যুগ অনুযায়ী সাহিত্যের ইতিহাস |
---|
ব্রোঞ্জ যুগ |
ধ্রুপদি |
আদি মধ্যযুগ |
মধ্যযুগীয় |
প্রাগাধুনিক |
আধুনিক (শতাব্দী অনুযায়ী) |
![]() |
সুমেরীয় সাহিত্য হল প্রাচীনতম জ্ঞাত নথিবদ্ধ সাহিত্যের সংগ্রহ। সুমেরীয় সভ্যতার ধর্মীয় রচনা এবং অন্যান্য প্রথাগত কাহিনি এই সাহিত্যের অন্তর্গত। পরবর্তীকালে প্রধানত আক্কাদীয় ও ব্যাবিলনীয় সাম্রাজ্য কর্তৃক এই সাহিত্য সংরক্ষিত হয়েছিল। মধ্য ব্রোঞ্জ যুগে সুমেরীয় ভাষায় এই সাহিত্য লিখিত হয়।
সুমেরীয়রা প্রথম লিখন পদ্ধতিগুলির একটি আবিষ্কার করেছিল। খ্রিস্টপূর্ব ত্রিংশ শতাব্দী নাগাদ তারা পূর্ববর্তী প্রত্ন-লিখন পদ্ধতি থেকে সুমেরীয় কিউনিফর্ম লিপির বিকাশ ঘটায়।
আক্কাদীয় ও ব্যাবিলনীয় সাম্রাজ্যেও সুমেরীয় ভাষা সরকারি ও সাহিত্য-সংক্রান্ত ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হত। এমনকি জনসাধারণের মধ্য থেকে কথ্য সুমেরীয় ভাষার বিলুপ্তির পরেও এই ব্যবহার অব্যাহত ছিল। সাক্ষরতার হারও ছিল উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেশি। শিক্ষার্থীদের দ্বারা অনুলিপিকৃত সুমেরীয় গ্রন্থাবলি পরবর্তীকালের ব্যাবিলনীয় সাহিত্যকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল।
অধিকাংশ সুমেরীয় সাহিত্য লিখিত হয়ে বাম-প্রান্তিককৃত পংক্তিতে[১] এবং ক্ষেত্রবিশেষে তাতে দ্বিপদী বা স্তবকের মতো পংক্তিভিত্তিক বিন্যাসও দেখা যায়।[২] কিন্তু কবিতার সুমেরীয় সংজ্ঞাটি কী ছিল তা জানা যায় না। অন্তমিলে রচিত না হলেও[১][৩] তার তুলনামূলক প্রভাব কোনও কোনও ক্ষেত্রে লক্ষিত হয়।[৪] এই কবিতায় সিলেবো-টোনিক কাব্যশৈলী অনুসৃত হয়নি।[৫] লিখন পদ্ধতিটিও তাল, অন্ত্যমিল, ছন্দ বা[১][৩] অনুপ্রাসের অনুপযুক্ত ছিল।[১] অন্যান্য সম্ভাব্য কাব্য বৈশিষ্ট্যের পরিমাণগত অধ্যয়নও কম মনে হয় অথবা তা রচনাগুলিকে নথিবদ্ধকারী অনুলিপিকরগণ ইচ্ছাকৃতভাবে গোপন করেছিলেন।
গুরুত্বপূর্ণ রচনাগুলির অন্যতম: