সুরজ রণদিব

সুরজ রণদিব
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
হিউয়া কালুহালামুল্লাগে সুরজ রণদিব কালুহালামুল্লা
জন্ম (1985-01-30) ৩০ জানুয়ারি ১৯৮৫ (বয়স ৩৯)
মাতারা,  শ্রীলঙ্কা
উচ্চতা৬ ফুট ২ ইঞ্চি (১.৮৮ মিটার)
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি অফব্রেক
ভূমিকাঅল-রাউন্ডার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক২৬ জুলাই ২০১০ বনাম ভারত
শেষ টেস্ট২৫ নভেম্বর ২০১২ বনাম নিউজিল্যান্ড
ওডিআই অভিষেক১৮ ডিসেম্বর ২০০৯ বনাম ভারত
শেষ ওডিআই১০ আগস্ট ২০১১ বনাম অস্ট্রেলিয়া
টি২০আই অভিষেক৩ মে ২০১০ বনাম জিম্বাবুয়ে
শেষ টি২০আই২৫ জুন ২০১১ বনাম ইংল্যান্ড
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
২০০৪-২০০৭সিংহলীজ স্পোর্টস ক্লাব
২০০৫সাউদার্ন প্রভিন্স
২০০৭নন্দেস্ক্রিপ্টস
২০০৮-২০১০কন্দুরাতা কাইটস
২০০৮-ব্লুমফিল্ড
২০১১-রুহুনা রাইনোজ
২০১১-২০১২চেন্নাই
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই টি২০আই এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ১২ ২৮ ৯৯
রানের সংখ্যা ১৪৭ ২৩৯ ২,২৫৯
ব্যাটিং গড় ৯.১৮ ১৭.০৭ ৪.০০ ১৯.৪৭
১০০/৫০ ০/০ ০/১ ০/০ ২/৭
সর্বোচ্চ রান ৩৯ ৫৬ ১১২
বল করেছে ৩,১৪৬ ১,২৬৯ ১২৬ ১৯,৮২২
উইকেট ৪৩ ৩৩ ৪৪৫
বোলিং গড় ৩৭.৫১ ৩০.৫৪ ১৯.৮৫ ২৫.৬৭
ইনিংসে ৫ উইকেট ২৯
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৫/৮২ ৫/৪২ ৩/২০ ৯/৬২
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১/০ ৬/০ ০/০ ৭১/০
উৎস: ক্রিকইনফো, ১ এপ্রিল ২০১৩

হিউয়া কালুহালামুল্লাগে সুরজ রণদিব কালুহালামুল্লা (সিংহলি: සුරාජ් රන්දිව්; জন্ম: ৩০ জানুয়ারি, ১৯৮৫) মাতারায় জন্মগ্রহণকারী শ্রীলঙ্কার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারশ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলে খেলার পাশাপাশি ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে সিংহলীজ স্পোর্টস ক্লাবের পক্ষে খেলছেন। সচারচর সুরজ রণদিব নামে পরিচতি তিনি। জন্মকালে তার নাম ছিল মোহাম্মদ মারশুক মোহাম্মদ সুরজ। ডানহাতি অফ-স্পিনার হিসেবে দলের প্রতিনিধিত্ব করছেন। মাতারা’র রাহুলা কলেজে পড়াশোনা করেছেন।[][][]

খেলোয়াড়ী জীবন

[সম্পাদনা]

বয়সভিত্তিক খেলায় শ্রীলঙ্কার পক্ষে সফলতা প্রদর্শন করেছেন। অনূর্ধ্ব-১৫ দলে খেলার পর ২০০৩-০৪ মৌসুমে অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলে চার খেলায় ২৩ উইকেট পান। তার এ সাফল্য মারভান আতাপাত্তুর নজরে আসে ও তাকে সিংহলীজ স্পোর্টস ক্লাবে খেলার জন্য উদ্বুদ্ধ করেন। এরপর সুরজ শ্রীলঙ্কা এ-দলে খেলার সুযোগ পান।

ডিসেম্বর, ২০০৯ সালে মুত্তিয়া মুরালিধরনের পরিবর্তে শ্রীলঙ্কার একদিনের আন্তর্জাতিক দলে অন্তর্ভুক্ত হন। নাগপুরে ভারতের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় খেলায় তার ওডিআই অভিষেক ঘটে। খেলায় ৫১ রানে তিনি ৩-উইকেট দখল করেন। ঐ খেলায় শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল ৩-উইকেটে জয়লাভ করে।[]

২০১১ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে তাকে চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ দেয়া হলেও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের আঘাতপ্রাপ্তিতে তিনি দলে অন্তর্ভুক্ত হন। খেলায় তার দল ফাইনালে পৌঁছেছিল।

বিতর্ক

[সম্পাদনা]

১৬ আগস্ট, ২০১০ তারিখে রণদিব উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে নো-বল দেন যা গণমাধ্যমে মনোযোগ আকর্ষণ করে। এ সময় বীরেন্দ্র শেওয়াগ ৯৯* রানে অপরাজিত ছিলেন ও ভারত একদিনের আন্তর্জাতিকে জয়লাভ করে। কিন্তু তার নো-বলে শেওয়াগ সেঞ্চুরি থেকে বঞ্চিত হন। শেওয়াগ ছক্কা হাকানোর চেষ্টা করলেও আম্পায়ার বলটিকে নো-বল ঘোষণা করেন। খেলাশেষে রণদিব শেওয়াগের কাছে এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। এরফলে রণদিবের জরিমানা হিসেবে ম্যাচ ফি বাতিল হয় ও শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট কর্তৃক তাকে এক খেলার জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "End of another battle"। ২ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ ডিসেম্বর ২০১৪ 
  2. Suraj Randiv
  3. "Battle of the Two Cities"। ২ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ ডিসেম্বর ২০১৪ 
  4. "India v Sri Lanka in 2009/10"CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০০৯ 
  5. "Suraj Randiv gets one-match suspension"CricketArchive। ১৮ আগস্ট ২০১০। 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]