গণিতে সীমাতিক্রমী সংখ্যা বলতে এমন সব সংখ্যাকে বোঝায়, যেগুলি এই অর্থে "অসীম" যে এগুলি সমস্ত সসীম সংখ্যা অপেক্ষা বৃহত্তর, কিন্তু একই সাথে এগুলির পরম অসীম হওয়া আবশ্যক নয়। সীমাতিক্রমী সংখ্যার একটি উদাহরণ হল সীমাতিক্রমী অঙ্কবাচক সংখ্যা যেগুলি হল অসীম সেটের আকার পরিমাপ করার জন্য ব্যবহৃত অঙ্কবাচক সংখ্যা। আরেকটি উদাহরণ হল সীমাতিক্রমী সংখ্যাবাচক সংখ্যা, যেগুলি হল অসীম সেটের ক্রমায়ন প্রদান করার জন্য ব্যবহৃত ক্রমবাচক সংখ্যা।[১][২][৩] জার্মান গণিতবিদ গেয়র্গ কান্টর ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে সীমাতিক্রমী পরিভাষাটি উদ্ভাবন করেন।[৪] তিনি সসীম নয় এমন কিছু গাণিতিক ধারণার সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে এবং একই সাথে "অসীম" পরিভাষাটির ভেতরে নিহিত কিছু অর্থ পরিহারের উদ্দেশ্যে "সীমাতিক্রমী" পরিভাষাটি ব্যবহার করেছিলেন। তবে সমসাময়িক লেখকেরা কান্টরের মতো এই দ্বিধাতে ভোগেন না; বর্তমানে সীমাতিক্রমী অঙ্কবাচক সংখ্যা ও ক্রমবাচক সংখ্যা উভয়কেই "অসীম" হিসেবে উল্লেখ করার প্রচলন হয়েছে। যাই হোক, "সীমাতিক্রমী" পরিভাষাটি এর পরেও আজও প্রচলিত।