সুজাতা মোহন | |
---|---|
സുജാത മോഹൻ | |
জন্ম | সুজাতা |
দাম্পত্য সঙ্গী | কৃষ্ণ মোহন (বি. ১৯৮১) |
সন্তান | শ্বেতা মোহন |
আত্মীয় | রাধিকা তিলক জি. বেণুগোপাল |
সঙ্গীত কর্মজীবন | |
ধরন | নেপথ্য সঙ্গীত |
পেশা | নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী |
বাদ্যযন্ত্র | কণ্ঠ |
কার্যকাল | ১৯৭৪–বর্তমান |
সুজাতা মোহন (মালয়ালম: സുജാത മോഹൻ) হলেন একজন ভারতীয় নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী। তিনি মালয়ালম ও তামিল চলচ্চিত্রে গান গেয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। এছাড়া তিনি তেলুগু, কন্নড় ও হিন্দি চলচ্চিত্রে গান গেয়ে থাকেন। তিনি তিনবার কেরল রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার ও তিনবার তামিলনাড়ু রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন।
তিনি সঙ্গীত রিয়েলিটি অনুষ্ঠান সুপার ফোর এবং সা রে গা মা পা কেরলম-এর বিচারকের দায়িত্ব পালন করেছেন।[১]
সুজাতা কেরলের তিরুবনন্তপুরম শহরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ভারতের স্বাধীনতা-উত্তর তৎকালীন ত্রিবাঙ্কুর-কোচিন রাজ্যের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী পারাভুর টি.কে. নারায়ণ পিল্লাইয়ের নাতনী। সঙ্গীতশিল্পী রাধিকা তিলক ও জি. বেণুগোপাল তাঁর আত্মীয়।
তিনি ১৯৮১ সালের ৯ই মে ডাক্তার কৃষ্ণ মোহনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।[২] তাদের একমাত্র কন্যা শ্বেতা মোহন একজন সঙ্গীতশিল্পী।[৩]
সুজাতা ১৯৭০-এর দশকে কে জে যেসুদাসের সাথে বিভিন্ন মঞ্চ অনুষ্ঠানে গান গেয়ে খ্যাতি অর্জন করেন। ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ার সময় তিনি তাঁর প্রথম গান "কান্নেজুতি পট্টুতট্টু"-এর রেকর্ড করেন। এম. কে. অর্জুননের সুরায়োজনে গানটি ১৯৭৫ সালের মালয়ালম চলচ্চিত্র টুরিস্ট বাংলো-এর জন্য রেকর্ড করা হয়েছিল। তিনি শ্যামের সুরে কামম ক্রোধম মোহম এবং সলিল চৌধুরীর সুরে অপরাধী চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দেন। এই সময়ে তিনি সুরকার এম. জি. রাধাকৃষ্ণনের সুরে চলচ্চিত্রের বাইরে কয়েকটি গান রেকর্ড করেন, তন্মধ্যে "ওডাক্কুজল বিলি" গানটি হিট তকমা লাভ করে।
তামিল ভাষার চলচ্চিত্রে তাঁর অভিষেক ঘটে কবিকুয়িল (১৯৭৭) চলচ্চিত্রে "কাধল অবিয়ম কান্ডেই" গান গাওয়ার মধ্য দিয়ে। ইলাইয়ারাজার সুরে হামির কল্যাণী রাগের এই গানটি চলচ্চিত্রে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। তাঁর প্রথম প্রকাশিত তামিল গান হল গায়ত্রী (১৯৭৮) চলচ্চিত্রের "কালাই পানিয়িল"। ইলাইয়ারাজার সুরকৃত গানটিতে শ্রীদেবী ও রজনীকান্তকে পর্দায় দেখা যায়। তিনি পরবর্তী কালে ইলাইয়ারাজার সুরে জনি (১৯৮০) ও ইলামাই কলঙ্গল চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দেন। ১৯৮১ সালে বিবাহোত্তর তিনি নেপথ্য সঙ্গীত থেকে সাময়িক বিরতি নেন। ১৯৮৮ সালে তিনি কাডাতানাডান আম্বাডি দিয়ে ফিরে আসেন, এবং পরবর্তী চিত্রম (১৯৮৮) চলচ্চিত্রের গানগুলিও জনপ্রিয় তকমা লাভ করে।
১৯৮০-এর দশকের শেষভাগ থেকে তিনি এ আর রহমানের সুরে কয়েকটি বিজ্ঞাপনের জিঙ্গলে কাজ করেন, তন্মধ্যে রয়েছে প্রিমিয়ার কুকার ও টিল্ডা রাইসের বিজ্ঞাপন। পরে তিনি রহমানের সুরে মণি রত্নমের ১৯৯২ সালের চলচ্চিত্র রোজা-তে "পুদু বেল্লাই মাজাই" গানে কণ্ঠ দেন, যা ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় একটি গান। এছাড়া তিনি "কাধল রোজা" গানের নেপথ্যেও কণ্ঠ দেন। এই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ১৯৯০-এর দশক জুড়ে তিনি রহমানের সুরে আরও কয়েকটি তামিল চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দেন, সেগুলো হল পুদিয়া মুগম (১৯৯৩), জেন্টলম্যান (১৯৯৩), জিন্স ও মিন্সার কনবু (১৯৯৭)। পুদিয়া মুগম-এর "নেত্রু ইলাতা মাত্রম" ও জেন্টলম্যান চলচ্চিত্রের "এন বিতিল তোট্টাতিল" গানে এবং মিন্সার কনবু চলচ্চিত্রের "পু পুকুম ওসাই" গানে কণ্ঠ দিয়ে তিনি শ্রেষ্ঠ নারী নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী বিভাগে তামিলনাড়ু রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।[৪]
তিনি রহমানের সুরে কয়েকটি হিন্দি গানও রেকর্ড করেছেন, তন্মধ্যে রয়েছে তিরুদা তিরুদা চলচ্চিত্রের "তি তি" গানের হিন্দি সংস্করণ "দিল হ্যায় সনম", আর্থ (১৯৯৮)-এর "ঈশ্বর আল্লাহ", তাল (১৯৯৯)-এর "ইশ্ক বিনা", ও পুকার (২০০০)-এর "হ্যায় জানা" গানে এবং কভি না কভি (১৯৯৮)-এর "তুম হো মেরি নিগাহোঁ" গানের নেপথ্যে কণ্ঠ দেন।