সুমতিনাথ

সুমতিনাথ
৫ম জৈন তীর্থঙ্কর
Sumatinatha
একটি জৈন মন্দিরে সুমতিনাথের বিগ্রহ
পূর্বসূরিঅভিনন্দননাথ
উত্তরসূরিপদ্মপ্রভ
রাজপরিবার
রাজবংশ/বংশইক্ষ্বাকু
পরিবার
পিতামাতামেঘপ্রভ (পিতা)
সুমঙ্গলা (মাতা)
্কল্যাণক / গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলি
জন্ম১০২২২ বছর আগে
অযোধ্যা[]
মোক্ষের স্থানশিখরজি
বৈশিষ্ট্য
বর্ণসোনালি
প্রতীকক্রৌঞ্চ
উচ্চতা৩০০ ধনুষ (৯০০ মিটার)
বয়স৪০ লক্ষ ‘পূর্ব’ (২৮২.২৪ কুইন্টিলিয়ন বছর বয়স)
বৃক্ষপ্রিয়াঙ্গু
কেবলকাল
যক্ষতুম্বরু
যক্ষিণীপুরুষদত্তা (দিগম্বর) বা মহাকালী (শ্বেতাম্বর)
গণধরবজ্র, চামর ও কাশ্যপী

সুমতিনাথ হলেন জৈন বিশ্বতত্ত্ব অনুসারে বর্তমান অবসর্পিণী যুগের পঞ্চম তীর্থঙ্কর। তিনি অযোধ্যার ইক্ষ্বাকু রাজবংশে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার পিতা ছিলেন ক্ষত্রিয় রাজা মেঘ (মেঘপ্রভ) এবং মাতা ছিলেন মঙ্গলা (সুমঙ্গলা)। হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে বৈশাখ মাসের শুক্লা অষ্টমী তিথিতে সুমতিনাথ জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

কিংবদন্তি

[সম্পাদনা]

সুমতিনাথ বর্তমান অবসর্পিণী যুগের পঞ্চম জৈন তীর্থঙ্কর[] তার পিতা ছিলেন অযোধ্যার ইক্ষ্বাকু-বংশীয় ক্ষত্রিয় রাজা মেঘ (মেঘপ্রভ) এবং মায়া ছিলেন রানি মঙ্গলা (সুমঙ্গলা)। হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, সুমতিনাথ বৈশাখ মাসের শুক্লা অষ্টমী তিথিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।[]

পূর্বজন্মে সুমতিনাথ ছিলেন জয়ন্ত বিমানের একজন ইন্দ্র[]

জৈন বিশ্বাস অনুসারে, সুমতিনাথ সকল কর্ম ধ্বংস করে একজন সিদ্ধে (মুক্ত আত্মা) পরিণত হয়েছিলেন। তাকে তার ক্রৌঞ্চ প্রতীক, প্রিয়াঙ্গু বৃক্ষ, তুম্বরু যক্ষ ও মহাকালী যক্ষীর সঙ্গে যুক্ত করা হয়।[]

স্তুতি

[সম্পাদনা]

আচার্ সমন্তভদ্র কর্তৃক লিখিত স্বয়ম্ভুস্তোত্র নামক স্তবে চব্বিশ জন তীর্থঙ্করের স্তুতি করা হয়েছে। এই স্তবে পাঁচটি শ্লোকে সুমতিনাথের গুণাবলি বর্ণনা করা হয়েছে।[] তার মধ্যে শেষ শ্লোকটি নিম্নরূপ:

একটি বস্তুর অস্তিত্ব ও অনস্তিত্বের বৈশিষ্ট্যগুলি নির্দিষ্ট দৃষ্টিকোণ থেকে গ্রহণযোগ্য; ঠিক সেই মুহুর্তে বক্তব্যের গ্রহণযোগ্যতা বক্তার পছন্দের উপর নির্ভরশীল। তিনি যে বৈশিষ্ট্যগুলি সামনে আনতে চান, সেগুলি আনেন; অন্যগুলি পিছনে ফেলে আসেন। হে প্রভু সুমতিনাথ, আপনি এইভাবেই সত্যের সার ব্যাখ্যা করেছেন। আপনার স্তুতি আমার প্রজ্ঞাকে প্রসারিত করুক।[]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

পাদটীকা

[সম্পাদনা]
  1. Tandon 2002, পৃ. 44।
  2. Tukol 1980, পৃ. 31।
  3. Umakant P. Shah 1987, পৃ. 136।
  4. Vijay K. Jain 2015, পৃ. 28-35।
  5. Vijay K. Jain 2015, পৃ. 35।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]