সীমানা হল কোনো স্থানের ভৌগোলিক সীমানা, যা হয় মহাসাগর বা এধরণের ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য দ্বারা নির্ধারিত, বা সরকার, সার্বভৌম রাষ্ট্র, সংঘবদ্ধ রাজ্য, প্রশাসনিক বিভাগ এবং অন্যান্য শাসনতন্ত্রিক সত্ত্বার মতো রাজনৈতিক বিষয়াবলী দ্বারা আরোপিত। সীমানাগুলি যুদ্ধ, উপনিবেশীকরণ বা অঞ্চলগুলিতে বসবাসকারী রাজনৈতিক সত্ত্বাদের মধ্যে সম্পাদিত সরল প্রতীকী চুক্তির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়; এই চুক্তিগুলির সৃষ্টিকে বলা হয় সীমানার সীমানির্দেশ।
কিছু সীমানা — যেমন: বেশিরভাগ রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ প্রশাসনিক সীমানা, বা, সেনজেন অঞ্চলের মধ্যে আন্তঃরাষ্ট্র সীমানা উম্মুক্ত এবং সম্পূর্ণরূপে প্রহরা-বিহীন। অধিকাংশ বাহ্যিক সীমানার আংশিক বা সম্পূর্ণ অংশই নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে এবং আইনীভাবে কেবল নির্ধারিত সীমান্ত চৌকিগুলি দিয়ে পার হওয়া যায় ও সীমান্ত অঞ্চলগুলিও নিয়ন্ত্রণ করা হতে পারে।
এমনকি বাফার এলাকা স্থাপনকেও সীমানা উৎসাহিত করতে পারে। বিদ্যায়তনিক কএত্রে সীমানা এবং সীমান্তের মধ্যে একটি পার্থক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যা পরবর্তীতে রাষ্ট্রীয় সীমানার চেয়েও মানসিক অবস্থাকে অধিক নির্দেশ করে থাকে।[১]
মানবিক সংস্থার দ্বারা বিশ্বের উপর রাজনৈতিক সীমানা আরোপ করা হয়।[২] এর অর্থ হলো, যদি কোন রাজনৈতিক সীমানা কোনো নদী বা পর্বতমালার দ্বারা গঠিত হয়, তবুও এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে রাজনৈতিক সীমানা হিসাবে সংজ্ঞায়িত হবে না, এমনকি, এটি অতিক্রম করা দুরুহ হলেও।
পৃথিবীর স্পষ্টলক্ষিত প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যগুলি দ্বারা গঠিত কি-না - এর ওপর নির্ভর করে প্রায়শই রাজনৈতিক সীমানা শ্রেণীবদ্ধ করা হয়।
ভৌগোলিক বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টিকারী বৈশিষ্ট্য দ্বারা তৈরি সীমানা এর অন্তর্ভুক্ত।