সুদূরপশ্চিম প্রদেশ सुदूर-पश्चिम प्रदेश | |
---|---|
প্রদেশ | |
উপরে বাম থেকে ডানে সাইপাল পর্বত, অপী পর্বত, ঘোড়াঘোড়ি হ্রদ, বডিমালিকা মন্দির, খপ্তড হ্রদ এবং শুক্লাফান্টা জাতীয় উদ্যানে বারশিঙ্গা হরিণ | |
সুদূরপশ্চিম প্রদেশের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৮°৪২′১২″ উত্তর ৮০°৩৪′০১″ পূর্ব / ২৮.৭০৩৩৩° উত্তর ৮০.৫৬৬৯৪° পূর্ব | |
দেশ | নেপাল |
প্রতিষ্ঠা | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ |
রাজধানী | গোদাবরী |
বৃহত্তম শহর | ধনগড়ী |
জেলা | ৯ |
সরকার | |
• শাসক | সুদূরপশ্চিম প্রদেশ সরকার |
• গভর্নর | মোহন রাজ মল্ল |
• মুখ্যমন্ত্রী | ত্রিলোচন ভট্ট নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি (এনসিপি) |
• উচ্চ আদালত | দিপায়ল উচ্চ আদালত |
• প্রাদেশিক পরিষদ | প্রদেশ সভা এককক্ষ বিশিষ্ট (৫৩ আসন) |
• প্রতিনিধি সভা | ১৬ আসন |
আয়তন | |
• মোট | ১৯,৫৩৯ বর্গকিমি (৭,৫৪৪ বর্গমাইল) |
এলাকার ক্রম | ৬ষ্ঠ |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ২৫,৫২,৫১৭ |
• ক্রম | ৫ম |
• জনঘনত্ব | ১৩০/বর্গকিমি (৩৪০/বর্গমাইল) |
• ঘনত্বের ক্রম | ৫ম |
বিশেষণ |
|
সময় অঞ্চল | এনএসটি (ইউটিসি+৫:৪৫) |
ভৌগোলিক কোড | এনপি-এসই |
ভাষাসমূহ | ১. নেপালি (৩০.১৭%) ২. ডোটেলি (৩০.৪%) ৩. থারু (১৭%) |
এইচডিআই | ০.৪৭৮ (নিম্ন) |
সাক্ষরতা | ৬৩.৪৮% |
ওয়েবসাইট | p7 |
সুদূরপশ্চিম প্রদেশ (নেপালি: सुदूरपश्चिम प्रदेश) নেপালের নবগঠিত সাতটি প্রদেশের অন্যতম। ২০১৫ সালের ২০ সেপ্টেম্বর প্রণীত নতুন সংবিধানের মাধ্যমে পূর্বতন সুদূর পশ্চিমাঞ্চল বিকাস ক্ষেত্রের সীমানা নিয়ে সুদূরপশ্চিম প্রদেশ গঠিত হয়।[১] সুদূরপশ্চিম প্রদেশের উত্তরে চীনের তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল, পূর্বে কর্ণালী প্রদেশ ও প্রদেশ নং ৫, পশ্চিমে ভারতের উত্তরাখণ্ড এবং দক্ষিণে ভারতের উত্তর প্রদেশ অবস্থিত। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে প্রদেশ নং ৭-এর নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ভোটে প্রদেশের স্থায়ী নাম হিসেবে "সুদূরপশ্চিম প্রদেশ" নির্ধারিত হয়। এরপর ২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোদাবরীকে প্রদেশের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করা হয়।[২][৩]
রাজা দীপ শাহী ১৭৯০ সালে নেপাল থেকে বিতাড়িত হয়ে অউধ রাজ্যের তরাই অঞ্চলে (বর্তমান উত্তর প্রদেশের লখিমপুর খেরি জেলা) আসেন এবং ব্রিটিশ রাজের অধীনে খাইরিগড়ে খাইরগড়-সিংহাই রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন।[৪] কাঞ্চনপুর পরগনা (বর্তমান কাঞ্চনপুর ও কৈলালী জেলা) তার জমিদারীর অংশ ছিল। খাইরিগড়ের সেনাদের পরাস্ত করে তিনি বানজারা এলাকায় অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন এবং এই পরগনার দখল পান। সেইসাথে ভূরের অংশবিশেষও দখল করতে সমর্থ হন। ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হলে তার জমিদারী ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়।
২০১৫ সালে সুদূরপশ্চিম প্রদেশ গঠিত হওয়ার পূর্বে এই অঞ্চলটি সুদূর পশ্চিমাঞ্চল বিকাস ক্ষেত্রের অন্তর্ভুক্ত ছিল। প্রদেশ গঠিত হওয়ার সময় এর সীমানায় কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি।
সুদূরপশ্চিম প্রদেশের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা হলেন গভর্নর মোহন রাজ মল্ল। প্রাদেশিক সরকারের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিলোচন ভট্ট এবং প্রদেশের বিচার বিভাগের প্রধান দিপায়ল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি যজ্ঞপ্রসাদ বাস্যাল।[৫][৬][৭]
সুদূরপশ্চিম প্রদেশের প্রাদেশিক পরিষদ প্রদেশ সভার আসন সংখ্যা ৫৩। নেপালের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি সভার ১৬ জন সদস্য এই প্রদেশ থেকে নির্বাচিত হন।[৮]
প্রদেশ সভা হলো প্রতিটি প্রদেশের এক কক্ষবিশিষ্ট সংসদ। প্রদেশ সভার সদস্যরা জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হন। প্রতিটি প্রদেশ সভার মেয়াদ পাঁচ বছর। সুদূরপশ্চিম প্রদেশের প্রদেশ সভার অস্থায়ী কার্যালয় ধনগড়ীর জেলা সমন্বয় কমিটি হলে অবস্থিত।[৯]
সুদূরপশ্চিম প্রদেশের জেলার সংখ্যা ৯টি। প্রতিটি জেলার প্রশাসন জেলা সমন্বয় সমিতি এবং জেলা প্রশাসন কর্মকর্তা কর্তৃক পরিচালিত হয়। প্রতিটি জেলা আবার বিভিন্ন গ্রাম ও নগরপালিকায় বিভক্ত। সুদূরপশ্চিম প্রদেশে একটি উপ-মহানগর, ৩৩টি নগর এবং ৫৪টি গ্রাম পালিকা রয়েছে।[১০]
সুদূরপশ্চিম প্রদেশের জেলাগুলো হলো:
সুদূরপশ্চিম প্রদেশের জনসংখ্যা প্রায় ২,৫৫২,৫১৭ জন (নেপালের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৯.৬৩%)। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১৩০ জন। জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার ১.৫৩%। পুরুষ জনগোষ্ঠী ১,২১৭,৮৮৭ জন ও মহিলা ১,৩৩৪,৬৩০ জন (১০০০ জন মহিলার বিপরীতে ৯১২ জন পুরুষ)। প্রদেশের মোট জনসংখ্যার ৫৮.৯% (১,৫০৪,২৭৯ জন) শহরে ও ৪১.১% (১,০৪৮,২৩৮ জন) গ্রামে বসবাস করেন।[১১]