সুব্রত মুখার্জী | |
---|---|
আনুগত্য | ভারত |
সেবা/ | ভারতীয় বিমান বাহিনী |
কার্যকাল | c. ১৯৩০ – ১৯৬০ |
পদমর্যাদা | এয়ার মার্শাল |
যুদ্ধ/সংগ্রাম | উত্তর পশ্চিম ফ্রন্টিয়ার রেবেলিয়ন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ |
পুরস্কার | ইন্ডিয়া জেনারেল সার্ভিল মেডাল, ওবিই |
এয়ার মার্শাল সুব্রত মুখার্জী ওবিই, (৫ মার্চ ১৯১১ – ৮ নভেম্বর ১৯৬০) ছিলেন ভারতীয় হিসেবে দেশটির বিমান বাহিনীর প্রথম চীফ অভ দ্যা এয়ার স্টাফ বা বিমান বাহিনীর প্রধান কর্মকর্তা; তার পূর্বের প্রধানগণ সবাই ব্রিটিশ ছিলেন। তার জন্ম একটি নামকরা বাঙালি পরিবারে। তিনি পড়াশোনা করেছেন ভারত ও ইংল্যান্ডে। তিনি প্রথমে রয়াল এয়ার ফোর্সে যোগ দেন এবং পরবর্তীতে ভারতীয় বিমান বাহিনীর প্রথম দিককার সদস্য ছিলেন। তার বৈচিত্রপূর্ণ জীবনে তিনি অনেক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। ১৯৬০ সালে তিনি দুর্ঘটনায় মারা যান। তাকে বলা হয় "ভারতীয় বিমান বাহিনীর জনক"।
সুব্রত মুখার্জী কলকাতায় জন্ম গ্রহণ করেন ৫ মার্চ, ১৯১১ তারিখে। তার পিতামহ নিবারন চন্দ্র মুখার্জী সে সময়কার নামকরা সামাজিক ও শিক্ষা কর্মী ছিলেন। তিনি ছিলেন ব্রাহ্ম সমাজের সদস্য। পিতা সতীশচন্দ্র মুখার্জী খ্যাতনামা আই সি এস ও মাতা চারুলতা মুখার্জী ছিলেন প্রথম মহিলা 'ঈশান স্কলার' ও নিরলস সমাজকর্মী। তার মাতামহ ড. প্রসন্নকুমার রায় ছিলেন ভারতীয় শিক্ষা মন্ত্রকের কর্মকর্তা এবং কলকাতার প্রেসিডেন্সী কলেজের প্রথম ভারতীয় অধ্যক্ষ। তার মাতামহী সরলা রায় ছিলেন গোখালে স্মৃতি বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা। চার সন্তানের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ সুব্রত তিন মাস বয়সেই ইংল্যান্ড গমন করেন। জ্যেষ্ঠা ভগিনী রেণুকা রায়, সাংসদ, কেন্দ্রীয় সরকারের ক্যাবিনেট মন্ত্রী ও সমাজকর্মী। তিনি তার শৈশব কাটিয়েছেন কৃষ্ণনগর ও চুঁচুড়া এলাকায়।
১৯৩৯ সালে শারদা পণ্ডিত নাম্নী এক মহারাষ্ট্রীয় মহিলাকে বিবাহ করেন। তাদের একপুত্র সঞ্জীব। শারদা মুখার্জী গুজরাত ও অন্ধ্রপ্রদেশের রাজ্যপাল হয়েছিলেন।
১৯১১ সালের ৫ই মার্চ কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় ছিলেন ভারতীয় সিভিল সার্ভিসের প্রথম ভারতীয় কর্মকর্তা ছিলেন এবং তার মা চারুলতা মুখার্জী ছিলেন একজন সমাজকর্মী। তার পিতামহ নিবারণ চন্দ্র মুখার্জি ছিলেন একজন ব্রাহ্ম, দেশের সামাজিক ও শিক্ষাগত সংস্কারের অগ্রগামী এবং ব্রাহ্মসমাজেরর সদস্য ছিলেন। তার মাতামহ ভারতীয় শিক্ষা সেবক প্রসন্নকুমার রায় ছিলেন কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজের প্রথম ভারতীয় অধ্যক্ষ।
সুব্রত মুখার্জী ছিলেন এয়ার ইন্ডিয়ার ১৯৬০ সালের নভেম্বরে প্রথম টোকিওগামী ফ্লাইটের যাত্রীদের একজন। ১৯৬০ সালের ৮ নভেম্বর সুব্রত ভারতীয় নৌবাহিনীর একজন বন্ধুর সাথে টোকিওর একটি রেস্তোরাঁয় আহার করছিলেন। এ সময় খাবারের একটি টুকরা তার গলায় আটকে যায় এবং তিনি শ্বাস বন্ধ হয়ে মৃত্যু বরণ করেন।[১]
তার স্মৃতিতে বিমানবাহিনীর সদর দপ্তরে দিল্লিতে একটি পার্ক নামাংকিত আছে।