সুজান কোনার | |
---|---|
Susan Kohner | |
জন্ম | সুজানা কোনার নভেম্বর ১১, ১৯৩৬ |
অন্যান্য নাম | সুজান ওয়েট্জ |
পেশা | অভিনেত্রী |
কর্মজীবন | ১৯৫৫-১৯৬৪ |
দাম্পত্য সঙ্গী | জন ওয়েট্জ (বি. ১৯৬৪; মৃ. ২০০২) |
সন্তান | পল ওয়েট্জ ক্রিস ওয়েট্জ |
সুজানা "সুজান" কোনার (জন্ম ১১ নভেম্বর ১৯৩৬) হলেন একজন সাবেক মার্কিন অভিনেত্রী। তিনি ইমিটেশন অব লাইফ (১৯৫৯) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য সুপরিচিত এবং এই কাজের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন এবং সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেন।
১৯৬৪ সালে পুরুষদের পোশাক নকশাবিদ ও লেখক জন ওয়েট্জের সাথে বিবাহের পর তিনি অভিনয় থেকে অবসর নেন ও পরিবারের প্রতি মনোনিবেশ করেন। তাদের দুই পুত্র পল ওয়েট্জ ও ক্রিস ওয়েট্জ দুজনেই চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার ও অভিনেতা।[১]
কোনার ১৯৩৬ সালের ১১ই নভেম্বর ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার মাতা লুপিতা তোবার মেক্সিকোয় জন্মগ্রহণকারী হলিউড অভিনেত্রী ছিলেন, এবং পিতা পল কোনার অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরির বোহেমিয়ায় জন্মগ্রহণকারী চলচ্চিত্র প্রযোজক ছিলেন।[২] তার মাতা রোমান ক্যাথলিক ছিলেন এবং তার পূর্বপুরুষগণ মেক্সিকান ও আইরিশ ছিলেন; অন্যদিকে তার পিতা চেক বংশোদ্ভূত ইহুদি ছিলেন।[৩][৪][৫][৬]
কোনার ১৯৫০-এর দশকের শেষভাগ ও ১৯৬০-এর দশকের শুরুতে তার কর্মজীবনের অধিকাংশ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এই সময়ে তার অভিনীত দুটি উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল সাল মিনেওর বিপরীতে দিনো (১৯৫৭) ও দ্য জিন ক্রুপা স্টোরি (১৯৫৯)। দ্বিতীয় চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করে তিনি বর্ষসেরা নবীন তারকা বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেন।[৭]
কোনারের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কাজ হল ইমিটেশন অব লাইফ (১৯৫৯)। এই চলচ্চিত্রে তিনি উজ্জ্বল কৃষ্ণাঙ্গ নারী চরিত্রে অভিনয় করেন, যিনি শ্বেতাঙ্গ হিসেবে উত্তীর্ণ হয়ে যান।[৮] এটি ১৯৩৪ সালের একই নামের একটি বইয়ের চলচ্চিত্ররূপ। ডগলাস সার্ক পরিচালিত এই চলচ্চিত্রটি বক্স অফিসে সফলতা অর্জন করে এবং এটি সেই বছরের নবম সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্র ছিল।[৯] কোনার তার অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন[১০] এবং সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেন।[৭] তার অভিনীত সর্বশেষ চলচ্চিত্র ছিল ১৯৬২ সালে মন্টগামারি ক্লিফটের বিপরীতে ফ্রয়েড: দ্য সিক্রেট প্যাশন। এই কাজের জন্য তিনি সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[৭] ১৯৬৪ সালে তিনি অভিনয় থেকে অবসর নেন।