"।[১২][১৩] এর জীবাশ্মের রাসায়নিক গঠন শৈবালের চেয়ে সংবাহী উদ্ভিদের বেশি কাছাকাছি।[১২]
প্রথম অস্থিযুক্ত মাছ বা অস্টিক্থিস এই যুগে বিবর্তিত হয়। এদের প্রথম প্রতিনিধি ছিল সারা দেহ আঁশে ঢাকা অ্যাকান্থোডিয়ান-রা। মাছেরা ক্রমশ বিভিন্ন শাখায় ভাগ হয়ে যায় এবং প্রথম দুটো বা তিনটে ফুলকোর তরুণাস্থি বিবর্তিত হয়ে তাদের মুখে চোয়াল দেখা দেয়। সামুদ্রিক কাঁকড়াবিছে ইউরিপ্টেরিডরাও অনেক শাখায় ভাগ হয়ে গিয়েছিল; উত্তর আমেরিকার অগভীর সমুদ্রবাসী এদের কোনও কোনও প্রজাতি কয়েক মিটার অবধি লম্বা হত। সিলুরিয়ান যুগে আবির্ভূত আরও একটি প্রাণীগোষ্ঠী হল জোঁক। ব্র্যাকিওপোড, ব্রায়োজোয়া, কম্বোজ, ক্রিনয়েড ও ট্রাইলোবাইটরা ছিল প্রচুর ও বিবর্তনের বহু ধারায় বিভক্ত।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] প্রবাল ও স্ট্রোমাটোপোরয়েডদের মধ্যে মিথোজীবিতার উদ্ভব হয়েছিল।[১৪][১৫]
প্রবাল প্রাচীরের রেকর্ডে ধারাবাহিকতার অভাব আছে। কোনও কোনও পর্যায়ে জীবাশ্ম প্রমাণ প্রচুর, কিন্তু অন্যান্য পর্যায়ে তা বিরল।[৮]
স্থলে বসবাসের উপযুক্ত দেহ সংবলিত প্রাণীদের প্রথম আবির্ভাব হয় মধ্য সিলুরিয়ানে। এদের মধ্যে ছিল আদিম কেন্নো নিউমোডেসমাস।[১৬] অন্ত্য সিলুরিয়ান থেকে প্রাপ্ত কিছু নমুনা থেকে আন্দাজ করা হয় শিকারী ট্রিগোনোটার্বিড ও মিরিয়াপোডা গোত্রের সন্ধিপদীরা এই সময়ে বিবর্তিত হয়েছিল।[১৭] শিকারী অমেরুদণ্ডী প্রাণীদের উপস্থিতি প্রমাণ করে এই সময়ে ডাঙায় সরল খাদ্যশৃঙ্খল বিশিষ্ট বাস্তুতন্ত্র তৈরি হয়ে গিয়েছিল। আদি ডেভোনিয়ানের জীবাশ্মের ভিত্তিতে অ্যান্ড্রু জেরাম প্রমুখ ১৯৯০ এ অনুমান করেন[১৮] সমসাময়িক বাস্তুতন্ত্র ছিল একনও অনাবিষ্কৃত কর্কর ভক্ষক ও প্ল্যাঙ্কটন জাতীয় অণুজীবের উপর নির্ভরশীল প্রাথমিক খাদক যুক্ত।[১৯]
|1=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; Selden&Read
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নিপ্যালিওজোয়িক মহাযুগ | |||||
---|---|---|---|---|---|
ক্যাম্ব্রিয়ান | অর্ডোভিশিয়ান | সিলুরিয়ান | ডেভোনিয়ান | কার্বনিফেরাস | পার্মিয়ান |