ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | সুব্রত তারা বন্দ্যোপাধ্যায় | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | পাটনা, বিহার, ভারত | ১৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | টাটা ব্যানার্জী (পিতা) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
একমাত্র টেস্ট (ক্যাপ ১৯৪) | ২ জানুয়ারি ১৯৯২ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৮৩) | ৬ ডিসেম্বর ১৯৯১ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১৯ ডিসেম্বর ১৯৯২ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৫ জুলাই ২০১৯ |
সুব্রত তারা বন্দ্যোপাধ্যায় (মারাঠি: सुब्रोतो बॅनर्जी; জন্ম: ১৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯) বিহারের পাটনায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।[১][২][৩] ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯১ থেকে ১৯৯২ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
;ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে বাংলা, পূর্ব অঞ্চল দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। পাশাপাশি অনূর্ধ্ব-১৯, কিশোর দল, ভারতীয় বোর্ড সভাপতি একাদশ, বহিঃভারত ও উইলস একাদশে খেলেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট বোলিং করতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে কার্যকরী ব্যাটিংশৈলী উপস্থাপন করেছেন সুব্রত ব্যানার্জী।
১৯৮৭-৮৮ মৌসুম থেকে ১৯৯৮-৯৯ মৌসুম পর্যন্ত সুব্রত ব্যানার্জী’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। এমআরএফ পেস ফাউন্ডেশনের প্রথমদিকের অন্যতম প্রশিক্ষিত ক্রিকেটার ছিলেন। তাকে ঘিরে ভারতীয় দলে বেশ প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয়েছিল। শক্ত ও বাউন্সি পিচে তার বোলিংয়ের কার্যকরীতার কথা ভেবে ১৯৯১-৯২ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশ্যে ভারত দলের সদস্য করা হয়। ১৯৮৯-৯০ মৌসুমে ত্রিপুরার বিপক্ষে ইনিংসে ৭/১৮ ও খেলায় ৭৮ রান খরচায় ১২ উইকেট পেয়েছিলেন।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে ও ছয়টি ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ করেছেন সুব্রত ব্যানার্জী। ২ জানুয়ারি, ১৯৯২ তারিখে সিডনিতে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ঐ একই টেস্টে বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট তারকা শেন ওয়ার্নেরও টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়েছিল।[৪] এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল।
সিরিজের তৃতীয় টেস্টে স্পিনে অভিজ্ঞ বোলার ছাড়াই ভারত দল মাঠে নামে। চতুর্থ সিমার হিসেবে খেলেন তিনি। প্রথম ইনিংসে মার্ক ওয়াহ, মার্ক টেলর ও জিওফ মার্শকে আউট করেন। খেলায় তার বোলিং পরিসংখ্যান ছিল ৩/৪৭। ঐ টেস্ট ড্রয়ে পরিণত হয়। এরপর বেনসন এন্ড হেজের বিশ্ব সিরিজে অংশ নিয়ে তেমন সফলতা পাননি। পরের মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা গমনে দলে রাখা হয়। কিন্তু, কোন টেস্টেই তার খেলার সুযোগ হয়নি। কেবলমাত্র একদিনের ও প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলাগুলোয় মাঝারিমানের ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেছিলেন। এরপর আর তাকে ভারত দলের পক্ষে খেলতে দেখা যায়নি। খাটোমানের ও ওয়াইড বোলিং করতেন। এছাড়াও, দীর্ঘসময় ধরে বোলিং করতে পারতেন না। এরপরও তিনি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলা চালিয়ে যান ও কিছুটা সফলতা পান। ১৯৯২ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে ভারত দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি।
১৯৫১-৫২ মৌসুম থেকে ১৯৫৮-৫৯ মৌসুম পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে তার প্রয়াত পিতা টাটা ব্যানার্জী তিনটি খেলায় অংশ নিয়েছিলেন।