ব্যক্তিগত তথ্য | |
---|---|
জাতীয়তা | ভারতীয় |
জন্ম | সনিপাত, হরিয়ানা, ভারত | ২৭ জুলাই ১৯৮৩
উচ্চতা | ১.৮২ মি (৬ ফু ০ ইঞ্চি)[১] |
ওজন | ৯৪ কেজি (২০৭ পা) (২০১৪)[১] |
ক্রীড়া | |
দেশ | ভারত |
ক্রীড়া | অ্যাথলেটিক্স |
বিভাগ | ডিসকাস |
6 October 2014 তারিখে হালনাগাদকৃত |
সীমা আঁতিল (জন্ম ২৭ জুলাই ১৯৮৩) হলেন একজন ভারতীয় প্রমীলা ক্রীড়াবিদ। তিনি ডিসকাস নিক্ষেপ বিষয়ে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন।
হরিয়াণার সোনিপাত জেলায় খেওদা গ্রামে সীমা আঁতিলের জন্ম হয়।[২] ১১ বছর বয়সে হার্ডলার এবং লং জাম্পার হিসাবে তার ক্রীড়াজীবন শুরু হয়, কিন্তু পরবর্তীকালে তিনি ডিসকাস থ্রোর প্রতি আকৃষ্ট হন।[৩] ২০০০ সালে স্যান্টিয়াগো বিশ্ব জুনিয়ার চ্যাম্পিয়ানশিপে স্বর্ণপদক লাভ করার পর সীমা মিলেনিয়াম চাইল্ড (সহস্রাব্দের শিশু) এই নামে বিখ্যাত হন।[৪] সোনিপতের সককারী কলেজে তিনি পড়াশোনা করেন।
২০০০ সালের বিশ্ব জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপে সীমা স্বর্ণপদক জেতেন, কিন্তু সিউডোএফিড্রিন ড্রাগ নেওয়ার কারণে ডোপ টেস্টে তার পজিটিভ নমুনা পাওয়া যায় এবং তার স্বর্ণপদক কেড়ে নেওয়া হয়। সেই সময় এই জাতীয় অপরাধের ক্ষেত্রে চালু আইন অনুসারে, জাতীয় ফেডারেশন তার পদক কেড়ে নেওয়ার পাশাপাশি তার উপর জন সতর্কীকরন জারি করে।[৫] ২০০২ এ পরবর্তী বিশ্ব জুনিয়ার চ্যাম্পিয়ানশিপে তিনি ব্রোঞ্জ পদক লাভ করেন।
২০০৬ কমনওয়েলথ গেমসে সীমা রৌপ্যপদক জেতেন এবং ২৬শে জুন ২০০৬ এ হরিয়ানা সরকার তাকে ভীম পুরস্কার দিয়ে সন্মানিত করেন। ২০০৬ এশিয়ান গেমসে তার অনুপস্থিতি নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে প্রচুর কথা উঠে আসে।[৬] এশিয়ান গেমস শুরুর আগেই ডোপ টেস্টে তার স্টেরয়েড (স্ট্যানোজোলোল) রিপোর্ট পজিটিভ হয়। যদিও জাতীয় ফেডারেশন তাকে কলঙ্ক মুক্ত ঘোষণা করে গেমসে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়। কিন্তু কোনো কারণে তিনি দল থেকে সরে যান এবং গেমস থেকে দূরে থাকেন।[৭] ২০১০ কমনওয়েলথ গেমসে তিনি ব্রোঞ্জ পদক লাভ করেন। ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকে ব্যক্তিগত ইভেন্টে তিনি ত্রয়োদশ স্থান অর্জন করেন। ২০১৪ সালে কমনওয়েলথ গেমসে রৌপ্য এবং এশিয়ান গেমসে তিনি স্বর্ণ পদক জেতেন।[৮]
সীমা আঁতিল তার প্রশিক্ষক ও প্রাক্তন ডিসকাস থ্রোয়ার অংকুশ পুনিয়াকে বিবাহ করেন। অঙ্কুশ এথেন্সে ২০০৪ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন।[৯]
বছর | প্রতিযোগিতা | ঘটনাস্থল | স্থান | ঘটনা | নোট |
---|---|---|---|---|---|
Representing ভারত | |||||
২০০২ | বিশ্ব জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপ | সান্তিয়াগো, চিলি | তৃতীয় | মহিলাদের ডিস্ক নিক্ষেপ | ৫৫.৮৩ মিটার |
২০০৪ | ২০০৪ এথেন্স অলিম্পিক | এথেন্স,গ্রীস | চুতর্দশ | মহিলাদের ডিস্ক নিক্ষেপ | ৬০.৬৪ মিটার |
২০০৬ | ২০০৬ কমনওয়েলথ গেমস]] | মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া | দ্বিতীয় | মহিলাদের ডিস্ক নিক্ষেপ | ৬০.৫৬ মিটার |
২০১০ | ২০১০ কমনওয়েলথ গেমস | দিল্লি, ভারত | তৃতীয় | মহিলাদের ডিস্ক নিক্ষেপ | ৫৮.৪৬ মিটার |
২০১২ | ২০১২ লন্ডন অলিম্পিক | লন্ডন,যুক্তরাজ্য | ত্রয়োদশ | মহিলাদের ডিস্ক নিক্ষেপ | ৬১.৯১ মিটার |
২০১৪ | ২০১৪ কমনওয়েলথ গেমস | গ্লাসগো, স্কটল্যান্ড | দ্বিতীয় | মহিলাদের ডিস্ক নিক্ষেপ | ৫৮.৪৪ মিটার |
২০১৪ এশিয়ান গেমস | ইঞ্চেয়ন, দক্ষিণ কোরিয়া | প্রথম | মহিলাদের ডিস্ক নিক্ষেপ | ৬১.০৩ মিটার | |
২০১৬ | ২০১৬ রিও অলিম্পিক | রিও ডি জেনেইরো,ব্রাজিল | ২০তম | মহিলাদের ডিস্ক নিক্ষেপ | ৫৭.৫৮ মিটার |
২০১৮ | ২০১৮ কমনওয়েলথ গেমস | গোল্ড কোস্ট, অস্ট্রেলিয়া | দ্বিতীয় | মহিলাদের ডিস্ক নিক্ষেপ | ৬০.৪১ মিটার |