সুজাতা রামদোরাই | |
---|---|
![]() সুজাতা রামদোরাই | |
জন্ম | ১৯৬২ |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
নাগরিকত্ব | ভারতীয় |
মাতৃশিক্ষায়তন | সেন্ট জোসেফ কলেজ, ব্যাঙ্গালোর আন্নামালাই বিশ্ববিদ্যালয় টিআইএফআর |
পরিচিতির কারণ | বিনিময়শূন্য ইয়াসাওয়া তত্ত্ব, বীজগাণিতিক বিভিন্নতার গণিত |
পুরস্কার | আইসিটিপি রামানুজন পুরস্কার,(২০০৬) শান্তি স্বরূপ ভাটনাগর পুরস্কার (২০০৪) আলেক্সজেন্ডার ভন হামবল্ডট সভ্য (১৯৯৭–১৯৯৮) |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | গণিত |
প্রতিষ্ঠানসমূহ | টিআইএফআর ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় |
ডক্টরাল উপদেষ্টা | রমন পরিমলা |
সুজাতা রামদোরাই (জন্ম-১৯৬২)[১] হলেন একজন বীজগাণিতিক সংখ্যার তত্ত্ববিদ। তিনি পরিচিত ইয়াশাওয়া তত্ত্বে অগ্রণী অবদানের জন্য। তিনি কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের একজন অধ্যাপক আর "কানাডার গবেষণা পদ"-এরও অধিকারী।[২][৩] তিনি "টাটা ইনস্টিটিউট অব ফান্ডামেন্টাল রিসার্চ"-এর একজন ভূতপূর্ব অধ্যাপক ছিলেন।
ব্যাঙ্গালোরের সেন্ট জোসেফ কলেজ থেকে তিনি ১৯৮২ সালে বিজ্ঞান শাখায় স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। তারপর ১৯৮৫ সালে আন্নামলাই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। এরপর তিনি "টাটা ইনস্টিটিউট অব ফান্ডামেন্টাল রিসার্চ"-এ গবেষণা করতে যান। ১৯৯২ সালে তিনি রমন পরিমালার অধীনে গবেষণা শেষ করে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করেন। [৪] তাঁর গবেষণা-পুথির নাম ছিলেন "প্রকৃত পৃষ্ঠ এবং প্রকৃত জ্যামিতির উইট সমবায়"।
প্রথমে রামদোরাই "উপবৃত্তাকার বক্ররেখার চতুর্কণীয় রূপ এবং গাণিতিক জ্যামিতির বীজগাণিতিক তত্ত্ব"-এর ওপর কাজ করেন। [৫] সহযোগী জন এইস কোটস, ফুকায়া, কাজু্য়া কাটু, এবং ভেংকাজবের সাথে মিলে তিনি ইয়াশাওয়া তত্ত্বের মূল ধারণাটির এক বিনিময়শূন্য পদ্ধতি নির্ণয় করেন। তাঁদের এই কর্মের ভিত্তিতেই বিষয়টির ভিত্তিটি নির্ভর করেছে। [৬] ইয়াশাওয়া তত্ত্বের মূলটি জাপানী গণিতজ্ঞ কেনকিসি ইয়াশাওয়ার অবদান। [৭]
তিনি পুণেস্থিত ভারতীয় বিজ্ঞান শিক্ষা এবং গবেষণায় একটা সহকারী অধ্যাপকের পদ অলঙ্কৃত করেন। [৮]
স্বামী শ্রীনিবাসন রামদোরাই এবং ভারতীয় গণিত-বিষয়ক লেখক ভি.এস. শাস্ত্রীর সাথে মিলে তিনি অন্ধ্রপ্রদেশের চিট্টিরে "রামানুজন গণিত উদ্যান"-এ আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন এবং সেইটির স্থাপনায় আংশিকভাবে জড়িত হয়ে পড়েন। সেই উদ্যানটি ভারতীয় গণিতে শ্রদ্ধা জানানোর সাথে প্রখ্যাত ভারতীয় গণিতজ্ঞ শ্রীনিবাস রামানুজনের প্রতিসূত্রর্গিত। তিনি অনেকগুলি আন্তঃরাষ্ট্রীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান যেমন – "উচ্চতর গবেষণার প্রচারের ইন্দো-ফরাসি কেন্দ্র", "বাঁফ আন্তরাষ্ট্রীয় গবেষণা কেন্দ্র" ইত্যাদি। ২০০৭ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত তিনি রাষ্ট্রীয় জ্ঞান সমিতির একজন সদস্য ছিলেন। তিনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা সমিতির একজন সদস্য (২০০৯ সাল থেকে)। সাথে রাষ্ট্রীয় উদ্ভাবন পরিষদেরও একজন সদস্যা। [৯] গণিত সোরার উপদেষ্টা মন্ডলীরও তিনি একজন সদস্যা। [১০]
আইসিটিপি রামানুজন পুরস্কার লাভ করা তিনি প্রথম ভারতীয় গণিতজ্ঞ। সেই সম্মান তিনি লাভ করেন ২০০৬ সালে। এরও পরে তিনি ২০০৪ সালে শান্তিস্বরূপ ভাটনাগর পুরস্কার (বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রে ভারত সরকারের সর্বোচ্চ সম্মান) লাভ করেন। [১১]
২০২০ সালে কানাডার গাণিতিক সমাজ সুজাতা রামদোরাইকেক্ৰেইজার-নেলসন পুরস্কার-এ সম্মানীত করার কথা ঘোষণা করে। গণিতের জগতে অগ্রগণ্য বিশেষ অবদানের জন্য তিনি এই পুরস্কারটির জন্য মনোনীত হন। ২০২০ সালের ৫-৮ জুন অটোয়ার অন্টোরিয়োতে হওয়া অনুষ্ঠানে সুজাতা রামদোরাই এই উল্লেখযোগ্য পুরস্কারটি গ্ৰহণ করে এক বক্তৃতাও প্ৰদান করবেন।[১২]