সুরাও হল সুমাত্রা এবং মালয় উপদ্বীপের কয়েকটি অঞ্চলে একটি ইসলামিক সমাবেশ ভবন। এই ভবন নামাজ এবং ধর্মীয় নির্দেশের জন্য ব্যবহার করা হয়। সাধারণত বাস্তবিক কাঠামগতভাবে ছোট ছোট আচার অনুষ্ঠানের ফলে বলা যায় সুরাও একটি মসজিদের অনুরূপ।এই আচার অনুষ্ঠানে পুরুষ এবং মহিলা উভয়দের ধর্মী নির্দেশ পালনের অনুমতি দেওয়া হয়।উৎসবে নামাজ পড়ার ক্ষেত্রে এর ব্যবহার বেশি দেখা যায়। পুরুষ এবং মলিলা তৃণমূল সমর্থন এবং তহবিল উপর বেশি নির্ভর করে। তাদের তুলনা করা যায় আরব জাওয়াইয়ার সাথে।[১] সমসাময়িক ব্যবহারে পুরুষ বা মহিলা উভয়ের সালাতের জন্য প্রায়শই "সুরাও" ছোট মসজিদ বা সরকারী ভবনের একটি নির্ধারিত ঘর (যেমন একটি শপিংমল, বিশ্ববিদ্যালয়) বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
প্রাচীন আরব থেকে সুরাও মিনঙ্কাবাউয়ের পুরুষরা তাদের নিজেদের মধ্যে একসাথে থাকতেন।মনে করা হয় মিনাঙ্গকাবাউতে প্রথম ইসলামী সুরাও নির্মিত হয়েছে ১৭ শতকের শেষ দিকে এবং প্রথম নির্মিত সুরাও উপকূলীয় শহর উলাকান নির্মাণ করা হয়েছে। ছোট সুরাও নামে পরিচিত সুরাও মাঙ্গাজি রয়েছে। এই সুরাও মাঙ্গাজি প্রায় ২০ জন ছাত্র নিয়ে এবং একজন শিক্ষক নিয়ে হয়ে থাকে। শিক্ষক ছাত্র উভয়ের জন্য একটি ছোট কক্ষ রয়েছে। এই ছোট কক্ষ সাধারণত ইমাম সবাইকে কুরআন তেলাওয়াত শেখায়। বড় সুরাও ১৮ শতকের সুরু সংস্কৃতির সময়কালে ১০০০ জন শিক্ষার্থীকে এবং ২০ টি পর্যন্ত ভবন অন্তর্ভুক্ত করে বড় সুরাও গঠিত হয়।
সুরাওয়ের কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন তুয়ানকু শাইখ। তিনি ছিলে বারাকের বাহক হিসাবে পরিচিত এক ব্যক্তি। তিনি বৃহৎ সুরাওতে সাধারণত তত্ত্বাবধান করতেন। তাকে গুরু হিসাবে ডাকা হত এবং তাঁর সাথে প্রায় সবাই শিখতেন। [১]