সুলগ্না পাণিগ্রাহী | |
---|---|
![]() ২০১৬ সালে সুলগ্না | |
জন্ম | |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
অন্যান্য নাম | সাবিত্রী |
পেশা | অভিনেত্রী, প্রযোজক |
সুলগনা পাণিগ্রাহী[১] (জন্ম: ৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৯) হলেন একজন ভারতীয় টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। তিনি টেলিভিশন ধারাবাহিক অম্বর ধারা এবং দো সাহেলিয়াঁর মুখ্য চরিত্রে অভিনয়ের জন্য অধিক পরিচিতি অর্জন করেছিলেন। ভাট ব্যানারের চলচ্চিত্র মার্ডার ২-এ রেশমা চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি বলিউডে অভিষেকের পূর্বে, স্টার প্লাসে সম্প্রচারিত জনপ্রিয় টেলিভিশন ধারাবাহিক স্বপ্না বাবুল কা... বিদাইয়ে সাক্ষী রাজবংশের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।[২]
পাণিগ্রাহী অম্বর ধারায় অভিনয়ের মাধ্যমে টেলিভিশন জগতে অভিষেক করেছেন, যেখানে তিনি সংযুক্ত যমজ বোনদের একজন, ধারার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।[৩] এই ধারাবাহিকটি ২০০৭ সাল থেকে ২০০৮ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত সনি এন্টারটেইনমেন্ট টেলিভিশনে প্রচারিত হয়েছিল। তার অভিনীত দ্বিতীয় ধারাবাহিকটি ছিল দো সহেলিয়াঁ, যেখানে তিনি মৈথিলীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন, যা গ্রামীণ রাজস্থানের দুই বন্ধুর গল্পের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছিল।[৪] এই ধারাবাহিকটি ২০১০ সালের মার্চ মাস থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত জি টিভিতে প্রচারিত হয়েছিল।[৫] এর পরে তিনি স্বপ্না বাবুল কা... বিদাইয়ে সাক্ষী নামক একটি নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করেছেন।[৬][৭]
তিনি ২০১২ সালের মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র, মার্ডার ২-এ অভিনয়ের মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক করেন; এই চলচ্চিত্রটি ছিল ২০০৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত হত্যাকাণ্ড বিষয়ক জনপ্রিয় চলচ্চিত্র মার্ডারের দ্বিতীয় সংস্করণ, যেটি বিশেষ ফিল্মসের ব্যানারে মুক্তি পেয়েছিল। উক্ত চলচ্চিত্রে তিনি রেশমা নামে এক দরিদ্র কলেজ ছাত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন, যিনি তাঁর পরিবারের টিকে থাকার জন্য অর্থের প্রয়োজনে আংশিক সময়ের পতিতা হয়ে ওঠেন এবং একটি মনোবিকারগ্রস্ত পেশাদার খুনির শিকার হন। মিডিয়া জুড়ে সমালোচকদের কাছ থেকে তাঁর চরিত্রটি বেশ ইতিবাচক পর্যালোচনা পেয়েছিল।[৮][৯] মার্ডার ২-এর পরে, তিনি রাজকুমার রাও, দিব্যেন্দু শর্মা অভিনীত রেভ ছবিতে এবং গিরিশ কর্ণাদ, রূপা গাঙ্গুলী অভিনীত গুরুদক্ষিণা ছবিতে অভিনয় করেছেন।
২০১৮ সালে সত্য ব্রহ্মা প্রতিষ্ঠিত ইন্ডিয়া লিডারশিপ কনক্লেভে সুলগ্না "ভারতীয় অ্যাফেয়ার্স মোস্ট প্রোমিসিং অ্যান্ড ইমার্জিং অ্যাক্ট্রেস অফ দ্য ইয়ার ২০১৮"-এর মর্যাদাপূর্ণ বিভাগের ছয় চূড়ান্ত প্রতিযোগীর একজন ছিলেন।[১০]
সুলগ্না ১৯৮৯ সালের ৩রা ফেব্রুয়ারি তারিখে ওড়িশার ব্রহ্মপুরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ২০০৭ সালে মুম্বই চলে যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত দশ বছর নতুন দিল্লিতে বসবাস করেছিলেন। তিনি নতুন দিল্লির আর্মি পাবলিক স্কুল হতে তাঁর স্কুল জীবন শেষ করেছেন।[১১] তাঁর বাবা ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন, তাঁর মা একজন গৃহিণী এবং তাঁর ছোট বোন একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা, যিনি বর্তমানে হিন্দি চলচ্চিত্রে একজন সহকারী পরিচালক হিসাবে কাজ করছেন।