সুজাতা সিং | |
---|---|
![]() | |
৩০তম ভারতের পররাষ্ট্র সচিব | |
কাজের মেয়াদ ১লা আগস্ট ২০১৩ – ২৮শে জানুয়ারি ২০১৫ | |
পূর্বসূরী | রঞ্জন মাথাই |
উত্তরসূরী | সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | জুলাই ১৯৫৪ (বয়স ৭০) ভারত |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
দাম্পত্য সঙ্গী | ডঃ সঞ্জয় এম সিং[১] |
সুজাতা সিং একজন ভারতীয় কূটনীতিক। তিনি ২০১৩ সালের আগস্ট মাস থেকে ২০১৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হিসাবে কাজ করেছেন। এর আগে তিনি জার্মানিতে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত ছিলেন (২০১২-২০১৩)।[২]
সুজাতা সিং জন্মগ্রহণ করেন ১৯৫৪ সালের জুলাই মাসে। তার বাবা ছিলেন গোয়েন্দা দপ্তরের প্রাক্তন প্রধান টি. ভি. রাজেশ্বর এবং পরে তিনি রাজ্যপাল হন। শ্রীমতি সিং নিউ দিল্লির লেডি শ্রী রাম কলেজের একজন প্রাক্তন ছাত্রী। এরপর তিনি দিল্লি স্কুল অফ ইকোনমিক্সে পড়াশুনো করেন এবং সেখান থেকে ইকোনমিক্সে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বিবাহ করেন, ভারতীয় পররাষ্ট্র পরিষেবা দপ্তরের একজন অবসরপ্রাপ্ত উচ্চ পদাধিকারী, সঞ্জয় সিংকে।[১][৩][৪]
শ্রীমতি সিং, ১৯৭৬ ব্যাচের, ভারতীয় পররাষ্ট্র পরিষেবা দপ্তরের একজন উচ্চপদস্থ কর্মচারী। তিনি একজন জার্মান ভাষাবিদ এবং তিনি বন, আক্রা, প্যারিস, এবং ব্যাংককের ভারতীয় দূতাবাসগুলিতে বিভিন্ন পদে কাজ করেছেন। তিনি ২০০০ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত মিলানে ভারতের কনসাল জেনারেল ছিলেন, এবং ২০০৭ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় ভারতের হাই কমিশনার হিসাবে কাজ করেছেন। দিল্লিতে তিনি মন্ত্রিসভার অর্থনৈতিক সমন্বয় দপ্তরের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং নেপাল, পশ্চিম ইউরোপ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে নির্বাহী সরকারি সচিব এবং যুগ্ম সচিব হয়ে প্রশাসনিক পরিচালক হিসাবে সংযোগ রেখেছেন।।[৫] অস্ট্রেলিয়াতে হাইকমিশনার হিসেবে তার মেয়াদ, ভারতীয় ছাত্রদের উপর বর্ণবাদী হামলা, এবং তার পর অস্ট্রেলিয়ান লেবার পার্টির ইউরেনিয়াম বিক্রির বিষয়ে ভারতকে ব্যতিক্রমী করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর ইন্দো-অস্ট্রেলিয়ান সম্পর্কে অস্থিরতার কারণে চিহ্নিত হয়েছিল। তিনি বলিষ্ঠ সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধা করতেন না, যেমন ১৯৮৩ সালে বৃষ্টি জর্জরিত কৈলাশ মানসরোবর ভ্রমণের সময় যোগাযোগকারী স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন,[৬] ভারতীয়দের বিরুদ্ধে জাতিগত হামলার মোকাবিলা করার জন্য অস্ট্রেলিয়ান কর্তৃপক্ষের সাথে কঠোর অবস্থান নিয়েছিলেন,[৩] এবং, যুগ্ম সচিব হিসাবে পশ্চিম ইউরোপের সঙ্গে সংযোগ রাখার সময়, তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের ছোট ছোট দেশগুলির কাছ থেকে নির্দেশনামূলক সহায়তা গ্রহণ না করার ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছিলেন।[৭][৮]
২০১৩ সালে সুজাতা সিং ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হিসাবে রঞ্জন মাথাই এর পর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।।[৯] তিনি এস. জয়শঙ্করের বদলে নির্বাচিত হয়ে নিযুক্ত হন, এবং ১লা আগস্ট ২০১৩ তারিখে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সেই সময় তিনি ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলির কোনও একটিতেও রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করেননি, এবং তাই এটি তার জন্য একটি কঠিন কাজ ছিল। [তথ্যসূত্র প্রয়োজন] শ্রীমতি সিং চোকিলা আয়ার এবং নিরুপমা রাও এর পর ভারতীয় কূটনৈতিক দলের নেতৃত্ব দিতে তৃতীয় মহিলা কর্মকর্তা ছিলেন। সাধারণ ভাবে, পররাষ্ট্র সচিব হিসাবে তার মেয়াদ ২০১৫ সালের আগস্টে শেষ হবার কথা ছিল;[১][৪][১০] যদিও, ২৮শে জানুয়ারী ২০১৫ তারিখে সরকারি আদেশবলে এটি শেষ করে দেওয়া হয়[১১] এবং এস. জয়শঙ্কর তার স্থলাভিষিক্ত হন, যিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত হিসাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীর মার্কিন সফরের সময়, এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামার ভারত সফরের সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।[১২][১৩]