সূরা আল জাসিয়াহ (আরবি ভাষায়: الجاثية) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৪৫তম সূরা, এর আয়াত অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ৩৭ এবং এর রূকু তথা অনুচ্ছেদ সংখ্যা ৪। সূরা আল জাসিয়াহ মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।
পারাক্রান্ত , প্রজ্ঞাময় আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ এ কিতাব ।
নিশ্চয়ই নভোমণ্ডল ও ভু মন্ডলে মুমিনদের জন্য নির্দেশনাবালি রয়েছে ।
আর তোমাদের সৃষ্টিতে ও চারদিকে ছড়িয়ে থাকা জীব জন্তুর সৃজনের মধ্যেও নির্দেশনাবালি রয়েছে বিশ্ববাসীর জন্য ।
দিবারাত্রির পরিবর্তনে আল্লাহতালাহ আকাশ থেকে রিজিক বর্ষণ করেন অতপর পৃথিবীকে তার মৃত্যুর পর পুনরুজ্জীবিত করেন , তাতে এবং বায়ুর পরিবর্তনে বুদ্ধিমানদের জন্য নির্দেশনাবালি রয়েছে ।
এগুলো আল্লাহর আয়াত যা আমি আপনার কাছে আবৃত করি যথারুপে ।অতপর আল্লাহ ও তার আয়াতের পর তাড়া কোন কথায় বিশ্বাস স্থাপনা করবে ?
প্রত্যেক মিথ্যাবাদী পাপাচারীর দুর্ভোগ ।
সে আল্লাহর আয়াতসমুহ শুনে অতপর অহংকারী হয়ে জেদ ধরে যেন সে আয়াত শুনেনি । অতঃপর তাকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির সুসংবাদ দিন ।
যখন সে আমার কোন আয়াত অবগত হয় তখন তাকে ঠাট্টা রুপে গ্রহণ করে । এদের জন্যই রয়েছে লাঞ্চনাদায়ক শাস্তি ।
তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নাম , তারা যা উপার্জন করেছে তা তাদের কোন কাজে আসবে না । তারা আল্লহর পরিবর্তে যাদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করেছে তারাও নয় । তাদের জন্য রয়েছে মহাশাস্তি ।
এটা সৎপথ প্রদর্শন আর যারা তাদের পালনকর্তার আয়াতসমুহ অস্বীকার করে তাদের জন্য রয়েছে কঠোর যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি ।
তিনি আল্লাহ যিনি সমুদ্রকে তোমাদের উপকার্থে আয়ত্বাধিন করে দিয়েছেন । যাতে তার আদেশেক্রমে তাতে জাহাজ চলাচল করে । এবং যাতে তোমরা তার অনুগ্রহ তালাশ কর ও তার প্রতি কৃতজ্ঞ হও
এই সূরাটির ২৮ নং আয়াতের وَتَرَى كُلَّ أُمَّةٍ جَاثِيَةً বাক্যাংশ থেকে جَاثِيَةً অংশটি অনুসারে এই সূরার নামটি গৃহীত হয়েছে; অর্থাৎ, যে সূরার মধ্যে الجاثية (‘জাসিয়াহ’) শব্দটি আছে এটি সেই সূরা।[১]
↑"সূরার নামকরণ"। www.banglatafheem.com। তাফহীমুল কোরআন, ২০ অক্টোবর ২০১০। ২৯ জুন ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ : ২২ জুলাই ২০১৫।এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)