সু-৩০ | |
---|---|
রাশান বিমান বাহিনীতে একটি সু-৩০এসএম | |
ভূমিকা | মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান[১] |
নকশা প্রণয়নকারী দল | সুখোই |
বিল্ডার | কমসোমলস্ক-অন-আমুর এয়ারক্রাফট প্লান্ট ইরকুট করপোরেশন |
প্রথম উড্ডয়ন | ৩১ ডিসেম্বর ১৯৮৯ |
প্রবর্তন | ১৯৯৬ |
অবস্থা | কর্মরত |
মুখ্য ব্যবহারকারী | রাশান বিমান বাহিনী আলজেরীয় বিমান বাহিনী আরমেনীয় বিমান বাহিনী ভিয়েতনাম প্রজাতন্ত্রের বিমান বাহিনী |
নির্মিত হচ্ছে | ১৯৯২–বর্তমান |
নির্মিত সংখ্যা | ৬৩০+[২][৩][৪][৫][৬] |
ইউনিট খরচ | সু-৩০এমকে২: ২০১২ সালে ইউএস $৩৭.৫ মিলিয়ন[৫][৬][৭] |
যা হতে উদ্ভূত | সুখোই সু-২৭ |
রূপভেদ | সুখোই সু-৩০এমকেআই সুখোই সু-৩০এমকেকে সুখোই সু-৩০এমকেএম |
সুখোই সু-৩০ (রুশ: Сухой Су-30; ন্যাটোর প্রতিবেদনে নামঃ ফ্লাঙ্কার-সি) রাশিয়ার সুখোই এভিয়েশন কর্পোরেশন কর্তৃক সোভিয়েত ইউনিয়নে উন্নয়নকৃত একটি দ্বি-ইঞ্জিন, দুই আসনবিশিষ্ট সুপারম্যানুভেরেবল যুদ্ধ বিমান। এটি সকল আবহাওয়ার জন্য, আকাশ থেকে আকাশ এবং আকাশ থেকে ভূমিতে দূরবর্তী মিশনের জন্য একটি মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান।
সুখোই সু-২৭ পরিবারের অভ্যন্তরীণ উন্নয়ন প্রকল্প হিসেবে সুখোই-৩০ এর যাত্রা শুরু হয়। এর নকশা পরিকল্পনা সংস্কার করা হয় এবং এ বিমানের নাম ১৯৯৬ সালে রাশিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দ্বারা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়। ফ্লাঙ্কার পরিবারের মধ্যে সু-২৭, সু-৩০, সু-৩৩, সু-৩৪ এবং সু-৩৫ কে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সীমিত বা ধারাবাহিক উৎপাদনের আদেশ দিয়েছে। সু-৩০ এর দুটি স্বতন্ত্র সংস্করণ শাখা রয়েছে, যা দুটি পরষ্পর প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থা দ্বারা নির্মিত: কমসোমলস্ক-অন-আমুর এয়ারক্রাফট প্লান্ট (KnAAPO) এবং ইরকুট কর্পোরেশন, উভয়ই পরবর্তীতে সুখোই গ্রুপের অধীনে আসে আসে।
KnAAPO সু-৩০এমকেকে এবং সু-৩০এমকে উৎপাদন করে, যা চীন, এবং পরে ইন্দোনেশিয়া, উগান্ডা, ভেনেজুয়েলা এবং ভিয়েতনামের জন্য ডিজাইন এবং বিক্রি করা হয়। সু-৩৫ উন্নয়নের প্রাথমিক পর্যায়ে কেএনএএপিও'র সম্পৃক্ততার কারণে, এগুলো মূলত ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সু-৩৫ এর দুই আসনের সংস্করণ। চীনারা একটি পুরানো কিন্তু হালকা রাডার বেছে নিয়েছে যার ফলে বর্ধিত ওজনের কারণে ক্যানার্ড (মূল ডানার সামনে ছোট ডানা) বাদ দেয়া হতে পারে। এটি একটি যুদ্ধ বিমান যার আধিপত্য এবং আক্রমণ ক্ষমতা উভয়, সাধারণত মার্কিন এফ-১৫ই স্ট্রাইক ঈগলের অনুরূপ।[৮]
ইরকুট ঐতিহ্যগতভাবে সোভিয়েতকে বিমান প্রতিরক্ষা সেবা প্রদান করেন এবং ইরকুটকে ফ্লাঙ্কার উন্নয়নের শুরুর বছরগুলোতে, সু-৩০ এর দুই আসন বিশিষ্ট প্রশিক্ষক সংস্করণ সু-২৭ইউবি উৎপাদনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। যখন ভারত সু-৩০ নিয়ে আগ্রহ দেখায়, তখন ইরকুট মাল্টিরোল সু-৩০এমকেআই নেয়ার প্রস্তাব করে, যেটি সু-২৭ইউবি এর পরিবর্তিত সংস্করণ। স্থল-আক্রমণ ক্ষমতার পাশাপাশি, এই সিরিজে আকাশেও শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের জন্য বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য যুক্ত করা হয়েছে। যেমন- ক্যানার্ড, থ্রাস্ট-ভেক্টরিং, এবং একটি দূরপাল্লার ফেজ-অ্যারে রাডার ইত্যাদি। এর ডেরিভেটিভের মধ্যে রয়েছে যথাক্রমে সু-৩০এমকেএম, এমকেএ এবং মালয়েশিয়া, আলজেরিয়া এবং রাশিয়ার জন্য এসএম। রাশিয়ান বিমান বাহিনী বেশ কয়েকটি সু-৩০ পরিচালনা করে এবং সু-৩০এসএম ভ্যারিয়েন্টের অর্ডার দিয়েছে।
যদিও মূল সু-২৭ এর পাল্লা ভাল ছিল, তবুও সোভিয়েত বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনীর জন্য এই পাল্লা বা পরিসীমা যথেষ্ট ছিল না। সোভিয়েত ইউনিয়নের বিশাল বিস্তৃতি বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনীর কভার করা প্রয়োজন ছিল। তাই, ১৯৮৬ সালে সু-২৭পিইউ এর উন্নয়ন শুরু করা হয়। সু-২৭পিইউ, সু-২৭ এর একটি উন্নত ক্ষমতার সংস্করণ, যা একটি দূরপাল্লার ইন্টারসেপ্টর বা বায়ুবাহিত কমান্ড পোস্ট হিসেবে কাজ করতে সক্ষম।[৯]
দুই আসনের সু-২৭ইউবি যুদ্ধ প্রশিক্ষক কে সু-২৭পিইউ এর ভিত্তি হিসেবে নির্বাচিত করা হয়, কারণ এটি একক আসন সু-২৭ এর দক্ষতা প্রদর্শন করত এবং যার মধ্যে দুজন ক্রু সদস্যের বসার আসন ছিল। একজন "প্রুফ-অফ-কনসেপ্ট" প্রদর্শক ৬ জুন ১৯৮৭ উড্ডয়ন করে, এবং এই সাফল্যের ফলে দুটি সু-২৭পিইউ প্রোটোটাইপের উন্নয়ন কাজ শুরু হয়। প্রথম সু-২৭পিইউ ৩১ ডিসেম্বর ১৯৮৯ সালে ইরকুটস্কে উড্ডয়ন করে এবং তিনটি প্রাক-উৎপাদন মডেলের মধ্যে প্রথমটি ১৪ এপ্রিল ১৯৯২ সালে উড্ডয়ন করে।[১০]
সু-৩০ একটি মাল্টিরোল ফাইটার। এর ককপিট দুই আসন বিশিষ্ট এবং এর ক্যানোপির পিছনে একটি এয়ারব্রেক আছে।
এর সমন্বিত এরোডাইনামিক কনফিগারেশন, থ্রাস্ট ভেক্টরিং নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতার পাশাপাশি উচ্চ ম্যানুভারবিলিটি এবং অনন্য উউড্ডয়ন ও অবতরণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি একটি ডিজিটাল ফ্লাই-বাই-ওয়্যার সিস্টেম দ্বারা সজ্জিত। সু-৩০ কিছু অত্যন্ত উন্নত কিছু রণকৌশল প্রদর্শন করতে সক্ষম, যার মদগ্যে আছে পুগাচেভ'স কোবরা এবং টেইল স্লাইড। এই রণকৌশল হঠাৎ বিমানের গতি হ্রাস করে দেয়, যার ফলে একে অনুসরণকারী যুদ্ধ দ্রুত সামনে এগিয়ে যায়, সেই সাথে যেখানে সিগন্যাল রাডারে নিবন্ধন করে, সেখানে বিমানের আপেক্ষিক গতি সীমার নিচে চলে যাওয়ার কারণে ডপলার রাডার-লক ভেঙ্গে ফেলে।[১১]
বিমানের পাওয়ার প্ল্যান্টে দুটি স্যাটার্ন এএল-৩১এফ আফটারবার্নিং লো-বাইপাস টার্বোফ্যান ইঞ্জিন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। দুটি এএল-৩১এফ, প্রতিটি ১২৩ কিN (২৮,০০০ পা-বল) পূর্ণ আফটারবার্নিং থ্রাস্ট, লেভেল ফ্লাইটে ম্যাক ২ পর্যায়ের গতি নিশ্চিত করে। এর গতি নিম্নউচ্চতায় ১,৩৫০ কিমি/ঘণ্টা, এবং আরোহণ হার ২৩০ মিটার/সে।
৫,২৭০ কেজি স্বাভাবিক জ্বালানীর মজুদ নিয়ে, সু-৩০এমকে ৩০০০ কিলোমিটার পাল্লায় ৪.৫ ঘণ্টা যুদ্ধ করতে সক্ষম। একটি এরিয়াল রিফুয়েলিং সিস্টেম ক্রুজ উচ্চতায় ৫,২০০ কিলোমিটার (৩,২০০ মাইল) পাল্লায় ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত উড্ডয়ন সময়কাল বৃদ্ধি করতে পারে।
এই বিমানটির টেরাইন ফলোয়িং রাডার মোডে কম উচ্চতার উড্ডয়ন সহ উড্ডয়নের যে কোনো পর্যায়ে অটোপাইলট সক্ষমতার বৈশিষ্ট্য আছে। এটি ভূমি বা সমুদ্রপৃষ্ঠের লক্ষ্যের বিরুদ্ধে এককভাবে বা দলগতভাবে যুদ্ধ করতে পারে। স্বয়ংক্রিয় নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিতে এটি নেভিগেশন পদ্ধতির সাথে আন্তঃসংযুক্ত থাকে যা স্বয়ংক্রিয় মোডে বিমানের গমনপথ, লক্ষ্যের প্রতি অভিগমন, বিমানঘাটিতে অবতরণ ও অবতরণ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করে।
KnAAPO,[৩২] সুখোই,[৩৩] গরডন অ্যান্ড ড্যাভিডসন,[৩৪] deagel.com,[৩৫] airforce-technology.com[৩৬] থেকে তথ্য
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
Performance
Avionics
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; 16 on order
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; Angola
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; Belarus
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; production complete
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; Indonesia
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; Kazakhstan
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; PLAAF
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; Flanker by name
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; Su-30SM2
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; Uganda
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; Vietnam
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি