সিসোয়াথ মনিপং | |
---|---|
কম্বোডিয়ার দশম প্রধানমন্ত্রী | |
মেয়াদ কাল | ৩০ মে ১৯৫০ - ৩ মার্চ ১৯৫১ |
পূর্বসূরি | নরোদম সিহানুক |
উত্তরসূরি | ওম ছেয়াং সান |
রাজা | নরোদম সিহানুক |
ফ্রান্সে কম্বোডীয় রাষ্ট্রদূত | |
মেয়াদ কাল | ৩ মার্চ ১৯৫৫ - ৩১ আগস্ট ১৯৫৬ |
জন্ম | ২৫ আগস্ট ১৯১২ নমপেন, কম্বোডিয়া, ফরাসি ইন্দোচীন |
মৃত্যু | ৩১ আগস্ট ১৯৫৬ প্যারিস, ফ্রান্স | (বয়স ৪৪)
সমাধি | ওডং, কম্বোডিয়া |
বংশধর | ১৩ সন্তান |
রাজবংশ | হাউজ অব সিসোয়াথ |
পিতা | সিসোয়াথ মনিভং |
মাতা | নরোদম কানভিম্যান নরলিয়াক তেভি |
সামরিক কর্মজীবন | |
আনুগত্য | তৃতীয় ফরাসি প্রজাতন্ত্র মুক্ত ফরাসি বাহিনী |
সেবা/ | ফরাসি বিদেশী সেনাবাহিনী ফরাসি বিমানবাহিনী[১] |
কার্যকাল | ১৯৩৯–১৯৪৫ |
যুদ্ধ/সংগ্রাম | দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ[১] |
সিসোয়াথ মনিপং (খেমার: ស៊ីសុវត្ថិ មុនី ពង្ស; ২৫ আগস্ট ১৯১২ - ৩১ আগস্ট ১৯৫৬) কম্বোডিয়ার রাজা সিসোয়াথ মনিভং এবং রানী নরোদম কানভিম্যান নরলিয়াক তেভির দ্বিতীয় পুত্র ছিলেন।[২] তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এবং তার পরে কম্বোডিয়ান রাজনীতিতে অংশ যোগদান করেন।
ফ্রান্সে পাঠানোর আগে তিনি কম্বোডিয়ায় পড়াশোনা শুরু করেছিলেন, ১৯২৭ সাল থেকে ইন্দোচীনের গভর্নর ফ্রাঙ্কুইস মরিয়াস বাউডোইনের নিয়ন্ত্রণে প্রথমে গ্র্যাসে এবং পরে নিসে পড়াশোনা করেন। ১৯৩০ সালে কম্বোডিয়ায় ফিরে তিনি পুরো এক বছর নমপেনের ভ্যাত বতুম ভাদ্দে বিহারে কাটিয়েছিলেন।
পরের বছর রাজপুত্র ফ্রান্সে ফিরে যান,[৩] অবশেষে তিনি সেখানে মর্যাদাপূর্ণ ইকোল স্পেসিয়ালে মিলিটারির দে সেন্ট-সাইর-কোতকুইদেন একাডেমিতে ভর্তি হন। ১৯৩৯ সালে তিনি ফরাসি বিমানবাহিনীতে যোগ দেন[৪]। তিনি ১৯৪০ সালের জুন পর্যন্ত সামরিক অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৪১ সালের ২৩ এপ্রিল তার পিতার মৃত্যুর পর ২ মে তার ভ্রাতুষ্পুত্র রাজা নরোদম সিহানুক তাকে "প্রেয়াহ অ্যাং ক্রোম লুং" মনোনীত করেন।[৫]
১৯৪১ সাল থেকে যুবরাজ সিসোয়াথ মনিপং কম্বোডীয় রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণ করেন। তিনি স্বাস্থ্য, ক্রীড়া ও অর্থনীতির রাজকীয় প্রতিনিধি হিসেবে নিযুক্ত হন[৬] এবং ১৯৪৬ সালে তার বড় ভাই যুবরাজ সামদেক ক্রোম প্রেয়াহ সিসোয়াথ মনিরেথের নেতৃত্বাধীন সরকারে[৭] তাকে জাতীয় শিক্ষা মন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া হয়। ১৯৪৯ সালের মে মাসে তাকে রাজকীয় প্রাসাদে সার্ভিসের মহাপরিচালক করা হয় এবং ১৯৪৯ সালের নভেম্বরে ইউনিয়ন ফ্রান্সেসের অংশ হিসাবে ফ্রান্স ও কম্বোডিয়ার মধ্যকার প্রথম চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য প্যারিসে কম্বোডিয়ার প্রতিনিধিত্ব করেন।[৮] অবশেষে ১৯৫০ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন (১ জুন ১৯৫০ - ৩ মার্চ ১৯৫১)।
১৯৫৫ সালে নরোদম সিহানুকের পদত্যাগের পরে রাজা নরোদম সুরামারিত এবং মহামান্যা সমাদেক প্রেয়াহ মহাক্ষত্রিয়ানি রানী সিসোয়াথ কোসামাক নেয়ারিরাথ সেরি ভত্থানার (তাঁর বড় বোন) মনোনীত হলে যুবরাজ সিসোয়াথ মনিপং প্যারিসে কম্বোডিয়ার রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হন,[৯] এবং সেখানেই তিনি ১৯৫৬ সালের ৩১ আগস্ট হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। খেমার রাজতন্ত্রের প্রাচীন ঐতিহ্য অনুসরণ করে পরের বছর নমপেনে তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়। তার দেহভস্ম তার বড় ছেলে যুবরাজ সিসোয়াথ সামিল মনিপং কর্তৃক ওদংয়ের নম প্রেয়াহ রিচ ত্রোয়াপের[১০] পবিত্র পাহাড়ে রাজা সিসোয়াথ মনিভংয়ের স্তূপে স্থাপন করেন।
যুবরাজ সিসোয়াথ মনিপংয়ের ৫ জন স্ত্রী এবং ১৩ জন সন্তান ছিল:[১১]