সুশীল কুমার(ইংরেজি: Sushil Kumar), (জন্ম ২৬ মে, ১৯৮৩[১])একজন ভারতীয় ফ্রিস্টাইল কুস্তিগির। ২০১০ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ৬৬ কেজির ফ্রিস্টাইল শ্রেণিতে স্বর্ণপদক জিতেছেন। তিনি একমাত্ৰ ভারতীয় যিনি ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকে রৌপ্য পদক এবং ২০০৮ বেইজিং অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন।[৮]।
তার ২০০৮ সালের অলিম্পিক পদকটি ভারতের জন্য কুস্তিতে দ্বিতীয় এবং ১৯৫২ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে খাসাবা দাদাসাহেব যাদবের ব্রোঞ্জ মেডেলের পর প্রথম।[৯] ২০০৯ সালের জুলাই মাসে তিনি রাজিব গান্ধী খেল রত্ন, যা ক্রীড়াবিদদের জন্য ভারতের সর্বোচ্চ সম্মান পান।[১০] ৩ অক্টোবর ২০১০ তারিখে, কুমিল্লার ২০১০ কমনওয়েলথ গেমস উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য কুইন ব্যাটন রিলেতে প্রিন্স চার্লসকে কুইন ব্যাটন হস্তান্তর করেন।[১১][১২] ২০১৪ সালে কমনওয়েলথ গেমসে ৭৪ কেজি ডিভিশনের স্বর্ণপদক জিতেছেন সুশীল।[১৩]
সুশীল কুমার দক্ষিণ পশ্চিম দিল্লির নাজফগড়ের কাছে বাপরোলা গ্রামের একটি জাট পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন,[১৪][১৫] তার পিতা দিওয়ান সিং,[১৬] এমটিএনএল দিল্লিতে একজন চালক ছিলেন, তার মা কমলা দেবী একজন গৃহিণী।
সুশীলকে এবং তার খুড়তুত ভাই সন্দীপকে, তার পিতা কুস্তি শিখতে অনুপ্রাণিত করেছিলেন, তিনি নিজে একজন কুস্তিগির ছিলেন, পরে যদিও সন্দীপের প্রতিদ্বন্দ্বিতা বন্ধ হয়ে যায় কারণ পরিবার কেবল একজন কুস্তিগিরকে সমর্থন করতে পারত। কুমার ১৪ বছর বয়সে ছত্রাসাল স্টেডিয়ামে আখড়া (কুস্তির বিদ্যালয়) এ কুস্তির প্রশিক্ষণ নেন। ভারতে কুস্তির জন্য কম তহবিল এবং দরিদ্র প্রশিক্ষণ সুবিধা ছিল, তাসত্ত্বেও ২০০৮ সালে অলিম্পিকের জন্য, তার পরিবার সুনিশ্চিত হবার জন্য তার প্রয়োজনীয় খাদ্য যেমন দুধ, ঘি এবং তাজা সবজি পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।[১৭][১৮] তিনি একজন উৎসর্গীকৃত হিন্দু এবং কঠোর নিরামিষভোজী।[১৯][২০]
তিনি স্নাতক (বি.পি.ই) এবং শারীরিক শিক্ষাতে স্নাতকোত্তর (এম.পি.ই.), নয়ডা কলেজ, দাদরি থেকে পাশ করেছেন। সুশীল বর্তমানে একজন সহকারী বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক হিসেবে ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষের সাথে নিযুক্ত।[৯]
২০১০ সালে, বিশ্ব কুস্তির চ্যাম্পিয়নশিপে সুশীল কুস্তিতে একজন বিশ্ব শিরোপা জয়ের প্রথম ভারতীয় হন। ৬৬ কেজি শ্রেণীতে ফাইনালে রাশিয়ার ৩-১ স্থানীয় প্রিয় অ্যালান গোগায়েভকে পরাজিত করেন।
২০১০ সালের ১০ অক্টোবর, দিল্লিতে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ গেমসে সুশীল স্বর্ণপদক জিতেছিলেন। তিনি ৬৬ কেজি ফ্রিস্টাইল কুস্তির ক্যাটাগরিতে ফাইনালে হেনরিচ বার্নসকে ৭-০ করেন। দ্বিতীয় রাউন্ডে রেফারির মুখোমুখি সংঘর্ষের অবসান সেমিফাইনালে কুমার ৯ সেকেন্ডের মধ্যে ৩-০ ফারমার জারজুকে পরাজিত করেন। কোয়ার্টার ফাইনালে কুমার ৪৬ সেকেন্ডের মধ্যে মোহাম্মদ সালমানকে ১০-০ পরাজিত করেন।[২২]
২০১৪ সালে, কমনওয়েলথ গেমস, স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে, সুশীল, ৭৪ কেজি ফ্রিস্টাইল কুস্তিতে কামার আব্বাসকে পরাজিত করেন এবং স্বর্ণপদক লাভ করেন। তিনি মাত্র ১০৭ সেকেন্ডে জয়ী হন।
১২ এপ্রিল, ২০১৮ সালে, সুশীল, ৭৪ কেজি শ্রেণিতে সোনা জেতেন, যা চূড়ান্ত পর্বে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেস বোথাকে ৮০ সেকেন্ডে পরাজিত করেন এবং তিন তিনটি স্বর্ণপদক পরপর তিনটি কমনওয়েলথ গেমসে জয় করবার বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।
↑ কখ"Athlete Biography: Sushil Kumar"। The Official Website of the Beijing 2008 Olympic Games। ২০০৮-০৮-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৮-২০।
↑"Kumar claims 63kg bronze"। The Official Website of the Beijing 2008 Olympic Games। ২০০৮-০৮-২০। ২০০৮-০৯-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৮-২০।
↑ কখMasand, Ajai (২০ আগস্ট ২০০৮)। "Meet Sushil Kumar, the shy guy"। Hindustan Times। ১ সেপ্টেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ আগস্ট ২০০৮।
↑Ganesan, Uthra (২১ আগস্ট ২০০৮)। "Najafgarh hails golden bronze boy"। Express India। ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ আগস্ট ২০০৮।
↑"Padma Awards"(পিডিএফ)। Ministry of Home Affairs, Government of India। ২০১৫। ১৫ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল(পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুলাই ২০১৫।