ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | সুধীর সখরাম নায়েক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | বোম্বে, মহারাষ্ট্র, ব্রিটিশ ভারত | ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৫|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান, কোচ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | অজিত নায়েক (কাকাতো ভাই) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৩২) | ৪ জুলাই ১৯৭৪ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৭ ডিসেম্বর ১৯৭৪ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৬) | ১৩ জুলাই ১৯৭৪ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১৫ জুলাই ১৯৭৪ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১২ জুলাই ২০২০ |
সুধীর সখরাম নায়েক (হিন্দি: सुधीर नाइक; জন্ম: ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৫) তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বোম্বে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী কোচ ও সাবেক ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৭০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।[১][২]
;ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে বোম্বে দলের প্রতিনিধিত্ব করেন সুধীর নায়েক। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে দীর্ঘসময় অবস্থান করেছেন। ক্রিকেটার, কোচ ও মাঠ তদারককারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন তিনি।
১৯৬৬-৬৭ মৌসুম থেকে ১৯৭৭-৭৮ মৌসুম পর্যন্ত সুধীর নায়েকের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। সাহসী চিত্তের অধিকারী ডানহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন তিনি।
বোম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে খেলোয়াড়ী জীবন শুরু করেন। এরপর তিনি টাটা অয়েল মিলস দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। ঐ দলের তিনি কর্মী ছিলেন। ক্রিকেটের পাশাপাশি অর্গ্যানিক কেমিস্টের দূর্লভ সংযোজন ঘটিয়েছেন। বোম্বেভিত্তিক রুপারেল কলেজ থেকে অর্গ্যানিক কেমিস্ট্রি বিষয়ে প্রথম শ্রেণীতে এমএসসি ডিগ্রিধারী হন।
বোম্বে দলের পক্ষে অসাধারণ ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেছিলেন সুধীর নায়েক। রঞ্জী ট্রফিতে ৪০.১০ গড়ে ২৬৮৭ রান তুলেন। তন্মধ্যে, ১৯৭৩-৭৪ মৌসুমে বরোদরার বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ অপরাজিত ২০০ রান তুলেছিলেন। তাসত্ত্বেও তার সুখময় মুহূর্ত ছিল ১৯৭০-৭১ মৌসুমের রঞ্জী ট্রফিতে দলকে অপ্রত্যাশিতভাবে শিরোপা বিজয়ে নেতৃত্ব দেয়া। এ সময়ে দলের তারকা খেলোয়াড়গণ জাতীয় দলের সদস্যরূপে ওয়েস্ট ইন্ডিজে অবস্থান করছিলেন।
ভারতের পক্ষে টেস্ট খেলার পাশাপাশি বেশ কয়েকবছর রঞ্জী ট্রফিতে বোম্বে দলের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনটিমাত্র টেস্ট ও দুইটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন সুধীর নায়েক। ৪ জুলাই, ১৯৭৪ তারিখে বার্মিংহামে স্বাগতিক ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ২৭ ডিসেম্বর, ১৯৭৪ তারিখে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
১৯৭৪ সালে ইংল্যান্ড গমনার্থে তাকে দলে নেয়া হয়। এ সফরে ব্যাটিং উদ্বোধনের অন্যতম দাবীদার ছিলেন। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে তিনজনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। প্রথম-শ্রেণীর খেলাগুলোয় বেশ ভালো করেন। ৪০.৫৫ গড়ে ৭৩০ রান তুলেন তিনি। অবশেষে, এজবাস্টনে সিরিজের চূড়ান্ত টেস্টে তাকে দলে খেলানো হয়। কিন্তু তার প্রস্তুতি পর্বটি বেশ কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলান্তে হয়। লন্ডনের বিপনীবিতান থেকে মোজা চুরির দায়ে আদালতে নিয়ে আসা হয় ও জরিমানা ধার্য করা হয়। প্রথম ইনিংসে ৪ রান তুলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৭ রান তুললেও দলের পরাজয় রোধ করতে পারেননি তিনি।
দেশে ফিরে আরও দুই টেস্ট খেলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪৮, ৬, ০ ও ৬ রানের ইনিংস খেলার পর তাকে দলের বাইরে রাখা হয়।
ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পরও ক্রিকেটের সাথে কোচ হিসেবে সম্পৃক্ত থাকেন। মুম্বইভিত্তিক নিজস্ব ন্যাশনাল ক্রিকেট ক্লাব থেকে পরবর্তীকালে জহির খান, ওয়াসিম জাফরসহ রাজেশ পাওয়ার, রাজু সুতার ও পরেশ মামব্রে’র ন্যায় খেলোয়াড় মুম্বইয়ের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
২০০৫ সাল থেকে ওয়াংখেড়ে ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মাঠ কর্মকর্তার দায়িত্বে রয়েছেন। ২০১১ সালে ক্রিকেট বিশ্বকাপের চূড়ান্ত খেলায় পিচ ও মাঠের তদারকী করেন। বর্তমানে বিসিসিআইয়ের মাঠ ও পিচ কমিটির পশ্চিম অঞ্চলের মাঠ ও পিচ প্রস্তুতসহ দেখাশোনার দায়িত্ব পালন করছেন।