সুলতান সালাহউদ্দিন আব্দুল আজিজ মসজিদ | |
---|---|
Masjid Sultan Salahuddin Abdul Aziz مسجد سلطان صلاح الدين عبدالعزيز | |
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | ইসলাম |
শাখা/ঐতিহ্য | সুন্নি |
অবস্থান | |
অবস্থান | শাহ আলম, সেলাঙ্গর, মালয়েশিয়া |
স্থানাঙ্ক | ৩°০৪′৪১″ উত্তর ১০১°৩১′১৬″ পূর্ব / ৩.০৭৮° উত্তর ১০১.৫২১° পূর্ব |
স্থাপত্য | |
স্থপতি | দাতো বাহারউদ্দিন আবু কাসিম |
ধরন | মসজিদ |
স্থাপত্য শৈলী | ইসলামী, |
সম্পূর্ণ হয় | ১৯৮৮ |
বিনির্দেশ | |
ধারণক্ষমতা | ২৪,০০০[১] |
গম্বুজের উচ্চতা (বাহিরে) | ১০৬.৭ মি (৩৫০ ফু) |
গম্বুজের ব্যাস (বাহিরে) | ৫১.২ মি (১৬৮ ফু) |
মিনার | ৪ |
মিনারের উচ্চতা | ১৪২.৩ মি (৪৬৭ ফু) |
উপাদানসমূহ | কংক্রিট, ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম, কাচের গুঁড়া লেপা ইস্পাত প্যানেলের কাজ, কাঠ, কাচ, সিরামিক টালি |
সুলতান সালাহউদ্দিন আব্দুল আজিজ মসজিদ (Malay: মসজিদ সুলতান সালাহউদ্দিন আব্দুল আজিজ) হচ্ছে মালয়েশিয়ার সেলাঙ্গরে অবস্থিত একটি রাষ্ট্রীয় মসজিদ। এটি দেশটির বৃহত্তম মসজিদ এবং এটি দেশটির বৃহত্তম মসজিদ এবং ইন্দোনেশিয়া জাকার্তা, ইস্তিষ্কাল মসজিদ পরে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম মসজিদ। এটি গাঢ় নীল এবং রূপালী গম্বুজের বিশেষ কারুকার্যে সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে। মসজিদটিতে চারটি মিনার রয়েছে এবং এক একটি করে প্রতিটি কোণে নির্মাণ করা হয়েছে।[২]
মসজিদটি সুলতান সালাহউদ্দীন আবদুল আজিজের নেতৃত্বে গঠিত হয়, যখন তিনি ১৯৭৪ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি শাহ আলমকে নতুন রাজধানী সেলেনঙ্গর ঘোষণা করেন। ১৯৮২ সালে নির্মাণকাজ শুরু করা হয় এবং ১৯৮৮ সালের ১১ই মার্চ সমাপ্ত করা হয়। মসজিদটির নীল গম্বুজবিশিষ্ট হওয়ার কারণে অনেক সময় নীল মসজিদ নামেও ডাকা হয়। এটি বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদ বলে পরিচিত, যদিও গম্বুজের মধ্যে নানাবিধ পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়, এটি ৫১.২ মি (১৬৭ ফুট) ব্যাসের পরিমাপের সমন্বয়ে তৈরী হয়েছে যেখানে সমতল ভূমির উপর থেকে ১০৬.৭ মি (৩৫০ ফুট) পর্যন্ত উচ্চতায় পৌঁছায়।[২] সমতলভূমির উপর থেকে ১৪২.৩ মিটার (৪৬০ ফুট) পর্যন্ত উচ্চতায় পৌঁছায় যা কাসাব্লাঙ্কা, মরোক্কোর হাসান দ্বিতীয় মসজিদ (আরবি: مسجد الحسن الثاني) এর পরে বিশ্বের চারটি মিনারের সমন্বয়ে গঠিত বিশ্বের দ্বিতীয় উচ্চতম গম্ভুব হিসবে কীর্তি গড়ে।[৩] কাসাব্লাংকা, মরোক্কোর হাসান দ্বিতীয় মসজিদটি (আরবি: مسجد الحسن الثاني) উচ্চতার দিক থেকে প্রথম পর্যায়ে রয়েছে।[৪] প্রাথমিক বছরগুলিতে এটি গিনেস বিশ্ব রেকর্ড বইয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মিনার হিসেবে মসজিদটিকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল, যখন ১৯৯৩ সালের আগস্টে হাসান দ্বিতীয় মসজিদটি ২১০ মিটার (৬৮৯ ফুট) উচ্চতায় ভবনটি উদ্বোধন করা হলে বিশ্বের প্রথম উচ্চতম গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদ হিসেবে মর্যাদা পেয়েছিল।[৫] ব্লু মসজিদ বা নীল মসজিদ (মসজিদ সুলতান সালাহউদ্দীন আব্দুল আজিজ) মসজিদ এখনও পর্যন্ত সমতল ভূমির উপরে ১৪২.৩ মিটার (৪৬০ ফুট) উচ্চতায় অবস্থান করে পৃথিবীর উচ্চতম মিনারের কীর্তি ধারণ করে রেখেছে।
সুলতান সালাহউদ্দীন আব্দুল আজিজ শাহ মসজিদটির স্থাপত্য নকশা মালয়েশিয়া এবং আধুনিকতাবাদী রচনাশৈলীর সমন্বয়ে তৈরী করা হয়েছে।
মসজিদটিতে যে কোন সময়ে ২৪,০০০ এর অধিক সংখ্যক মানুষের নামাজ আদায় করার সুবিধা রয়েছে।[২] কুয়ালালামপুরের কিছু সুবিধাজনক স্থান থেকে উজ্জ্বল দিন মিনারটিকে যথেষ্ট পরিমাণ বড় দেখা যায়।[৬]