সুহাস জোশী | |
---|---|
জন্ম | সুহাসিনী ১২ জুলাই ১৯৪৭ [তথ্যসূত্র প্রয়োজন] |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
অন্যান্য নাম | সুহাসিনী জোশী [১] |
পেশা | অভিনেত্রী |
কর্মজীবন | ১৯৭২–বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী | সুভাষ জোশী |
সুহাসিনী জোশী (তাঁর পর্দার নাম সুহাস জোশী নামে অধিক পরিচিত) হলেন একজন মারাঠি মঞ্চ, চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন অভিনেত্রী। তাঁকে বেশ কয়েকটি হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে।[২]
কলেজের সময় থেকেই জোশী অভিনয় দিকে আকৃষ্ট হয়েছিলেন; তখন তিনি বেশ কয়েকটি নাটকে অভিনয় করেছিলেন। নিজের আগ্রহের কথা বিবেচনা করে তিনি দিল্লির ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামা থেকে অভিনয় করার জন্য তিন বছরের ডিপ্লোমা কোর্স করেছিলেন;[৩] যেখানে প্রখ্যাত মঞ্চ নাটক পরিচালক ইব্রাহিম আলকাজি তাঁকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন।[১]
জোশী ১৯৭২ সালে মারাঠি টেলিভিশন নাটক ব্যারিস্টার-এ অভিনয়ের মধ্য দিয়ে টেলিভিশন জগতে তাঁর জীবন শুরু করেছিলেন। বিজয়া মেহতা দ্বারা পরিচালিত এই নাটকটি জয়ন্ত দালভির পূর্ব প্রকাশিত উপন্যাস আন্ধারাচ্যাপরম্ব্যা অবলম্বনে নির্মিত। জোশী এই নাটকে রাধার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন; যেখানে ব্যারিস্টারের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন বিক্রম গোখলে। পরবর্তীতে, জোশী বেশ কয়েকটি টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করেছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে সাঁই পরঞ্জপের সাক্ষে শেজারি এবং বিজয় তেন্ডুলকরের কন্যাদান। কন্যাদানে তিনি প্রবীণ অভিনেতা ড. শ্রীরাম লাগুর বিপরীতে অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছিলেন। এই নাটকটি ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল থিয়েটার সংগঠনের মারাঠি ইউনিট প্রযোজনা করেছিল। এই নাটকটিতে সদাশিব অম্রপুরকর অভিনয় করার পাশাপাশি এটি পরিচালনাও করেছেন; এই নাটকটি ২০০-এরও বেশি মঞ্চে প্রদর্শন করা হয়েছে।[৪] পরবর্তীতে, জোশী অগ্নিপাঙ্খা, নাটকসম্রাট এবং একাচ পিয়ালা-এর মতো বিভিন্ন নাটকে অভিনয় করেছেন।
জোশী শ্রদ্ধেয় নারায়ণ ওমান তিলকের স্ত্রী লক্ষ্মীবাই তিলকের আত্মজীবনী অবলম্বনে স্মৃতি চিত্র নাটকটিতে কাজ করেছিলেন।[৫] লক্ষ্মীবাই একজন হিন্দু-ব্রাহ্মণ মহিলা ছিলেন। তিনি তারপরে স্বামীকে অনুসরণ করে খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করে ছিলেন। এই নাটকটিতে সেই তাঁর সেই যাত্রাপথের বর্ণনা করা হয়েছে। এই আত্মজীবনীটি মারাঠি সাহিত্যের অন্যতম সেরা নিদর্শন হিসাবে বিবেচিত হয় এবং এটি "আই ফলো আফটার" নামে ইংরেজিতে অনুবাদ করা হয়েছে।[৬] জোশী নাট্যাভিনেত্রী হওয়ায় ৩-৪ টি ভিন্ন কণ্ঠস্বর করতে পারেন, যার মধ্যে পুরুষকন্ঠও আছে। এর মাধ্যমে বিভিন্ন নাটকের বেশ কয়েকটি চরিত্রে তিনি কণ্ঠ দান করেছেন। তাঁর আগে কুসুমতাই এই চরিত্রটিতে অভিনয় করতেন।[৭]
জোশী বলিউডের বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন। তার মধ্যে তেজাব (১৯৮৮), চাঁদনী (১৯৮৯) এবং জোশ (২০০০)- এর মতো বাণিজ্যিকভাবে সফল চলচ্চিত্র উল্লেখযোগ্য। তিনি তু তিথে মী (১৯৯৮) এবং সতচ্য আট ঘড়াত (২০০৪)-এর মতো মারাঠি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তু তিথে মী-তে তাঁর অভিনয়ের জন্য তিনি বেশ কয়েকটি পুরস্কার লাভ করার পাশাপাশি ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছেন। স্মিতা তলওয়াকর প্রযোজিত এবং সঞ্জয় সুরকার পরিচালিত এই চলচ্চিত্রটি ৪৬তম মারাঠি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে "সেরা মারাঠি ফিচার চলচ্চিত্র" হিসাবে বিবেচিত হয়েছিল।[৮]
তাঁর দীর্ঘ মঞ্চ নাটক এবং চলচ্চিত্রের জীবন ছাড়াও জোশীকে মারাঠি টেলিভিশনের পাশাপাশি হিন্দি টেলিভিশন অনুষ্ঠানেও দেখা গিয়েছিল। ২০১২ সালে, তিনি হিন্দি টেলিভিশন অনুষ্ঠান খামোশিয়াঁ-তে অভিনয় করেছেন; যেটি স্টার প্লাসে প্রচার করা হয়েছিল।[৯]