সূরা মারইয়াম

সূরা মারইয়াম
مريم
শ্রেণীমাক্কী সূরা
নামের অর্থবিবি মরিয়ম (নবী ঈসা-এর মাতা)
পরিসংখ্যান
সূরার ক্রম১৯
আয়াতের সংখ্যা৯৮
পারার ক্রম১৬
রুকুর সংখ্যা
সিজদাহ্‌র সংখ্যা১ (৫৮ নং আয়াতে)
শব্দের সংখ্যা৯৭২
অক্ষরের সংখ্যা৩৮৩৫
← পূর্ববর্তী সূরাসূরা কাহফ
পরবর্তী সূরা →সূরা ত্বোয়া-হা
আরবি পাঠ্য · বাংলা অনুবাদ

সূরা মারইয়াম (আরবি: سورة مريم‎‎ : সুরতু মারইয়াম) হলো মুসলিমদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ১৯ নম্বর সূরা; এর আয়াত (বাক্য) সংখ্যা হল ৯৮; রূকু তথা অনুচ্ছেদ সংখ্যা ৬। এটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং এই সূরার প্রথমে হযরত জাকারিয়ার প্রার্থনার কথা, পরে বিবি মারইয়াম ও পুত্র হযরত ঈসার সম্পর্কে বলা হয়েছে।

নামকরণ

[সম্পাদনা]

এই সূরাটির ষোড়শ আয়াতের وَ اذْكُرْ فِي الْكِتَبِ مَرْيَمَ বাক্যাংশের মারইয়াম শব্দ থেকে সূরার নামটি গৃহীত হয়েছে অর্থ্যাৎ এটি সেই সূরা যাতে مَرْيَم শব্দটি আছে। []

নাযিল হওয়ার সময় ও স্থান

[সম্পাদনা]

মুসলমানদের আবিসিনিয়ায় হিজরতের প্রাক্কালে এই সূরাটি নাযিল হয়। [] সাহাবি যাফর বিন আবু তালিব এ সুরার প্রথম অংশ আবিসিনিয়ার বাদশা নাজ্জাশীর দরবারে তেলাওয়াত করেছিলেন।[]

বিষয়বস্তুর বিবরণ

[সম্পাদনা]

এই সুরায় ইসলাম ধর্মের বেশ কয়েকজন নবীর জীবন কাহিনী ও ধর্ম প্রচারে তাদের ত্যাগের কাথা আলোচনা করা হয়েছে। যেন নবী মুহাম্মাদ সা.ও দীনের দাওয়াত সহজভাবে প্রচার করতে পারেন। কেননা তাঁর পূর্বের নবীগণও কষ্ট করে ইসলাম প্রচার করেছিলেন।[]

হাদিস অনুসারে

[সম্পাদনা]

রাসুল সা. বলেন, “যে সুরা মারইয়াম পড়বে তাকে দশ সওয়াব দান করা হবে। তবে তার এ দশ সওয়াব হবে যাকারিয়া নবীকে যতজন সত্যবাদি এবং মিথ্যাবাদী বলেছিল সেই পরিমাণ মানুষের সংখ্যার মতো। এভাবে নবী ইয়াহিয়া, মারয়াম, ঈসা, ইবরাহিম, ইসহাক, মুসা, ইয়াকুব, হারুন, ইসমাইলইদ্রিস নবীকে যে পরিমাণ লোক সত্যবাদী ও মিথ্যাবাদী বলেছিল সে সংখ্যার মত । এভাবে পৃথিবীতে যে পরিমাণ লোক আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছে বা করেনি, সে পরিমাণ সওয়াব দেয়া হবে।[] তবে এই হাদিসের মান নিয়ে অনেক কালাম করা হয়েছে।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "সূরার নামকরণ"www.banglatafheem.comতাফহীমুল কোরআন, ২০ অক্টোবর ২০১০। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  2. "সূরা মরিয়ম"। ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ 
  3. কাছির (ইবনে)। তাফসিরে ইবনে কাছির। বৈরুত: দারু তাবিয়া। পৃষ্ঠা খ. ৫, পৃ. ২১১।  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  4. কুতুব, সাইদ (১৯৯৮)। ফী যিলালিল কুরআন। মিশর: দারুল ইলম। পৃষ্ঠা খ. ৫, পৃ. ৮৭। 
  5. যামাখশারী, জারুল্লাহ। তাফসিরে কাশশাফ। বৈরুত: দারুল কিতাবিল আরাবি। পৃষ্ঠা খ. ৩, পৃ. ৪৮। 
  6. "فضل قراءة سورة مريم وسورة الإسراء"www.islamweb.net (আরবি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-২৬ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]